ডিম ভাজি আমাদের (যারা বাইরে থাকি) প্রধান খাদ্য তালিকার একটা আইটেম এইটা অনেকটাই ধ্রূব সত্য। টিপিকাল ডিমভাজিতে পিয়াজ আর কাঁচা মরিচ লাগেই। কিন্তু আলস্য বা পেয়াজ কাটা ভেজালের জন্য অনেক সময়েই ডিমভাজির বদলে ডিম-পোস খাওন লাগে।
তাই বইল্লা ডিমভাজি খাওনত আর বাদ দেওন যায় না।
আসেন তাইলে একটা অলটারনেট টেরাই করি পিয়াজ ছাড়া:
উপকরণ:
ডিম ২ টা (মুরগির হইলে ভাল হয়)
চিজ স্লাইস ১ টা (বেশি খাইলে কোলেস্টেরল বাইরা যাইতে পারে)
শিয়কাসি (লবন আর জাপানি কিছু গুড়ার মিশ্রণ) অথবা শুধু লবন
কাঁচা মরিচ/পাকা মরিচ/গুড়া মরিচ (যেইটা যখন থাকে)
ডিম ভাইঙ্গা একটা বাটিতে লন। তার পর চিজ-স্লাইস ছিড়া ছিড়া একই বাটিতে লন (সাবধানতা: এই সময় চিজ টেস্ট করা নিষেধ) লবন আর মরিচ (যে যেই রকম খান) দিয়া ভালমত ডিমটারে ফাটান। (চিজ ফাটাইতে যাইয়েন না; কারণ যতই ফাটান ঐডা ফাটব না)।
এইবার সসপ্যানে তেল দিয়া গরম করেন (গরম হইছে কিনা হাত দিয়া টেস্ট করনের দরকার নাই, একফোটা ডিম ফেলাইলেন বুঝবেন) তারপর ফাটাইন্না ডিম আস্তে কইরা সসপ্যানে ছাইড়া দেন (এই সময়ে সতর্কতা হিসাবে সানগ্লাস পইড়া লইতে পারেন, যদি তেলের ছিটা থেইকা চোখ বাচাইতে চান)। একটু পরে ডিমটা উল্টাইয়া দেন তারপর যে যেই রকম ডিমভাজি (কেউ খায় কড়া ভাজি কেউ হালকা) খান সেই রকম কইরা নামাইয়া খাইতে থাকেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ডাল ছাড়া ডিমভাজি দিয়া ভাত আর মাংস ছাড়া বিরানি একই জিনিষ। তাই সবার আগে ডালটা মাইক্রোওয়েভে দিয়া গরম করতে থাইকেন কারণ এই পদ্ধতির ডিম ভাজিতে বড়জোড় ৫ মিনিট লাগে!!