কিন্তু এই মূহুর্তে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, যে মুভিটির রিভিউ লিখতে বসেছি সেটা একটা কমেডি-ড্রামা ফিল্ম। যদিও এই মুভিটা পুরোপুরি হলিউডের না, কিছুটা কানাডিয়ান ব্যাপার আছে। আমার আগের মুভি রিভিউগুলো যারা পড়েছেন, তারা অবশ্যই জানেন যে আমি কোন ধরনের মুভির রিভিউ সাধারণত লিখি। এইটা সম্পূর্ণ নতুন টাইপের মুভি আমার রিভিউ লেখার জন্য। আগে কোনদিন লিখিনি, ভবিষ্যতেও লিখব কি না জানিনা। মুভিটি দেখার পর থেকে এই ব্যাপারে কিছু লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে, তাই আর না লিখে থাকতে পারলাম না।
মুভিটির নাম জুনো। রিলিজ হয়েছে ২০০৭ সালে। অভিনয়ে অ্যালেন পেজ(ইনসেপশন), মাইকেল সিরা এবং জেনিফার গার্নার(ডেয়ারডেভিল, ইলেক্ট্রা)। জুনো চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অ্যালেন পেজ অস্কার নমিনেশন পেয়েছিলেন। মুভিটির ডিরেক্টর জেসন রেইটম্যান। একটু খেয়াল করে দেখলে মুভিটির ক্যামেরার কাজ তথা ফ্রেমিংও মুগ্ধ করবে আপনাকে।
ষোল বছরের মেয়েটির নাম জুনো। সে আবিষ্কার করল যে সে প্রেগনেন্ট। তার বয়ফ্রেন্ডও তাকে কোন সমাধান দিতে পারে না। তখন সে নানান উপায় চিন্তা করতে লাগল। প্রথমে অ্যাবরশনের কথা ভাবলেও পরে সে সিদ্ধান্ত নেয় বাচ্চাটি কাউকে দত্তক দিয়ে দেবার। একটি সন্তানহীন দম্পতির খোঁজও পেয়ে যায়। এর মাঝে সে তার বাবা আর সৎ মা’কেও ব্যাপারটা জানায়। জুনো চায় যে তার বাচ্চাটি একটি ভাল পরিবেশে বেড়ে উঠুক। তাই নিঃসন্তান দম্পতি মার্ক আর ভেনেসা লরিং কে দেখে তার পছন্দ হয়। দত্তক দেবার বিভিন্ন কাগুজে আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়। ভেনেসা লরিং জুনোকে নিয়ে খুবই খুশী, মা হবার আনন্দে সে আত্মহারা।
স্কুলের সবাই জুনোকে অন্য দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করে। তার বয়ফ্রেন্ড অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে প্রম-এ যাচ্ছে এটা জুনোর পছন্দ হয় না। কিছুটা মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে। এর কিছুদিন পর মার্ক লরিং এর কাছে জুনো জানতে পারে যে, ভেনেসার সাথে তার ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে কারণ সে হতে চায় রকষ্টার যেটা এখানে থেকে সম্ভব হচ্ছেনা। জুনো তাকে অনেক অনুরোধ করে কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অটল।
এই অবস্থায় জুনো বুঝে উঠতে পারে না তার কি করা উচিত। সে তার বাবার কাছে সাহায্য চায়। তার বাবা তাকে এমন একজনকে খুঁজে বের করতে বলে যে তাকে ভালবাসবে তার নিজস্বতার জন্য। জুনো বলে যে সে এমন একজনকে খুঁজে পেয়ে গেছে।
তাহলে জুনো এখন কি করবে বলে আপনার ধারণা? জুনো কাকে খুঁজে পেয়েছে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে যদি আপনার কৌতুহল হয় তাহলে দেখে ফেলুন মুভিটি। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে তা করতে পারবেন এখান থেকে ।
রিভিউটা বেশী ভাল করে লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত। আগামীতে আরও ভাল লেখার চেষ্টা করব।
১৯শে জানুয়ারী, ২০১১, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





