somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(একজন অঘটনঘটনপটিয়সীর গল্প) মা তোমাকে বলে দিচ্ছি

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মা,

প্রতিবার ঈদে দেরী করে বাড়ি যাই। ইউনিভার্সিটিতে ওঠার পর বছরে দুইবারের বেশি যাওয়া পরে না। জানি তুমি খুব কষ্ট পাও। হয়তো ভাবো ছেলেরা বড় হয়ে গেলে এমন ই হয়ে যায়। একটা সময় ছিলো, যখন একটা দিনও তোমাকে ছেড়ে থাকিনি। স্কুল থেকে শুরু করে ইন্টারমিডিয়েট পার হওয়ার আগ পর্যন্ত। মাঝে মাঝেই বলো, তুই কেমন যেনো বদলে গেছিস। এমন তো ছিলি না। মা কে দেখতে ইচ্ছে করে না? ছোটবোন টাকে দেখতে ইচ্ছে করে না? ও এখনো তোর জন্য কান্নাকাটি করে মাঝে মাঝে। তুই যখন প্রথম ঢাকা চলে যাস, তিন চার মাস খালি একলা একলা মনমরা হয়ে বসে থাকতো । খেতো না ঠিকমতো। তুই কল দিলে যদি বলতাম তোর ভাইয়ার সাথে কথা বলবি? বলতে পারতো না, চোখে পানি এসে যেতো। তোকে ছাড়া তো কখনো থাকে নি। স্কুল থেকে ফিরে একসাথে খেতে বসতি। পড়ার সময় পাশে বসে থাকতি । ওর খাতা বই সব মলাট করে দিতি। ছোটো বেলায় মনে হয় আমার চে তুই ই বেশি কোলে নিয়ে থাকতি ওরে। ঘাড়ে করে ঘুরতি। এখন এরকম হয়ে গেছিস ক্যান ?


মা আমি জানি, তুমিও এখনো ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করো না। তুমি এখনো কাঁদো। এখনো চিন্তা করো। ভীষণ চিন্তা করো। আমি তো তোমার ই ছেলে । আমি বুঝতে পারি।

আমি বলি বাড়ি যেতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে বলি - না কাউকেই দেখতে ইচ্ছে করে না। কারো জন্যই মায়া লাগে না আমার। আমি বেশ আছি। আমার জন্য চিন্তা করোনা। বলে খট করে ফোনটা রেখে দেই। .... জানি তুমি কষ্ট পাও।

মন থেকে বলিনা মা। আমি তো আমাকে চিনি। প্রতিবার ই বাড়ি যাওয়ার পর মনে হয়, আমার আর ঢাকা ফেরা হবে না। আমি আর ফিরবো না। তোমার কাছে থেকে যাবো। দরকার নেই আমার এতো পড়ে। যখন বাড়ি থেকে চলে আসি, আমার জন্য তোমার সমস্ত আকুতি প্রকাশ পায় একটা বাক্যে। - কালকেই যাবি ? আরেকটা দিন থেকে গেলে হয় না বাপ ?


তোমার চোখের দিকে তাকাতে পারি না। চোখটা নামিয়ে নিয়ে নাক টানি। ছেলে মানুষের দূর্বল হলে চলে না। ছেলে মানুষকে শক্ত হতে হয় তাইনা মা? বুকের ভেতরটা মুচড়ে আসে। আমি আরো তাড়াহুড়ো করি ঢাকা চলে আসার জন্য, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পালাতে চাই তোমাদের কাছ থেকে। কেনো জানি মনে হয়, এই তাড়াহুড়ো টা না করলে আর ঢাকা ফিরতে পারবো না। হয়তো বলে বসবো, আমার আর এভাবে পড়তে ভাল্লাগে না। মুখস্ত করতে ভাল্লাগে না। সিস্টেম ভাল্লাগে না। হয় তোমার কাছে রেখে দাও। নয়তো দেশান্তরী হবো বিদায় দাও। .... জানি তখন মুচকি হেসে বলবে - পড়াশুনা না করলে করবি কি ? (কত আশা করি তোকে নিয়ে - কথাটা উহ্য থাকে) । ..আমি জানিনা কি করবো? শুধু জানি এটা শোনার পর তুমি আড়ালে গিয়ে কষ্ট পাও। ... কি করবো বলো, আপন মানুষদের কষ্ট দেয়া আমার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে।

যতবার ফোন দাও কমন প্রশ্ন থাকে - খাইছিস ঠিকমতো? কি করিস এখন? আমারো কমন উত্তর - হ্যা খাইছি। আর কম্পিউটারের সামনে বসে আসি। নয়তো আড্ডা দিচ্ছি। তোমার কাছে কখনো কোনোদিন মিথ্যে বলিনি, বলতে তো পারি না। হয়তো একমাসে দুই দিন ও শোনো না যে আমি বলছি - মা আমি পড়তে বসছি। ফেসবুকিং তো তুমি বোঝো না। বোঝার দরকার ও নাই :) । তুমি যখন বল আমারেও একটু শিখায়ে দে। আমি বলি সরো, কি বাচ্চা মেয়ের মতো আবদার করতেছো? এইটা শিখে তুমি কি করবা। আমি তো দুষ্টো ছেলে। এইজন্য এগুলো করি। তুমি কিছু বলো না, শুধু বলো, দুষ্টামি কর , নিষেধ তো করি নাই। কিন্তু পড়াশোনা টা একটু আধটু করিস। একটু খানি পড়লেই তো হয়। নিজেকে অপরাধী লাগে। আদর দিয়ে যে শাসন করা হয়, সেটাকে আমি খুব ভয় পাই।


সারাদিন আমি এখানেই ডুবে থাকি । ক্লান্তিকর একঘেয়ে টিচারদের লেকচার আর পরীক্ষার ফাকে ফাকে। খাওয়া ঘুম জিম ফেসবুকিং এই চক্রেই আছি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে দেখা করি কোথাও। হইহই করে ঘুরতে যাই। ধানমন্ডি লেক, টি.এস.সি. বা মিরপুরে আড্ডা জমে। মজা করি , শহরটাকে আপন করে নিয়েছি অনেক আগেই। টিকে থাকতে হলে আপন না করে উপায় নেই। তাই শহরের সাথে আপোষ করেছি। প্রথম দিকের দিন গুলোতে খুব কষ্ট হতো। মনে হতো ছুটি হয় না ক্যান? কবে বাড়ি যাবো। এখন ইচ্ছে করেই সেই ভাবনাটা আনতে দেই না।

..... আমি জানি তুমি মা, তুমি সব ই বোঝো। মায়ের জাত টাই আলাদা। মায়েরা সব বোঝে। যতবড়ই হই, তোমার কাছে সারাজীবন আমি গাধাশ্রেষ্ঠই হয়ে থাকতে চাই মা। হয়তো এটাই তোমাকে কষ্ট দেয়, আমার ছেলেটা আগে এভাবে খারাপ লাগার সাথে যুদ্ধ করেনি। মা রে, আমি খারাপ নাই, মিউট্যান্ট হয়ে গেছি খারাপ লাগার সাথে। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত নির্ভেজাল হাসিটা এখনো মুখে লেগে থাকে। হাসি আর মন খারাপ দুটোর একটাও লুকোতে পারিনা। চেষ্টাও করি না। কে আমাকে নিয়ে কি ভাবলো না ভাবলো, তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আমার মতোই।

একটা জিনিস নিয়ে আমার খুব রাগ হয় তোমার উপর। তুমি যখন বোনটাকে বকা দাও, তখন আমার খারাপ লাগে। বারবার বলি, নিজের মেয়েকে শাসন করলে আড়ালে করবা। আমার সামনে করবা না। এতোদিন পর বাড়ি আসছি বকা শোনার জন্য না। বকা দিলে আমি আর বাসায় আসবো না। :) তুমি থেমে যাও। বলে এইরকম ভাই হলে, বোনটাও এরকম ই হবে। কই একটু শাসন করবে, কই একটু পড়তে বলবে , উপদেশ দেবে । তা না আসছে একটা আরেকটারে সেভ করতে। ভালো করেই জানো, পড়ার উপদেশ আর ভালো কাজের উপদেশ আমি কাউরে দেই না। সবাই কি একরকম হয় রে মা? আমি না হয় এমন ই হলাম। একটা সময় অনেক পিট্টি দিতা আমাকে। একদিন জিজ্ঞেস করেছিলে - আমার কোনো ব্যবহারে খুব কষ্ট পাইছিস কখনো? আমি সাথে সাথে বলছিলাম - মনে আছে একবার আমার পিঠে পরপর পাঁচটা রুলার ভাংছিলা । মজা করে বলছিলাম। কিন্তু জানি আবার কষ্ট দিয়ে ফেলছি। পরে তোমার গলা ধরে বললাম, অ্যাতো আদর পাইছি তোমার কাছ থেকে , কোলে পিঠে করে তিলে তিলে মানুষ করলা, সেটা মনে রাখা বাদ দিয়ে কবে পাঁচটা রুলার ভাংছিলা সেইটা মনে করে থাকবো? বিশ্বাস হয় আম্মু ? তোমার ছেলে অ্যাতো খারাপ ? তুমি হেসে মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়েছিলে। ...

অনেক কথাই মেনে চলি না তোমার । তবে কিছু জিনিস মেনে চলি। তুমি বলেছিলে পুরুষ মানুষকে সব কিছু অর্জন করে নিতে হতে। তোর বাপের তেমন কিছু নাই, আর কখনো বাপের সম্পত্তির লোভ করবি না। পুরুষ মানুষ সব কিছু গড়ে নেয় নিজের হাতে। নিজের অর্জন টাই বড় অর্জন। সবাই সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মায় না , তুইও না। তুই একদিন ঐরকম ব্যাটাছেলে হবি। পারবি না বাপ? .. পারবো মা। দেখো আমি ঠিক পারবো।

তোমার ট্রেনিং গুলো কাজে লেগেছে আমার। জানি সেটা স্বেচ্ছ্বায় দাওনি কখনো । মায়েরা কখনো ট্রেইনিং দেয় না। তাদের ভালোবাসার ধরণটা সম্পূর্ণ আলাদা। ছেলেরা তার পুরোটা কোনোদিন ই বুঝতে পারবেনা। বোঝার দরকারো নাই। মা তো মা ই। তুমি তোমার টাইপেই মানুষ করছো আমাকে। আদরের সময় আদর । শাসনের সময় শাসন। কোথাও ছাড় দাও নি। এজন্যই আমি এমন হতে পেরেছি। এতোদূর আসতে পেরেছি। কোনো জিনিস পছন্দ হওয়া মাত্রই সাথে সাথে তুমি দাও নি। আমাকে সেটার অভাবটাকে বোধ করার জন্য সময় দিয়েছো। সেটার প্রতি যখন আকর্ষণ তীব্র হতো, তখন ঠিক ই দিয়ে দিতে। কখনো কখনো দিতে না, একটা সময় আমি বুঝতে পারি, সবকিছুর দরকার নাই জীবনে। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে , বেছে বেছে কিছু জিনিস আর কিছু মানুষ পেলেই চলে। তুমি যখন আবদার করা কোনো জিনিস না দিয়ে অনেকদিন পর বলতে, এখনো কি তোর জিনিসটা দরকার। আমি এমনিতেই বুঝে যেতাম, তুমি আমাকে কি শেখাতে চেয়েছো? আসলেই দরকার নাই ।জীবনের অনেক চাহিদাই সময়ের সাথে বদলে যায়। একটু সময় দিলেই হয় নিজেকে। এজন্যই আমি আজ অল্পে তুষ্ট হতে জানি। কোনো কিছু না পেলেই আমার আর আক্ষেপ হয় না। জানি সময়ের সাথে ঐ চাহিদা আমার থাকবে না। :)

অনেক ভালোবাসি আম্মু তোমাকে। তোমার জন্যই আজ আমি যে জিনিসগুলো এখন পাই, সেগুলোর যত্ন করি। অন্য ধরণের যত্ন। কষ্টের পর যে জিনিস পাওয়া যায়, তার প্রতি টান তৈরি হয় সবচে বেশি। তুমি আমাকে ইজিগোয়িং করে বড় করোনি। সংসারের উথ্থান পতন দেখেছি। .... আগলে আগলে রেখেছো। কোনোদিন বুঝতে দাওনি। সেই সক্কাল বেলা উঠে নাস্তা তৈরি করা, নিজের হাতে সব সামলানো। পড়াশোনা, আমার স্কুল সামলানো, ঠিকমতো সব চলছে কিনা, আব্বুর জন্য কত চিন্তা করো। মানুষটা সহজ সরল দেখে তোমার চিন্তার শেষ নাই। আমি কিন্তু একদম চিন্তা করি না আব্বুকে নিয়ে, যতদিন আম্মু আছে। ...... আমার আব্বুটা খুব লাকি । খুউউউউব লাকি। আমি জানি আব্বুর সেটা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধাই নাই। বাপ ব্যটা এক সাথে ঘুরতে বের হলে কুটকুট করে কত কথা বলি তোমাকে নিয়ে ;) তুমি আমার আম্মু , তুমি আমার বান্ধবী টাও। আচ্ছা মায়েরা এতোকিছু কীভাবে বুঝতে পারে ?? কি বোকার মতো কথা বলতেছি, মা দেখেই তো বুঝতে পারে।

এখনকার শিশুদের দেখলে কষ্ট পাই। বাবা মা দুজনেই ব্যস্ত। কাজের বুয়াটা সঙ্গী। ডে কেয়ার ভরসা। মায়েরাও কেমন যেনো বিরক্ত হয় দিন দিন। ভালো স্কুল, ভালো জায়গা । হাহা । সবাই টাকার পেছনে ছুটছে। সন্তান মানুষ করতে হবে। আদর টা কেউ দেয় না। মা তুমি বলো কোনটা ভালো, নিরবিচ্ছিন্ন টাকার প্রবাহ, যখন যা যাচ্ছি সেটাই দিয়ে দেয়া, আর আদর না পাওয়া? নাকি একটু আধটু কষ্ট করা, কিন্তু তোমার আদর পাওয়া? হতভাগা শিশুরা। মা তুমি কোনোদিন আমাকে পড়াশুনা নিয়ে বকা দাওনি। কোনোদিন পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে কিছু বলোনি। শুধু বলতে, আচ্ছা নেক্সটবার এরকম করবি না। বিশ্বাস করো তখন খুব খারাপ লাগতো। বকা দেয়ার চেয়ে, বকার জায়গায় যদি কেউ ছাড় দেয়ে তখন আসলে অপরাধী হয়ে যাই। এজন্যই হয়তো বিগড়ে যাই নি। হয়তো তুমি বুঝেই গেছো, স্বাধীনতার অপব্যবহার আমি কোনোদিন ই করবো না। ;) । কোনোদিন আমাকে প্রতিযোগী বানাওনি অন্য কারো। আমাকে শুধু অনর্গল প্রাকটিস করতে দিয়েছো। প্রাকটিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট। পারফেক্ট হইনি। কিন্তু অভ্যাস টা রেখে দিছি। তবে কেউ আমাকে নিয়ে বিচার দিলে, আমাকে নিয়ে কিছু বললে বকা দিতে উল্টো আমাকে। একবারো দেখতে না আমি আসলে দোষ করছি কিনা। :) পরে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলতে, বকা দেবো নাতো কি করবো, যেটা করিস নি সেটার জন্য কেউ বিচার নিয়ে আসলে তুই কিছু বলতে পারিস না? আমি আমার ছেলেকে চিনি না ? ভীতু হবি নাকি দিন দিন। মুখের উপর বলতে পারিস না, তুই সেটা করিস নি ? অনেক ছোটো ছিলাম আম্মু। কিছু বলতে পারিনি। এখন কিন্তু আর তেমন নেই। কেউ যদি উল্টোপাল্টা করতে আসে, তোমার আগে আমি তাকে দেখে নেবো। ভয়ডর কমে গেছে ;) । পাগলি মেয়ের মতো এতো চিন্তা করে যাও। এতো চিন্তা করতে নেই মা।

মা , আমি কাউকে আদর্শ মানিনি জীবনে। মানবোও না। তবে যদি কাউকে মানতাম, সেটা তোমাকে।

মা, সবাই তোমাদের নিয়ে কত সুন্দর সুন্দর কথা লেখে। আমি ওভাবে বলতে পারিনা। আধাখ্যাচড়া করে বলে যাচ্ছি এখানে তোমার কথা। জানি তুমি দেখবে না। তোমাকে এই নোট টা দেখাবো না কোনোদিন ই। তুমি কি আমার জন্য তোমার সব ভালোবাসা আমাকে দেখাও? দেখাও তো না। সামনে হয়তো বকা দাও, কিন্তু আড়ালে যখন কারো কাছে কথা বলো, আমি কিছু পারি চাই না পারি, তখন তো আমাকে নিয়ে তোমার গর্বের কথা বল। আমিও না হয় , এটা গোপন করেই গেলাম। .. :)। আমিও গর্ব করি তোমার মতো মা পেয়ে। পক্ষপাতিত্ব করে কথা বলছি না। সব ছেলে মেয়ের কাছেই তার মা বেস্ট। আমি একটু অন্যভাবে বলি মা ? কেউ ই বেস্ট না। তুমিও না। মুখ ব্যাজার করলা? হা হা পুরোটা তো শোনো। তুমি সবার জন্য বেস্ট না, তুমি আমার জন্য, আমার মতো ছেলের জন্য বেস্ট ..... মা। এখন একটু হাসো। :) :D

মা , তোমার কাছে কিচ্ছু লুকানো থাকবে না আমি জানি। তুমি আমার চোখ দেখেই সব বলে দিতে পারো। এক পা ফেলা দেখেই বলতে পারো পরবর্তী পদক্ষেপে আমি কি করতে যাচ্ছি। স্রষ্ঠাকে ফাঁকি দিয়ে কত কাজ করি ; তোমাকে ফাঁকি দিতে পারি না। যদি অপশন থাকতো, স্রষ্ঠা বাদে আমি আর কার হাতে সৃষ্ঠ হতে চাই? অকপটে বলে দিতাম সেটা তুমি।

কি কি রান্না করবা করতে থাকো। তুমি যদি শুকনা মরিচ, পিয়াজ কুচি করে লবন মাখিয়ে আলুভর্তা করার জন্য রেখে দাও, সেটা চাখতেও অমৃতের মত লাগে। আচ্ছা তুমি কীভাবে জানো আমার কি কি পছন্দ ? সেলিব্রেটিদের মতো কোনো কোয়েশ্নেন ও করনি - "এই ছেলে তোর প্রিয় খাবার কি ? " একবারো তো বলিনি তোমাকে। বাড়ি গিয়ে দেখবো, ঠিক ওগুলোই রান্না করে রেখেছো। মায়েরা বড়ই রহস্যময়। :) সব রহস্য ভাঙতে নেই। কিছু রহস্য বৃষ্টির দিনে তোমার হাতের ভুনা খিচুড়ি আর গোশত খাওয়ার জন্য তুলে রাখা যাক।



কাল বাড়ি আসতেছি তোমাকে জ্বালাতন করতে। .............বাংলাদেশ সরকার সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে, যে দশা করে রেখেছে.....হা হা দোয়া করো তোমাকে না দেখে যেনো মরণ আমাকে গ্রাস না করে। তাহলে কিন্তু উপরে যে স্রষ্ঠা বসে আসে, তাকে আমি কোনোদিন ক্ষমা করবো না। ভালোমতো দোআ করো আমার জন্য, বুঝলা মেয়ে?? ওনাকে বলে দিও আমাকে যেনো ঠিক মতো তোমার কাছে পৌঁছে দ্যায়। আর নিতান্তই যদি উপরে তুলে নেয়ার শখ থাকে, তাহলে যেনো তোমাকে ছেড়ে আসার সময় তুলে নেয়। তার এক সেকেন্ড আগেও না।



আগেই বলে রাখলাম হ্যা।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×