somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বিশ্বকাপ ভাবনা।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১.
আর্জেন্টাইনদের চোখে ম্যারাডোনা কেবলই দেশের ইতিহাসের সেরা ফুটবল জিনিয়াস না, বরং গড। ওরা তাঁকে ফুটবল ঈশ্বর বলে থাকে। ছিয়াশির বিশ্বকাপে একা হাতে যেভাবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন, ৯০ এ ফাইনালে নিয়ে গেলেন, এবং ৯৪তে যদি ড্রাগ কেলেঙ্কারি না হতো, তাহলে সেই বিশ্বকাপেও একটা কোন ঘটনা (হয়তো প্রথমবারের মতন ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ফাইনাল) ঘটতো এইটা মোটামুটি নিশ্চিত। বাতিস্তুতা তখন আগুনে ফর্মে, ম্যারাডোনার সহায়তা পেলে একটা কিছু করে দেখাতো নিশ্চিত। এদিকে ব্রাজিলের ছিল রোমারিও - সেই রকম টুর্নামেন্ট হতো।
সেই তুলনায় মেসি তাঁদের কারও কারোর চোখে মহানায়ক, কারও কারোর চোখে ভিলেন।
যাদের চোখে ভিলেন, তাঁদের কথা হচ্ছে, "ওতো স্পেনে বড় হয়েছে, সেখানেই খেলেছে, বার্সেলোনার জন্যই ট্রফি জিতেছে। আমাদের জন্য ও কী করেছে? ও একজন ইউরোপিয়ান, মোটেও আর্জেন্টাইন না।"
আর্জেন্টিনা ব্রাজিল এদের সমর্থকদের কাছে শিরোপা জয়ই শেষ কথা। আমাদের মতন না যে হারলেও মাথায় তুলে রাখি। তুমি পৃথিবী কাঁপানো ফুটবলার হলেও দলকে শিরোপা জিতাতে না পারলে তোমার সব অর্জন বাতিল।
এক নজরে দেখে ফেলা যাক জাতীয় দলের হয়ে মেসির অবদান।
অভিষেকের পর মেসির সবচেয়ে বড় অর্জন তিনি একা হাতে দলকে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলেছিলেন। ফাইনালে দল হেরেছিল আমার ধারণা জার্মানির বিপক্ষে অতিরিক্ত সাবধানী ফুটবল খেলতে গিয়েই। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন বল জিতলেও মেসির দোষ, কারন শিরোপা জেতা হয়নি।
এরপর কোপা আমেরিকার ফাইনালে টাইব্রেকারে পরাজয়। মেসি ছাড়া কেউই গোল করতে পারেন নি। কিন্তু তারপরেও দোষ পড়লো মেসির ঘাড়ে।
এরপরের কোপা ফাইনালেও টাইব্রেকারে পরাজয়। এবং এইবার মেসি নিজে পেনাল্টি শুট মিস করলেন। পুরো দেশ জুড়ে রব উঠলো মেসিই অভিশপ্ত। জাতীয় দলের হয়ে সে কিছুই করতে পারেনি, তাঁকে দিয়ে কিছু হবেনা।
বুক ভাঙা কষ্টে বেচারা জাতীয় দল থেকে অবসরের কথাই ভাবছিলেন।
কেউ এইটা বিবেচনায় নিল না, যখন গ্রোথের সমস্যার কারনে তাঁর গরিব পিতামাতা তাঁর চিকিৎসা করতে অপারগ, দেশের কেউ এগিয়ে আসেনি, তখন এই স্প্যানিশ ক্লাবটিই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। যদি বার্সেলোনা না থাকতো, মেসি আজকের মেসি হতে পারতো না। এবং ছেলেটির কতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধ দেখুন, সে সেই ক্লাব ছেড়ে অন্য কোথাও যাবার কথা মাথাতেও আনেনি।
শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা স্পেনে, ইচ্ছে করলেই স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারতেন। সেটা করলে কেউ দোষও দিত না তাঁকে। সেটাও হতো ঋণ শোধ। এবং যদি খেলতেন, আর্জেন্টিনার চেয়ে কমতো না, বরং আরও শক্তিশালী (কিছুদিন আগেই এই স্পেনের কাছেই আর্জেন্টিনা ৬-১ এ হেরেছিল, ব্রাজিল সেভেনআপ হলে আর্জেন্টিনাও সিক্স আপ :)) একটি দল নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারতেন, এবং সেই দল চ্যাম্পিয়নও হতো। কিন্তু তারপরেও ছেলেটা মাতৃভূমির ঋণের টানে সাদা আকাশি জার্সি গায়ে নামেন। নিজের দেশের লোকেরা দুয়োধ্বনি দেয়, তারপরেও। কারন, সেই দেশেরই মানুষ ভালবেসে তাঁর জন্য প্লেকার্ড তুলে ধরে, যেখানে লেখা, "তুমি যদি স্বর্গে যাও মেসি, তাহলে তোমার দেখা পেতে আমি মরতেও রাজি আছি।"
এই বিশ্বকাপে কিভাবে রূপকথার মতন কোয়ালিফাই করলো আর্জেন্টিনা সেটাতো সবাই জানেনই। মেসিই একা টেনে এনেছেন। এবং এখানেই একজন ব্রাজিল সমর্থক হিসেবে আমার ভয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আগেও এইরকম ফিনিক্স পাখিরা ছাইয়ের গাদা থেকে উঠে এসে আকাশে ডানা মেলেছিল। ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়, যেখানে এডিসন নাসিমুনতো নামের এক সতেরো বছরের বাচ্চা "পেলে" হলো, সেই বিশ্বকাপেও ব্রাজিল বাদ পড়তে পড়তে সুযোগ পেয়েছিল। এবং গ্রেট খেলোয়াড়রা বড় মঞ্চকেই বেছে নেন লেজেন্ড হবার জন্য।
মেসির পেছনে বহু ব্যালেন ডিঅর আছে, আরও বহু স্বীকৃতি আছে তাঁর গ্রেটনেসের, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, এই বিশ্বকাপে কিছু একটা করে দেখানো তাঁর নিয়তি।
এবং সেটা করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই কপাল পুড়বে ব্রাজিলের।
২.
ব্রাজিলের এই দলটা ভাল, ভয়াবহ শক্তিশালী। অনেকের মতেই হট ফেভারিট। বিশেষ করে মাঝমাঠ ও সামনের যে ত্রিশূল ফলা, অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনিওর দিনগুলোর কথা। ব্রাজিলের গোলকিপিং এবং ডিফেন্সও এইবার শক্তিশালী, যা তাঁদের বরাবরের দুর্বলতা ছিল। এবং মধ্যমনি নেইমারতো আছেই। কিন্তু গত বিশ্বকাপে এই অতিরিক্ত নেইমার নির্ভরশীলতা ডুবিয়েছিল। এইবার আশা করি সেই ভুল হবেনা।
যদিও এইবার ব্রাজিল যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ন দল। প্রতিটা খেলোয়াড় যার যার অবস্থানে বিশ্বমানের।
ব্রাজিলিয়ানরা এইবার যাচ্ছেও ঢাকঢোল পিটিয়ে। শেষ কবে হেরেছিল সেটা হিসেব করতে গুগলের সাহায্য লাগে। জার্মানিতে গিয়ে জার্মানিকে ১-০তে হারিয়ে মোটামুটি বুঝিয়ে দিয়েছে সামনে যেই আসুক না কেন, তাঁদের খবর আছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া, এবং আজকে অস্ট্রিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়ার জন্য ভালই প্রস্তুত মনে হচ্ছে।
তবে একটাই ভয়, প্রতিটা খেলোয়াড়ই দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে খেলে থাকে। দলগত কেমেস্ট্রি যেটা, দল হিসেবে খেলার যে মানসিকতা, সেটা যদি মিসিং হয়, তাহলে এইবারও হেক্সা মিশন হবেনা।
আর তাছাড়া ইতিহাসের একটা বদভ্যাস বলছে, যারাই এমন বিশ্ব কাঁপিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে, তাঁরাই রহস্যজনকভাবে উড়ে গিয়েছে। নিকট অতীতেরই উদাহরণ দেই।
২০০২ বিশ্বকাপে ফ্রান্স এসেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে। দলের তিনজন স্ট্রাইকারের তিনজনই ছিল বিশ্বের তিনটি শক্তিশালী লীগের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। সাথে জিনেদিন জিদানতো ছিলেনই।
উড়ে গেল। প্রথম রাউন্ড থেকেই স্রেফ উড়ে গেল। একটা গোলও স্কোর করতে পারলো না।
আর্জেন্টিনাও এসেছিল সেইরকম শক্তিশালী দল নিয়ে। ঢাকঢোল পিটিয়ে। সবাই ধরে নিয়েছিল ৮৬ এর পর ২০০২ এ ঘটনা ঘটে যাবে।
তাঁরাও বাদ।
লোকে বলতো এ কেমন ভুতুড়ে বিশ্বকাপরে বাবা!
সেই ভুতুড়ে বিশ্বকাপেই ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এমন একটা দল নিয়ে, যেখানে রোমারিওর মতন মহাতারকাকে ইচ্ছা করেই কোচ দলে রাখেননি। প্রেসিডেন্টের অনুরোধ উপেক্ষা করেও। তিনি বলেছিলেন, "আমি এমন কোন খেলোয়াড়কে রাখতে চাইনা, যে দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে।"
রোনালদোর উপর কারোরই ভরসা ছিল না। ৯৮ ফাইনালে চোক করার পর চারটা বছর স্রেফ হারিয়ে গিয়েছিলেন দ্য ফেনোমেনন। রোনালদিনিও তখনও স্কিলফুল নতুন খেলোয়াড়। কিন্তু ম্যাজিশিয়ান নন। রিভালদো মোটামুটি ভাল খেলেন, এই যা।
এইবার সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য ব্রাজিলকে ঘিরে। দেখা যাক কী ঘটে। আল্লাহ ভরসা।

৩.
লাতিন দলগুলোর যা দুর্বলতা, জার্মানি এবং স্পেনের এইটাই এডভান্টেজ। ইনফ্যাক্ট ইউরোপিয়ান দলগুলোরই এইটা এডভান্টেজ বলতে হবে। দলের মধ্যকার খেলোয়াড়রা নিজের দেশেই খেলে, বেশিরভাগই ক্লাব সতীর্থ। গত তিনটা বিশ্বকাপ দেখুন, জার্মানি, স্পেন এবং ইতালি, তিনটাই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন।
তবে জার্মান ফরোয়ার্ডদের কেন যেন আগের দলগুলোর তুলনায় দুর্বল মনে হলো। আগে যেমন ডি বক্সের বাইরে থেকে বহু দূর পাল্লার শটও নিখুঁত নিশানায় জালে ভরে দিতে পারতো, এখনকার স্ট্রাইকারদের সেই স্কিল কম দেখছি। আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। আবার এও হতে পারে, বিশ্বকাপ আসতে আসতেই তাঁরা নিজেদের আসল চেহারায় দেখা দিবে।
তবে রাশিয়ায় জার্মানির অতীত রেকর্ড একটু খারাপ। স্তালিনগ্রাদেই হিটলারের অপরাজেয় বাহিনী প্রথমবারের মতন ধরা খেয়েছিল। বিশ্ব প্রথম দেখেছিল সর্বজয়ী নাৎজি বাহিনীকেও যুদ্ধে হারানো সম্ভব।
এখান তাঁরা যুদ্ধে যাচ্ছে না। খেলতে যাচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস মাঝে মাঝেই জীবন নিয়ে মজা করতে পছন্দ করে। দেখা যাবে বিশ্বের এক নম্বর ranking এর দলটি এই রাশিয়াতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

এ ছাড়া বেলজিয়ামকে এই টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্স মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এরাও কিছু একটা ঘটায় দিতে পারে। এই বিশ্বকাপেই বিশ্ব পাবে নতুন কোন চ্যাম্পিয়নকে।
আর পুতিনের দেশে যেহেতু খেলা হচ্ছে, রাশিয়াতো কিছু এডভান্টেজ পাবেই। ৩৮ সালে মুসোলিনি যেভাবে একাই ইতালিকে চ্যাম্পিয়ন করে দিয়েছিলেন, দেখা যাবে এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের নাম ভ্লাদিমির পুতিন। ;)

ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা! হেক্সা মিশন যেন এইবার পূরণ হয়। :)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×