somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসি-কান্নার এক জোড়া ঈদ গল্পঃ ঈভ টিজার এবং স্কুলড্রেস

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ- কথাটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় । এখনো আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ আছেন, যারা উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন শুধু দু'বেলা খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য । তাদের সন্তানদের কাছে ঈদের আলাদা কোন মাহাত্ম নেই, নেই খুশির জোয়ার । অথচ জানেন কি, আমাদের সামান্য একটু সহায়তায় আমরা হাসি ফুটাতে পারি হতদরিদ্র এই শিশুদের মুখে । উপরের ছবিতে দেখুন নতুন জামা পেয়ে বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে ভেসে যাচ্ছে অনাথ শিশুগুলো । ছবিটি নেয়া হয়েছে ব্লগার 'নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ' এর ফেবু ইভেন্ট থেকে ।

ঈদের হাসি-কান্নার এক জোড়া গল্প..

************************************

গল্পঃ ঈভ টিজার

-- ধুস্ শালা!
প্রচন্ড বিরক্ত জিসান তার বেন্ড করা লম্বা চুলের ভিতর থেকে সান-গ্লাসটা খুলে টি-শার্টের কোনা দিয়ে মুছতে থাকে । টি-শার্ট কিঞ্চিত উপরে উঠায় তার সদ্য গজানো ভূড়িটা থলথল করে দুলছে । আর পেছনে জিন্সের প্যান্ট কোমড় ছাড়িয়ে আরো ইঞ্চি ছয়েক নেমে গুহ্যদ্বারের মুখে আটকে আছে । ভাগ্যিস আন্ডারওয়্যার প্যান্ট কে অনুসরণ করেনি, কোমড়ের সাথে লেপ্টে থেকে গুহ্যদ্বারের আব্রু রক্ষা করে চলেছে ।

সান-গ্লাস পরিষ্কার করে জিসান মাথায় বেন্ড করা চুলের ভিতর আবার গুজে দেয় । ভরদুপুরে অস্থির পায়চারি করতে করতে রাস্তার দিকে ইতিউতি তাকায় । ঠাসা ডাসা মালের খোঁজে এদিকে আসার পর তার স্টাইলিস্ট পালসার বাইকের পেছনের চাকা হঠাৎ পাংচার হয়েছে । সাগরেদ জইস্যা সাথেই ছিল, সে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ভারী বাইকটাকে নিয়ে গেছে পাংচার সাড়িয়ে আনার জন্য । প্রায় ঘন্টা খানেক হয়ে গেল, তার ফেরার কোন নাম-গন্ধ নেই ।

অস্থিরতার আরও একটা কারণ আছে । আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ । ঈদের আগের দিন রাস্তাঘাটে খাসা ডাসা সব মাল বেরুবার কথা । অথচ ঘন্টাখানেক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও তেমন কোন মালের দেখা মিলল না । রাস্তায় পড়ে থাকা আধলা ইটের উপর আক্রোশ মেটানো কিক দিয়ে সে চলল পাশের টং দোকানের দিকে । দোকানের সামনের দিকটা কালো পর্দায় মোড়ানো । রোজার মাসে পর্দার ভিতরে বসে খাওয়া-দাওয়া করার নিয়ম । চায়ের অর্ডার দিয়ে জিসান একটা বেঞ্চু ধরালো । ছোট জায়গায় অনেক মানুষের এক সাথে ধুমপান, নিকোটিনের তীব্র ধোঁয়ায় চোখটা খুব জ্বলছে ।

দ্রুত চা-সিগ্রেট খেয়ে টং থেকে বের হবার পর দুপুরের তীব্র সূর্যালোকে জিসানের চোখ ঝলসে উঠে । কিন্তু অত্যুজ্জ্বল এই সূর্যকিরণ জহুরীর চোখে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি । চোখের সামনে হাত দিয়ে রোদ ঢেকে জিসান সূর্যালোকের চেয়েও উজ্জ্বল কিছু দেখতে পায় । জিসান চোখ বড় বড় করে বিস্ফোরিত নয়নে দেখতে থাকে তার থেকে সামান্য দূরে রাস্তায় একটা খাসা মাল ! এই মাত্র মালডা রিক্সায় উঠলো । উজ্জ্বল হলুদ রঙের পায়ের পাতা দুটো রিক্সার পাটাতনে ছন্দ তুলে ভিত্তি খোঁজছে । রিক্সাওয়ালা রিক্সার হুড টেনে দেয় । হুডের এক পাশ কোমল করে ধরে আছে সুন্দর নিটোল হাতের আঙুলগুলো । আর হুডের ফাঁক দিয়ে জিসান দেখতে পায় বাতাসে দোল খাওয়া ঘাড় পর্যন্ত ছাঁটা উড়ন্ত চুল ।

জিসান দ্রুত হেটে রিক্সার কাছে পৌছুতে চেষ্টা করে । কিন্তু ততক্ষনে রিক্সা চলতে শুরু করে বেশ সামনে চলে যায় । রিক্সার পেছনের পর্দা সড়ে গিয়ে কেবল উড়তে থাকে এলোমেলো বন্য কেশরাজি । নিজের উপর আক্রোশে এক হাত দিয়ে ঘুষি চালায় আরেক হাতের তালুতে । দিনের সেরা জিনিসটা একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তীব্র আক্ষেপ- শীট...

ঠিক এই সময়ে পিঁপ পিঁপ বাজিয়ে একটা বাইক জিসানের গায়ের উপর উঠতে উঠতে শেষ মূহুর্তে ব্রেক কষে । হার্ড ব্রেকের শব্দে ঘুরে দাঁড়িয়ে জইস্যা কে দেখতে পেয়ে খিস্তি ঝাড়ে,
-বাইনচোত, এত দেরি করলি ক্যা ? বাইক লইয়া কৈ গেছিলি ?
জইস্যা বাইক থেকে নেমে মিনমিন করে বলে,
-দুইটা লিক খাটানোর পরেও চাক্কায় বাতাস থাকে না । পরে ম্যালা খুইজ্জা আরেকটা ছুপা লিক পাইছে । বিশ্বাস না হয় যিসু মাম্মা, মেকানিক্স রে জিগায়েন ।
-হইছে, এত্ত কথা শুনার টাইম নাই । খাসা মালডা বুঝি মিস হইয়া যায় ! এখন পিছে উঠ, আওগাইয়া দেখি পাই কি না !!

জিসান তখনই বাইক স্টার্ট দেয় । পালসার সিংহের মত গর্জন করতে করতে ছুটতে থাকে । কিছুদুর যাবার পর জিসান চিৎকার দিয়ে উঠে,
-অই জইস্যা, সামনের রিক্সায় মালডা বসা!
-যিসু মাম্মা, আমি আছি! নো টেনছন!!
জইস্যা হেড়ে গলায় গান ধরে, "তেড়ি মেরি মেরি তেড়ি প্রেম কাহানী হে মুশকিল.. "
জইস্যার কর্কশ গলার গানের সাথে বাইকের বিকট পিঁপ পিঁপ আওয়াজে সামনের রিক্সা বাঁয়ে সরতে থাকে । রিক্সার ডান পাশে চেপে এসে জিসান বলে, "হাই ডার্লিং, কুলফি খাবা!!" তার পর রিক্সাটাকে দ্রুত ওভারটেক করে । জইস্যা তখনো বাইকের পেছনে হাত-পা ছুড়ে গেয়ে যাচ্ছে, "তেড়ি মেরি মেরি তেড়ি প্রেম কাহানী.. "

আর কিছুক্ষন যাওয়ার পর একটা মোড়ের আগে বাইক থামায় জিসান । দুজনে সেই রিক্সার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে..
-মালডা কেমুন দেখলিরে জইস্যা ?
-যিসু মাম্মা, হেভ্ভী জিনিস !! মালের ঘাড়-গলার রঙ যেন দুধে আলতা । মাগার বুকের সাইজটা মাপতে পারলাম না মাম্মা ।
-চুপ কর বাইনচোত! উস্তাদের মাল লইয়া খারাপ কথা কবি না ।
-মাম্মা! খারাপ কথা কমু না!! কি কউ মাম্মা.. হাঃহাঃহাঃ

এবার দুজনেই ইঙ্গিতপূর্ণ হাসিতে ফেটে পড়ে । এই সময় রাস্তার উল্টো দিকে রিক্সাটা থামে । জিসান-জইস্যা দুজনে একে অপরকে চোখ টিপি দেয় । তার পর রাস্তা পার হয়ে রিক্সার দিকে এগুতে থাকে । রিক্সার যাত্রী সীটে বসেই ভাড়া মিটিয়ে দিতে থাকে । রিক্সার পাশে গিয়ে জইস্যার কাঁধে হাত রেখে জিসান সান-গ্লাস চোখ থেকে সরিয়ে কপালের উপর রাখে । তাদের কর্মকান্ড দেখে রিক্সাওয়ালা মুচকি হাসে । জিসান ভাব নিয়ে বলে,
-নাইম্যা আসেন ম্যাম, নাকি কোলে কইরা নামাইতে হইব !!
রিক্সা যাত্রীর উজ্জ্বল হলুদ রঙের কোমল পা দুটোর সাথে সাথে নূরানী দেহ খানি সন্তর্পনে রিক্সা থেকে নামিয়ে এনে সালাম জানায়,
-আসসালামুয়ালাইকুম । জনাব, আপনাদের কী খেদমতে আসতে পারি ??

জিসান-জইস্যা পরষ্পরের মুখের দিকে হা করে দাঁড়িয়ে থাকে । কিন্তু তাদের কারো মুখ থেকে কোন কথা বের হয় না । রিক্সাওয়ালা এবং যাত্রী দ্রুত স্থান ত্যাগ করে । এই অবস্থায় জইস্যা কথা বলে উঠে,
-যিসু মাম্মা, এইডা কি হইল মাম্মা!! এইডা তো জোব্বা পড়া হুজুর!!
জিসান ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দেয় জইস্যার গালে,
-বাইনচোত! তোরে না ভাল কইরা খেয়াল করতে কইলাম!
-(চড় খেয়ে গাল ঘষতে ঘষতে) মাম্মা, তুমিই না কইলা মালডা খাসা!!
-হাত-পা-চুল আর গায়ের নরম চামড়া দেইখাতো মালই ভাবছিলাম!!
জিসান আবার জইস্যার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে বলে,
-তোর তো আবার পেট পাতলা স্বভাব । মহল্লার বেবাকরে তুই এই গল্প কইরা বেড়াইবি!
জইস্যা অপরাধীর মত চুপ করে থাকে । তারপর জিসানের দিকে মুখ তুলে বলে,
-মাম্মা, এই কাম আর না করলে হয় না । কোন দিন যে নিজের বইন-ভাগ্নিরেই ধইরা বসি..

কথাটা জিসানের বুকে ইলেকট্রিক শকের মত বিদ্ধ হয় । স্থির চোখে তাকিয়ে থাকে সে জইস্যার দিকে । ছলছল করে উঠা চোখে একফোটা জল চিকচিক করে । মাথাটা নিচু করে হনহন করে হেটে বাইকের দিকে এগিয়ে যায় জিসান ।

অতঃপর জিসানের বাইক চিতার গতিতে নিজ মহল্লার দিকে ফিরে যেতে থাকে ।



***********************************

গল্পঃ স্কুলড্রেস


-মা, বাজান রে কইছ ? ঈদের তো আর মাত্র দুই দিন বাকি ।
-হ, কইছি বাপ! তোর বাজান কইছে ঈদের আগেই কিইন্যা আনব ।

মায়ের আশ্বাস পেয়ে খুশিতে ডগবগ করতে করতে খেলতে চলে যায় মিন্টু । মা করুণ দৃষ্টিতে তার এগার বছরের লক্ষী ছেলেটার আনন্দ দেখতে থাকে ।

মিন্টুর বাবা ইরফান শহরের পাইকারি বাজার কালীঘাটে মুঠেগিরি করে । শহরতলীতে বস্তির মত একটা ঘুপচি ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করে । দিন আনে দিন খায়, প্রতিদিনের আয় থেকে কষ্ট করে কিছু বাঁচিয়ে ঘর ভাড়ার টাকা দেয় । মিন্টুর মা ও পাশের এক বাড়িতে ঝি'য়ের কাজ করে । এত কষ্টের মাঝেও ইরফান ছেলেকে স্কুলে পড়াচ্ছে । মিন্টু স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে ।

চতুর্থ শ্রেনীতে উঠার পর মিন্টু কে নতুন স্কুলড্রেস কিনে দেয়া সম্ভব হয় নি মুঠে বাবা ইরফানের । পুরাতন স্কুল ড্রেস নিয়ে মিন্টুরও কোন আক্ষেপ নেই । সে তার বাবা-মা'র করুণ আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ন সজাগ । কিন্তু সেদিন শার্টের বগলের দিকে সেলাই ছুটে একটা ছিদ্র হয়েছিল । দুষ্ট ছেলের দল কলম দিয়ে খুঁচিয়ে সেটাকে বড় করে দিয়েছে । মিন্টুর মা সেটা আবার সেলাই করে দিয়েছেন । এখন মিন্টু স্কুলে গেলে সব সময় আতন্কে থাকে, তার ড্রেস কখন জানি ছিড়ে বা ফেটে যায় ।

এজন্যই মিন্টু তার বাবাকে আবদার করেছে,
-বাবা, ঈদে আমাকে কিছু দেয়া লাগবে না । আমারে শুধু এক সেট নতুন স্কুলড্রেস কিইন্যা দিও ।
আর এই কথাটাই মিন্টু রোজ তার মা কে বলছে, যেন বাবাকে মনে করিয়ে দেয়া হয় ।

ঈদের চাঁদ দেখা গেছে । চাঁদ রাতে বাজারে সারা রাত ধরে কেনাবেচা হয় । মিন্টু জানে আজ তার বাবার ফিরতে দেরি হবে । তবু সে বাবার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করতে থাকে । মা তাকে তাড়া দেয়, 'ঘুমিয়ে পড় সোনা, সকালে দেখিস' । কিন্তু কিছুতেই তার ঘুম আসে না । অবশেষে মধ্য রাতে ইরফান বাসায় ফিরে আসে হাতে একটা পোটলা নিয়ে । মিন্টুর মনে আনন্দের বান বয়ে যায়, তার বাবা তার জন্য নতুন স্কুলড্রেস কিনে এনেছে ।

রান্না ঘরে খেতে খেতে মিন্টুর বাবা তার মায়ের সাথে ফিসফিস করে কি যেন আলাপ করে । বাবার খাওয়া শেষ হবার পর মা মিন্টু কে রান্না ঘরে যেতে বলে । মিন্টু বুঝতে পারে তার বাবা এখন তাকে নতুন স্কুল ড্রেস পড়িয়ে দেখবে কেমন লাগে । খুশি মনে মিন্টু রান্না ঘরে যায় ।

-দরজা টা একটু চেপে দে বাপ ।

বাবার কথায় মিন্টু দরজাটা ভিড়িয়ে দেয় । দরজা ভেড়ানোর পর মিন্টু তার বাবা কে দেখে অবাক হয়ে যায় । প্রচন্ড রাগ-অভিমান নিয়ে তার বাবা একটা লাঠি হাতে বসে আছে । বাবার হাতে লাঠি কেন ? মিন্টু কি তবে নতুন স্কুলড্রেস চেয়ে বড় কোন অন্যায় করেছে ? আর তার অন্যায়ের শাস্তি হিসাবে বাবা তাকে লাঠিপিটা করবে ? মিন্টুও মনে মনে শক্ত হয়ে যায় । বাবা যতই পিটুক, সে একটি বারের জন্যেও কাঁদবে না ।

-মিন্টু বাপ শোন । তোর বাবা খুব গরীব । বাজারে মুঠেগিরি করে যা পায় তাতে খাবারই ঠিকমত জোগার হয় না । এইবার কাজ-কামও কম ছিল বাপ, রুজি-রোজগারও তেমন হয় নি । তাই তোর নতুন স্কুলড্রেস বাবা কিনতে পারিনি । আমি দোষ করেছি বাপ, এখন আমাকে এই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তোর বাবাকে শাস্তি দে । নে বাপ লাঠি নে, শুরু কর..

ইরফান মিন্টুর হাতে লাঠি তুলে দেয় । লাঠি হাতে নিয়ে মিন্টু অবাক বিষ্ময়ে তার অসহায় বাবার দিকে তাকিয়ে থাকে । পিতা-পুত্র এভাবে কিছুক্ষন একে অপরের দিকে নির্বাক তাকিয়ে রয় । এমন সময় দরজা খুলে তার মা প্রবেশ করে । বাপ-ছেলে'র নির্বাক মুখ দেখে মিন্টুর মা আর সহ্য করতে পারে না । মিন্টু কে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরে । মিন্টু তখন তার মা কে জড়িয়ে ধরে বলে,
-মা, বাবা কে বল আমার নতুন স্কুলড্রেস লাগবে না । আমি আর কখনো স্কুলড্রেস চাইব না বাবা । আমার কিচ্ছু লাগবে না, কিচ্ছু না..

বাবাও তখন মিন্টু কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে । বাবা-মা -ছেলে'র এই মিলন কান্নায় সেদিন সৃষ্টিকর্তার আরশ কেঁপে উঠেছিল কি না তা আমাদের জানা নেই ।


**********************************

উৎসর্গঃ ব্লগার আমিনুর রহমান এবং ব্লগার কান্ডারী অথর্ব ।


সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
৪২টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×