ডেভিলস এডভোকেট ছবিটা যারা দেখেছেন তারা ভালোভাবে বুজতে পারবেন ।যেইনা আইনায় তাকালাম হঠাৎ করে আমি চলে গেলাম সেই অনেক দিনের পুরানো অতীতে।ঠিক ছবিতে কানু রিভস যেভাবে চলে গিয়েছিলেন তার ভবিষ্যতে।
সেই অনেক দিন আগের কথা আমরা গ্রামে গিয়েছিলাম আমার নানার বাড়িতে বেড়াতে।নানাদের বাড়ি টা হলো একলা বাড়ি মানে মুল বাড়ি থেকে বাহিরে তারা নতুন বাড়ি বানিয়েছেন।মামারা সব বাহিরে থাকেন তাই আমার খালারা বেশির ভাগ সময় নানাবাড়িতেই থাকতেন।খালাতো ভাইয়েরা আমার খুব আদর করতো।আমি যাই করি না কেনো আমার জন্যে সাত খুন মাফ।নানা নানি খালা সবাইর কাছে অনেক অনেক ভালোবাসা পেতাম।আর ঢাকা থেকে কেউ গেলে গ্রামের মানুষ এমনিতেই একটু বেশি ছাড় দেয় সব ব্যাপারেই।
নানাদের অনেক গুলো গরু এবং ছাগল ছিলো।তো এগুলো দেখাশুনা করার জন্যে ছিলো একজন লোক উনাকে মামা বলে ডাকতাম।উনাদের বাড়ি ছিলো রংপুর।আমি ঠিকমতো খেতাম না তাই আম্মু একটা বুদ্ধি বের করলো যে রহিম মামা যখন খেতে আসতো আম্মু আমাকে তার সামনে নিয়ে যেতো এবং বলতো দেখ তুমার রহিম মামা ভাত খাচ্ছে তুমি খাবা?কি আর বলবো রহিম মামার খাওয়া দেখে আমারো কেমন জানি খাইতে ইচ্ছা করতো।আম্মু ও এর পর রহিম মামা খাইতে আসলেই আমারে সামনে নিয়া যাইতো আর আমিও ভালো ছেলে র মতো ভাত খাইতাম।
আশে পাশের বাড়ির মানুষের ছাগলের বাচ্ছা গুলো মাঝে মাঝে নানাদের
ছাগলগুলো র সাথে বাড়ি তে চলে আসতো।তো আমি এদের কে ভাগায় দিতাম।একদিন মেজাজ গরম হয়ে গেলো বার বার ভাগানোর পরেও ঐ ছাগলের বাচ্চাগুলো আবার ফেরত আসে।একটা ছাগলের বাচ্ছা কে আমি ধরে গলাটিপে মেরেই ফেললাম।আমি একটু বেশি জিদি ছিলাম ছোটোকালে।হায় হায় ঐ ছগলের মালিক মহিলা টা একটু গরিব টাইপ ছিলো
উনি তো কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন।আমারে না পারে কিছু কইতে তাই ছাগলের জন্যে কাদঁতেই থাকে।আম্মু বললো থাক যা হওয়ার তাতো হয়েছে আমি আপনারে ছাগলের দাম দিয়ে দেবো।তারপর আম্মু তারে টাকা দিলো এবং সে কান্নকাটি থামালো।
এর মধ্যে যা হবার তাই হলো আশে পাশের সবাই আসতে থাকলো নানুদের বাড়িতে ।সবাই আমাকে লুকিয়ে লুকয়ে দেখে মনে হয় আমি চিড়িখানার কোনো প্রাণি।আর শুনি তারা বলে এই ছেলে এই বয়সে ছাগল মেরে ফেলছে বড়ো হয়ে না জানি মানুষ মারবে।অথচ বড়ো হয়ে আমি একদম ভালো একটা ছেলে হয়ে গেলাম।শুধুই পড়ালেখা খেলাধুলা নিয়েই থাকতাম।কখনো কাউকে একটা চড়ও মারি নাই।
এইটা জাস্ট একটা মেমরি সবার সাথে শেয়ার করলাম।এটা মনে আসলে নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগে।এর পর বড়ো হয়ে যখনি নানাদের বাড়িতে গেছি সবাই এই ব্যাপারটা নিয়া আমার পচাইতো।আশা করি আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন।
এই গল্পের মাধ্যমে কাউরে কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ কইরা দিয়েন।