এই সিরিজের প্রথম লেখার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ নির্মাণ একটা অসাধারণ মন্তব্য ছেপেচে দেখা যাক তারা নতুন কি কি অস্ত্র প্রয়োগ করেছে । যদিও পুরা লেখাটা পাঠযোগ্য নয়। যে কটা লাইন পড়া যায় তা পুণরাবৃত্তি করা যাক।
সব ধরণের মালিকানা-স্বত্বের ধারণার বিপরীতে বাংলাদেশের এটিই সম্ভবত একমাত্র ব্লগ যেখানে ব্লগাররাই ওয়ার্কগ্রুপের অংশ হিসেবে এখানকার প্রতিটি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, প্রতিটি নিয়ম প্রণয়ন এবং পরিবর্তন করেন, আর সে সবের বাস্তবায়ন করেন মনোনীত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে।
আপনাদের ব্লগ পরিচালনার স্টাইল হুবহু বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের মত করেই আপনাদের ব্লগ এগিয়ে যাবে সে আশা করছি।
সেই সাথে মুক্তাঙ্গন মডারেটরগণ আপনার সার্বিক রেকর্ড পর্যালোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তেও একাত্ম হয়েছেন যে এ ধরণের সন্দেহবাতিকগ্রস্ত, যুক্তিজ্ঞানবিবর্জিত, বিনয়জ্ঞানরহিত, চিন্তায় দুর্বল, উগ্র-মস্তিষ্ক, কলহপ্রবণ এবং আত্মম্ভরী ব্লগারের কোন প্রয়োজন নেই মুক্তাঙ্গন এর।
আপনাদের ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর সুন্দর তকমা লাগানোর জন্য। সন্দেহবাতিক গ্রস্ত না হলে কি জাহেদ সরওয়ারের কোন কোন লেখা কোন কোন ব্লগে কয় বছর আগে ছাপা হয়েছে তা ঘেটে বের করে তার লেখা পূণ প্রকাশের অপরাধে ভেতরে পাঠানো যায়?
নির্মাণ যে সচলায়তনের ছানা। সে কথা আগে জানতাম না। সচলায়তনের মডারেটরদের সাথে আমার কোনো বিরোধ নাই। কয়েকজন নাবালক ব্লগারকেই মুলত শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেছি। সচলায়তনের ঘঠনার পর আপনাদের যুক্তিজ্ঞান সব বিবর্জন করলেন। কোনো কারণ ছাড়াই জাহেদ সরওয়ার আপনাদের অপ্রিয় আর আক্রমণের বিষয় হয়ে উঠল।যুক্তিজ্ঞানবিবর্জিনের এর চাইতে ভাল উদাহরণ আর কি হতে পারে।
আপনাদের তালে ঠিক থাকলে অসাধারণ প্রজ্ঞাবান। আপনাদের সাথে লাগলেই চিন্তায় দুর্বল। আপনাদের মডারেটরদের একজনের মন্তব্য পড়া যাক।
‘প্রাত্যহিক’ কবিতাটা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে – বিশেষতঃ জসীমউদ্দীন থেকে ফ্রিৎস ল্যাং থেকে কামু থেকে কাফকা সবার কথা যেমন সাবলীলভাবে তুলে এনেছেন। আমার ধারণা আপনার বিশ্লেষণ পড়ে কবিতাটা নতুন করে ভাবিয়েছে অনেককেই, নতুন আলোয় দেখতে সাহায্য করেছে। আর আমার মূলতঃ ভাল লেগেছে, কারণ, আপনার লেখায় কামু-কাফকা-ফ্রিৎসদের যেন কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। আজকাল বেশীর ভাগ ‘বিশ্লেষণ’ পড়েই বুঝতে পারি না, নিজের সীমাবদ্ধতার কারণেই হয়তোবা, বলতে পারেন এক রকম মাথার উপর দিয়েই চলে যায়!
ভাল কথা, সচলে প্রকাশিত চেশোয়াভ মিউশ নিয়ে আপনার আরেকটি লেখাও বোধ করি – একজন কবি, তার সময়, তার পারিপার্শ্বিকতা, তার অভিমান, তার মর্যাদাবোধ, তার অহংকার – এসব উপলদ্ধি করতে আমাদের সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।
নির্মাণ গোষ্ঠী নিজেদের বাঁচানোর জন্য এইভাবে একের পর এক লেখকদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। সবাই মিলে লেখকের কণ্ঠরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস। শুধু একটা পোস্টের উদাহারণ।
অবিশ্রুতের সমর্থনে রায়হান রশীদ
‘অবিশ্রুত’ ছদ্মনামকে আদৌ ‘মুখোশ’ বলা যায় কি না সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ আছে। ব্লগমন্ডলে যারা ছদ্মনামে লেখেন, বিশেষত অবিশ্রুত’র মতো রাজনৈতিক কলামিস্টগণ, কেন তারা তা করেন, কিংবা কি তার যৌক্তিকতা, সে আলোচনায় এখন যাচ্ছি না। তাই শব্দ চয়নে (’মুখোশ’, ‘চুলকানি’ ইত্যাদি) আপনাকে আরেকটু সতর্ক হতে অনুরোধ করবো।
রায়হানের সমর্থনে মনজুরাউল
এই যে আপনি রায়হানকে তিরষ্কার করলেন জাহেদ সরওয়ারের অবিশ্রুত কে বলার কারণে। ঠিক একই “দোষ”টি কি আপনি করলেন না? রায়হান, অবিশ্রুত, মনজুরাউল এরা কেউ তো আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি, করেছে লেখককে, (এবং সেটা ব্লগীয় পরিমন্ডলে স্বতসিদ্ধ) তাহলে আপনিই বা আগবেড়ে পায়ে পাড়া দিয়ে সেসব নিজের গায়ে টেনে নিলেন কেন? এটি যদি আপনার স্বভাব হয় তাহলে কিছু বলার নেই, আর যদি মনে করেন খোঁচাখুচি করে এক ধরণের পুলক লাভ করছেন, তাহলে বলব- ভুল পথে এগুচ্ছেন। পোস্ট কন্টেন্ট এর বাইরে গিয়ে বাহুল্য বাক্য বিনিময়ের স্টেজ আমরা সম্ভবত পার করে এসেছি। আর মুক্তাঙ্গন সে সবের জন্য খুব উপাদেয় যায়গা নয়।
মনজুরাউলের সমর্থনে সৈকত
আপনাকে হতাশ করতে হচ্ছে। রায়হান রশিদ “অবিশ্রুত” না। অবিশ্রুত ছদ্মনামটি কার, তা আপনি না জানলেও ব্লগের অনেকেরই জানা আছে। অবিশ্রুতের লেখাগুলো ভালভাবে পড়ুন, বলা যায় না কিছু হয়তো শিখতেও পারবেন আপনি সেখান থেকে, বিশেষ করে বিরুদ্ধ মত এবং ব্যক্তিগত আক্রমনের জবাবও কিভাবে দিতে হয় (আপনাকেই দিয়েছেন)। আর কেবল “ফাজলামো” করার উদ্দেশ্যে আপনি (কিংবা আপনার সমমনারা) “ছদ্মনাম” বা “বিশ্বাসযোগ্য ভিন্ন নাম” যত খুশী ব্যবহার করতেই পারেন। তাতে ব্লগের বাস্তবতা পাল্টাবে না। কিছু দিন আগেও ছদ্মনামধারি এক বিশ্বখ্যাত ব্লগারের কোর্টকেস নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা হয়েছে। আপনার জানায় এবং বোঝায় এখনো অনেক ঘাটতি আছে। আমরা আগ্রহ নিয়ে মুক্তাঙ্গন পড়তে আসি। অনুরোধ : আমাদের সময় নষ্ট করবেন না। খুঁজলে আপনার “রুচিমাফিক” ব্লগ প্লাটফর্ম পেয়ে যাবেন অন্যত্র, সেটার গ্যারান্টি রয়েছে।
সৈকতের সমর্থনে নির্মাণ ব্লগ
ব্লগার সৈকত আচার্যের মন্তব্যের জবাবে তাঁর উত্থাপিত অভিযোগ কিংবা যুক্তিগুলোর একটিও যুক্তি দিয়ে খন্ডন করার পরিবর্তে প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণমূলক যে প্রতি-মন্তব্যটি আপনি পেশ করেছেন, এবং তাতে যেভাবে আপনার কাল্পনিক ষড়যন্ত্র-তত্ত্বে মুক্তাঙ্গন এবং এর মডারেটরদেরও জড়ানোর চেষ্টা করেছেন (আপনার হাস্যকর অভিযোগ: ‘শাহেদ সাইফুল্লাহ’ চরিত্রটি নাকি মডারেটরদেরই তৈরী!!), তাতে আমরা বাধ্য হলাম বিরক্তির উদ্রেককারী আপনার এই প্রতি-মন্তব্যটি সরিয়ে নিতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৮