somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ জুনো(২০০৭)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
হলিউডে অনেক ধরনের মুভিই তৈরী হয়। এর মাঝে কিছু কিছু টাইপের মুভি আমি সযত্নে এড়িয়ে চলি। এ্যাকশন-কমেডি, কমেডি-ড্রামা, রোমান্টিক-কমেডি... এই ধরনের ‘কমেডি’ টাইটেল সংযুক্ত মুভিগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই আমি পছন্দ করি। এসব মুভিগুলো বেশীরভাগ আমেরিকান হাই স্কুলের উপর ফোকাস করা কোন কাহিনী নিয়ে তৈরী হয়। আবার আমার অনেক বন্ধুদের দেখেছি এই ধরনের মুভিই বেশী পছন্দ করে। মুভির কাহিনীগুলো সরল সোজা, বোঝার ব্যাপার তেমন কিছু নেই। শুধু ঘন্টা দেড়েক তাকিয়ে থাকলেই হয়। এই ধরনের মুভিগুলা রিপ্রেজেন্ট করে ওদের স্কুল কালচার থেকে শুরু করে লাইফষ্টাইলের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে। এই ব্যাপারগুলো আমাকে তেমন টানে না, সেইজন্য আর আগ্রহ পাই না।

কিন্তু এই মূহুর্তে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, যে মুভিটির রিভিউ লিখতে বসেছি সেটা একটা কমেডি-ড্রামা ফিল্ম। যদিও এই মুভিটা পুরোপুরি হলিউডের না, কিছুটা কানাডিয়ান ব্যাপার আছে। আমার আগের মুভি রিভিউগুলো যারা পড়েছেন, তারা অবশ্যই জানেন যে আমি কোন ধরনের মুভির রিভিউ সাধারণত লিখি। এইটা সম্পূর্ণ নতুন টাইপের মুভি আমার রিভিউ লেখার জন্য। আগে কোনদিন লিখিনি, ভবিষ্যতেও লিখব কি না জানিনা। মুভিটি দেখার পর থেকে এই ব্যাপারে কিছু লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে, তাই আর না লিখে থাকতে পারলাম না।

মুভিটির নাম জুনো। রিলিজ হয়েছে ২০০৭ সালে। অভিনয়ে অ্যালেন পেজ(ইনসেপশন), মাইকেল সিরা এবং জেনিফার গার্নার(ডেয়ারডেভিল, ইলেক্ট্রা)। জুনো চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অ্যালেন পেজ অস্কার নমিনেশন পেয়েছিলেন। মুভিটির ডিরেক্টর জেসন রেইটম্যান। একটু খেয়াল করে দেখলে মুভিটির ক্যামেরার কাজ তথা ফ্রেমিংও মুগ্ধ করবে আপনাকে।

ষোল বছরের মেয়েটির নাম জুনো। সে আবিষ্কার করল যে সে প্রেগনেন্ট। তার বয়ফ্রেন্ডও তাকে কোন সমাধান দিতে পারে না। তখন সে নানান উপায় চিন্তা করতে লাগল। প্রথমে অ্যাবরশনের কথা ভাবলেও পরে সে সিদ্ধান্ত নেয় বাচ্চাটি কাউকে দত্তক দিয়ে দেবার। একটি সন্তানহীন দম্পতির খোঁজও পেয়ে যায়। এর মাঝে সে তার বাবা আর সৎ মা’কেও ব্যাপারটা জানায়। জুনো চায় যে তার বাচ্চাটি একটি ভাল পরিবেশে বেড়ে উঠুক। তাই নিঃসন্তান দম্পতি মার্ক আর ভেনেসা লরিং কে দেখে তার পছন্দ হয়। দত্তক দেবার বিভিন্ন কাগুজে আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়। ভেনেসা লরিং জুনোকে নিয়ে খুবই খুশী, মা হবার আনন্দে সে আত্মহারা।

স্কুলের সবাই জুনোকে অন্য দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করে। তার বয়ফ্রেন্ড অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে প্রম-এ যাচ্ছে এটা জুনোর পছন্দ হয় না। কিছুটা মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে। এর কিছুদিন পর মার্ক লরিং এর কাছে জুনো জানতে পারে যে, ভেনেসার সাথে তার ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে কারণ সে হতে চায় রকষ্টার যেটা এখানে থেকে সম্ভব হচ্ছেনা। জুনো তাকে অনেক অনুরোধ করে কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অটল।

এই অবস্থায় জুনো বুঝে উঠতে পারে না তার কি করা উচিত। সে তার বাবার কাছে সাহায্য চায়। তার বাবা তাকে এমন একজনকে খুঁজে বের করতে বলে যে তাকে ভালবাসবে তার নিজস্বতার জন্য। জুনো বলে যে সে এমন একজনকে খুঁজে পেয়ে গেছে।

তাহলে জুনো এখন কি করবে বলে আপনার ধারণা? জুনো কাকে খুঁজে পেয়েছে?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে যদি আপনার কৌতুহল হয় তাহলে দেখে ফেলুন মুভিটি। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে তা করতে পারবেন এখান থেকে

রিভিউটা বেশী ভাল করে লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত। আগামীতে আরও ভাল লেখার চেষ্টা করব।


১৯শে জানুয়ারী, ২০১১, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×