চলচ্চিত্র ছেড়ে হ্যাপির তওবা...
আলোচিত চিত্রনায়িকা নাজনীন আকতার
হ্যাপি ছবি থেকে দূরে সরে আল্লাহর
কাছে তওবা করে ইবাদতের মাধ্যমে
ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবেন বলে
জানিয়েছেন। হ্যাপি যতটানা আলোচনায়
এসেছেন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চেয়ে
বেশি জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল
হোসেনের সঙ্গে প্রেম, অতপর মামলা
করে। বৃহস্পতিবার রাতে হ্যাপি নতুন এই
সিদ্ধান্তের কথা জানান তার ফেসবুকে
এক স্ট্যাটাস দিয়ে।
হ্যাপির দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা
হলো-
আসসালামু আলাইকুম। আমি আমার
জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
নিয়েছি আরও বেশকিছুদিন আগে। আমি
চলচ্চিত্র, মিডিয়া ওই সকল রঙিন দুনিয়া
থেকে একেবারের জন্য বিদায় নিয়েছি।
জীবনটাকেই বদলে ফেলেছি এবং
আল্লাহের কাছে তওবা করে এখন শুধু
নামাজ আর ভালো মানুষ হওয়ার
আকাঙ্ক্ষায় দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে
অদ্ভূত এক শান্তি, যে শান্তি দুনিয়ার সব
সম্পদ নিজের থাকলেও সম্ভব নয়।
আমাদের প্রত্যেকের এটাই চিন্তা করা
উচিত যে, দুনিয়া খুব কম সময়ের এই সময়টা
শুধুমাত্র আল্লাহের ইবাদাত করার জন্য,আর
কোন কিছুর জন্য নয়। আমরা যদি সবাই
একবার চিন্তা করি দুনিয়া কি? কিসের
জন্য? মৃত্যুর পর কি হবে? তাহলে আমরা সব
উত্তর পেয়ে যাব। আমি খুব ভাগ্যবতী যে,
আমি নিজের ভূল বুঝে এখন শুধু আল্লাহর
ভালোবাসায় মগ্ন। দুনিয়ার কোন শক্তি
নেই আমাকে অসৎ পথে নিয়ে যাওয়ার বা
আল্লাহের পথ থেকে সরানোর। আমার
সাথে যে বা যারা অন্যায় করেছে আমি
সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি, আর চাই
আল্লাহ তাদের সঠিক পথে আসার তৌফিক
দান করুক এবং তাদের ক্ষমা করুক।
বিশ্বাস করুন ইসলামের পথে চলা আর
ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করার মধ্যে
বেহেশতের সুখ যা আপনি আর কোনভাবে
অনুভব করতে পারবেন না। দুনিয়াতে যে যত
বেশি কষ্টে থাকে সে তত ভাগ্যবান/
ভাগ্যবতী কারণ আল্লাহ তার যেই
বান্দাদের বেশি ভালোবাসেন তাদেরকে
দুঃখ-কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন আর এই
পরিক্ষায় পাশ করতে পারলে আল্লাহ তার
জন্য আখিরাতে অনেক বড় পুরষ্কারের
ব্যবস্থা করবেন। আর যেই মানুষ অন্য একজন
মানুষকে নিয়ে হাসি-তামাসা, ঠাট্টা,
বিদ্রুপ আর ছোট এবং অপমান করে
তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে আরও সুযোগ
দেয় এবং মৃত্যুর পর তাদের কঠিন শাস্তি
পেতে হবে।
আমি বেপর্দায় চলতাম, ইসলাম মেনে
চলতাম না, রঙ্গিন দুনিয়ায় চলতাম আমি
যদি আল্লাহকে ভয় করে ও আল্লাহকে
ভালবেসে ইসলামের পথে আসতে পারি
তাহলে আপনি/আপনারা কেন পারবেন না?
আল্লাহ সবসময় অপেক্ষা করেন তার বান্দা
কখন তার কাছে ক্ষমা চায় এবং আল্লাহের
দেখানো পথে চলে! আমি আল্লাহকে
ভালোবেসে যে সুখ পাচ্ছি যা জীবনে আর
কখনোও পাইনি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন
আমার ঈমান ঠিক রেখে বাকি জীবন
আল্লাহর দেখানো পথ অনুসরণ করে চলতে
পারি। মানুষ চাইলেই বদলাতে পারে আর
আল্লাহর পথে চলতে চাইলে তিনি নিজে
পথ দেখিয়ে দেন। এই মুহূর্তে যদি মারা
যাই আল্লাহর কাছে কিভাবে পাপের
জবাবদিহি করব? দুনিয়া থেকে পরকালের
জন্য কি নিয়ে যাব? এইসব একবার ভাবুন
তাহলেই একজন ভাল ও পবিত্র মানুষ হতে
পারবেন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪