প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিশ্বজিৎ ও তার পরিবারের কাছে।হয়ত এই ক্ষমা চাওয়া মারা যাওয়া বিশ্বজিৎ ও শোকে পাথর হয়ে যাওয়া তার পরিবারের কোন কাজেই আসবে না,তবে মানুষ হিসেবে এই ক্ষমা চাওয়াটা আমার কর্তব্য হিসেবে মনে করছি।
মিঃ মহিউদ্দীন খান আলমগীর,আমাদের কি অন্ধ মনে হয়?আপনি হয়ত কালো গ্লাস আঁটা গাড়িতে ঘুরেন,তাই হয়ত সাধারণ মানুষের চোখের ভাষা পড়তে পারেন না। যদি আমজনতার চোখের ভাষা পড়তে পারতেন তাহলে অবশ্যই দেখতে পেতেন,শেষ বয়সে সরকারের শেষ সময়ে এসে মন্ত্রী হয়ে বছরের সেরা মিথ্যাবাদীর খেতাব জিতে নিয়েছেন।স্থির চিত্র আর ভিডিওতে দিনের আলোয় দেখা সত্যকে বার বার মিথ্যার আড়ালে লুকাতে চাইছেন,এটা কি ঠিক?
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপনার মিথ্যা কি আপনার দল,সরকার বা নিজের অনেক উপকারে আসতেছে?আমি জানি না কারা আপনার মিথ্যা কথায় সন্তুষ্ট হচ্ছে।
আপনি যদি বিশ্বজিৎ এর খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেন,তাহলে কি আপনার দল বা সরকারের সুনাম হতনা?কিন্তু আপনি সত্যকে লুকানোর জন্য বার বার মিথ্যা বলছেন।এতে একদিকে দলের বদনাম হচ্ছে,সরকারের বদনাম হচ্ছে।যার দায় সবশেষে বর্তায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপর।
আশা করব আপনাকে মন্ত্রীসভা থেকে বিদায় জানিয়ে এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার করা পাপের শাস্তি দিবেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি বলব,আপনারা এবার ক্ষান্ত দিন।দুধের মধ্যে এক ফোঁটা চ্যানা পড়লে কি হতে পারে তা ছাত্রলীগ দেখলেই বোঝা যায়।যে ছাত্রলীগের ইতিহাস ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস,সেই ছাত্রলীগ কে আপনারা একটা কলঙ্কের ইতিহাসের অপর নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আপনারা কতটা ঘৃণার জন্ম দিয়েছেন যে জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।বিশ্বজিৎ এর খুনি গুটি কয়েক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নামধারীদের বাচাতে কেন আপনারা পুরা আওয়ামী পরিবারকে জনতার সামনে অপরাধীর কাতারে দাড় করাচ্ছেন?
আচ্ছা,আপনারা তো কত বীরত্বপূর্ণ কাজ করছেন !!তা কোথায় ছিল সেই বীরত্ব যখন ১/১১ এর পর নেত্রী গ্রেপ্তার হয়েছিল?সেদিন ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতা ছাড়া (যার মধ্যে আমাদের ব্লগের একজন ব্লগার আছেন,যাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি )আর সবাই যে ইন্দুরের গর্তে লুকাইছিলেন তা আমজনতা কিন্তু ভালভাবেই জানে।আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি,যেসব অমানুষ ছাত্রলীগের নাম নিয়ে অপকর্ম করছে,সামনে আওয়ামী লীগ বা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিপদে পড়লে তাদের কোথাও কোন আন্দোলনে পাওয়া যাবে না।
শেষে এটুকু বলব,হে ছাত্রলীগ,আওয়ামী লীগরে যে পরিমাণ বাঁশ দিয়েছেন তার জন্যই আগামীতে নির্বাচনে যে ভোগা ভুগতে হবে তাতে নতুন কোন অপকর্ম যোগ করে আওয়ামীলীগরে আর বিপদে ফালাইয়েন না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




