ঈদের আগের রাতে তেমন কিছু না করলেও বড় কাজিনের সাথে রাত করে কিছুক্ষণ ঘুরা। তারপর বড় চাচা আর ছোট চাচির ঘরে আড্ডা মারা। ছোট চাচাতো ভাই-বোনদের সাথে খুনসুটি। তারপর বোনের কাছে চাচাতো বোনদের মেহেদি লাগানোর সিরিয়াল মেইনটেইন করা। ঈদের আগের রাতে ঘুম কম হলেও পরদিনের আনন্দের কমতি হয় না।
সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে যাবো ফজর নামাজ পড়তে।তারপর বারান্দায় বসে দেখব ভোরের আলোতে চারদিকের অন্ধকার দূর হওয়া। মায়ের দেয়া চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ঘুম তাড়িয়ে যাবো রান্না ঘরে। পুডিং হয়ত তখনও গরম থাকবে তবুও লুকিয়ে এক পিস খাওয়া হবে। সবার আগে গোছল করে পাঞ্জাবি পড়ে যাবো বাড়ির বড় বারান্দায়। চাচাতো ভাইদের যাবো তাগাদা দিতে। বড় চাচির ডাকে হয়ত অল্প কিছু মিষ্টি খাবার খেয়ে যাবো মসজিদে সবাই মিলে। দুতলার কর্ণারে সবাই একসাথে বসে জায়গা রাখব চাচাদের জন্য। নামাজ শেষে কোলাকুলির মিছিলে যাবো নিজ ভ্রাতাদের আলিঙ্গনে। সব চাচাতো ভাইদের আগমন বারান্দায় দেখে বড় ও ছোট বোনেদের আসা হবে নিচতলায়। তারপর কিছুটা খাওয়া ও অনেকটা সালামির আশায় সব চাচার বাসায় যাওয়া হবে। তারপর রয়েছে চার মামা আর তিন খালার বাসা। বাসা টু বাসা ঘুরে মাঝরাতেই খাওয়া হয় মায়ের হাতের রান্না করা ঈদের খাবার।
সারাটা জীবন এভাবেই পার করে আসছি। এবার হয়ত হবে অন্য কিছু তবুও পুরনো স্মৃতি নতুনের আগমনে মুছে যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




