somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শহীদুল জহিরের নতুন উপন্যাস' মুখের দিকে দেখি'

০১ লা আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শহীদুল জহির বাংলাদেশের তরুন ওপন্যাসিকদের মধ্যে প্রতিশ্রুতি শীল। তার প্রথম উপন্যাস 'জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা' সেভাবে পাঠক মনে আগ্রহ না জাগালেও তার দ্্বীতিয় বই'সে রাতে পূণির্মা ছিল' পড়ে বুঝা গিয়েছিল যে শহিদুল জহিরের শক্তিমত্তা। তার এ উপন্যাসটা পড়লে খুব সহজেই। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের কথা মনে পড়ে। তিনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এটা স্বীকারও করেছেন। এটা এমন একটা বই যেটা পড়ার সাথে সাথে পাঠক তার অন্য বইগুলোও পড়ার জন্য আগ্রহী হবে। এর পর তার একটা গল্পের বই বের হয়"ডলু নদীর হাওয়া' নামে। এর গল্পগুলো আগেই বিভিন্ন সাময়ীকিতে পড়ে ফেলেছি। অনেক দিন থেকে মাওলা ব্রাদার্স থেকে তার বইটির এ্যড দেয়া হচ্ছিল। হয়ত তিনি তখন তা লিখছিলেন। গেল বছর অবশেষে বইটা বের হয়। খুব আগ্রহ ছিল। আর কামনা করছিলাম বাংলাদেশে তরুনদের মধ্যে উপন্যাস লেখার আগ্রহ কম। শহীদুলা জহির যেন তা আরো এগিয়ে নিয়ে যান। এই বইটি পড়ে প্রথমে আমার যা মনে হয়েছে। তাহল একজন শিল্পীর স্বাধীনতা প্রসঙ্গে। এটা ঠিক যে যেমন খুশী লেখার স্বাধীনতা একজন লেখকের আছে। এটা কোন এক ভূতের গলি এলাকা যা তার আরো অনেক গল্পে থাকে। গাড়ীচোর, এবং সাতকানিয়া অভিবাসী এক লোক যে ট্রাকে করে অলৌকিক ভাবে সেখানে গিয়ে পড়ে। আসলে ঘঠনা তেমন কিছুই না একটা উপন্যাস। তবে তার ভাষার কারনে বইটা ভাল লাগে। তিনি যতেচ্ছভাবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাটাকে ব্যবহার করেছেন। এটা একটা সাহসী উদ্দ্যোগ। আসলে বাংলাদেশের অন্যন্য অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা সাহিত্যে ব্যপক ভাবে ব্যবহার হলেও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা সাহিত্যে ব্যবহার করা যায় কিনা সেটা ভাবাচ্ছিল। কিন্তু শহীদুল জহির প্রমাণ করলো তা স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা চলে। তবে বাংলাদেশের উপন্যাসিকদের ব্যাপারে একটা নিন্দা আছে যে তাদের প্রথম বইই তাদের শ্রেষ্ট বই। সেক্ষেত্রে শহীদুল জহিরের সে রাতে পূর্ণিমা ছিল' বইটাই এ পযনর্্ত শ্রেষ্ট বই বলে চিহ্নিত করা চলে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×