দিন-দিন জামাত-শিবির বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন সংগঠনকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছে এবং পাশাপাশি তাদের একত্র করে জোটবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোকে ‘ফ্রন্ট লাইনে’ রেখে চোরাগোপ্তা হামলাসহ নানা পরিকল্পনা করছে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এসব তথ্য পেয়ে বাংলাদেশের ৪১টি সংগঠনের উপর কড়া নজরদারি করছে। এমনকি ওই সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোথায় যাচ্ছে বা কী করছে, তাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে সম্প্রতি দুটি গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে অবহিত করেছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানোর ছক এঁকেছে তারা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ে জামাতের তৎপরতা আলোচনায় রয়েছে। সব মহলের মনিটরিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নানা তথ্যের ভিত্তিতে সমমনা সংগঠন ও উগ্র সংগঠনগুলোর উপর কড়া নজরদারি চলছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ পেয়েই দেশের সব কটি গোয়েন্দা সংস্থা ইসলামী সমাজ, হিযবুত তাহরীর, ইসলামী ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাগ্রত মুসলিম জনতা, আল্লাহর দল, শাহাদাৎ-ই হিকমা, তামির আদ-দ্বীন বাংলাদেশ ও তৌহিদী ট্রাস্ট, ইসলাম রক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবিরোধী দল, বিশ্ব ইসলামিক ফ্রন্ট, ছাত্র জামাত, দাওয়াতে ইসলাম, হিযবা আবু ওমর, হিযবুল মাহাদী, এহসার বাহিনী, হরকাতে ইসলাম আল জিহাদ, হায়াতুল ইগাছা, আহলে হাদিস তাবলিগ ইসলাম, আল জিহাদ বাংলাদেশ, আল খেদমত, আল মুজাহিদ, আল তানজিব, আমানাতুল ফোকান আল খাইরিয়া, আমিরাতে দ্বীন, আঞ্জুমানে তালামিজা ইসলামিয়া, হেফাজতে খতমে নবুওয়ত, জামাতে আহলে হাদিস, জামায়ে জামাতে ইসলামী সলিডারিটি ফ্রন্ট, জামায়াতুল আহিয়া উত-তুরাজ, খতমে নবুওয়ত, ইসলামী জিহাদ গ্রুপ, ইসলামী লিবারেশন টাইগার অব বাংলাদেশ, হিযবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, জেএমবি, জেএমজেবি ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি), হিজবুত তাওহিদসহ সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের উপর কড়া নজরদারি করছে। পাশাপাশি র্যাব ও পুলিশ আলাদাভাবে নজরদারি করছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সব জেলার ডিসি-এসপিকে এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। একই সাথে সতর্ক করা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’কে।
পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, জামাত-শিবির নানা কৌশলে বিভিন্ন সংগঠনকে একই প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছে বলে তথ্য রয়েছে। এ জন্য আপাতত ৪১টি সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




