somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকি হানাদারের ডাইরি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একসময় ছিলো পাকিদের চরম ঘৃনা করতাম পাকিস্তান নাম শুনলেই শরীরে ঠান্ডা রক্ত মনে হয় ফুটতে শুরু করে মনে হত সামনে কোন পাকিস্তানী পেলে নির্মমভাবে জীবন্ত ছিন্ন বিছিন্ন করতে পারলে একটু হলেও প্রতিশোধ হত।
ইয়াহু মেসেন্জারে/জিটল্কে/স্কাইপে (২০০৪-১৪ সালের মধ্য )পাকি পেলেই সর্বোচ্চ জঘন্য গালি দিতাম ,এতে অনেক শান্তি লাগত ।
এরপরের কি মন হত তা আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন.....
এজন্য আপনাকে একটা চরিত্রে অভিনয় করে দেখাতে হবে! আসলে অভিনয় না জানলে ও কোন সমস্যা নাই ,আপনার চিন্তার করার ক্ষমতা থাকলেই চলবে...
যাই হোক আপনার অভিনয়ের চরিত্রটা সংক্ষিপ্ত ভাবে বুঝাই ,

~আপনি একজন ভালো/সৎ মানুষ জীবনে কোনদিন মানুষে ক্ষতি তো দুরের কথা কাউকে খারাব কথা বলছেন তা হয়ত আপনি তো মনে নেই ,আপনার কোন প্রতিবেশী ও বলতে পারবে না ।
যাই হোক আপনার মত একজন জোয়ান ছেলে নিজের বাবার কঙ্কাল মতো শরীর নিয়ে সারাদিন কাজ করেও ১ম মৌলিক চাহিদা অন্ন্যের অভাবে আপনার মা-বাবা-ভাই-বোন ও আপনার নিজের শরীরের সব কটি হারের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ...
আপনি সৎভাবে অপনার পরিবার কে সাহায্য/উদ্ধার করার জন্য মরিয়া , আপনা সম্পদ বলতে আপনার হাত-পা-শরীর ,অভাবে সংসারে পরালেখা যা করছেন তা মুল্যহীন , শিক্ষাজীবনের ১ম সার্টিফিকেট থেকে ১০০০গজ দুরে!!

একদিন শুনলেন প্রতিরক্ষাবহীনীতে নিয়োগ লাইনে দারালেন ভাগ্যক্রমে আপনি চাকরি পেয়ে গেলেন । এখন আপনি মনে মনে চিন্তা করছেন দেশের হয়ে দেশের সেবা কারার সুযোগ ও আপনার পরিবারের সচ্ছলতার কথা , আপনার ছোট ভাই বোনেরা পরালেখা শেখানোর ব্যাবস্থা ও হবে । যাই হোক আপনার সপ্ন বাস্তবে দেখা শুরু করছেন । আপনার পরিবারের এখন কেউ খাদ্যের অভাব নেই , আপনার ছোট ভাই বোনেরা স্কুলে যায় শিক্ষাজীবনের ১ম সার্টিফিকেট অর্জনের পথে .....


হঠাৎ একদিন নির্দেশ আসলো ৩০ মিনিট সময় রেডি হয়ে নিতে পূর্ব পাকিস্তানের যেতে হবে মানুষ মারতে কারন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাদের প্রয়োজন নেই শুধু মাটি দরকার ।
যেহেতু আপনার পেছনে যাওয়ার কোন পথ খোলা নেই , আপনার সামনে যেতেই হবে পূর্বপাকিস্তীনের বাঙ্গালীদের মেরে সাফ করতে হবে । আপনার ভরসা আপানার কাছে রাখা পকেট সাইজের ধর্মগ্রন্থ ও অদৃশ্য সৃস্টি কর্তা ...

যাইহোক আপনি ও আপনার সহ যোদ্ধারা হাজারের ও বেশী বাঙ্গালীদের বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওপারে পাঠাতেন ,আপনার কিছু সহযোগী কিশরী-মা-বোনদের মারার আগে বিশেষ সন্মান!!! করার পরে ওপারে পাঠাচ্ছেন ..বাবা-মায়ে সামনে ছেলেকে গুলি মেয়েদেকে ধর্ষন , লাইন করে ১টা মাত্র গুলি খরচ করে একসাথে একটা পরিবারকে পৃথীবি থেকে মুছে দিচ্ছেন ...

কিছুদিনের মধ্য বাঙ্গালীরা আপনাদের সহযোগী অনেকেরই ওপারে পাঠাচ্ছে .... আপনি ও যে কোন মুহুর্তে ওপারে যেতে মানুষিক ভাবে প্রস্তুত আছেন ,
অবশেষে সেই দিন আসলো আপানার ও আপনার কাছের এক সহযোগী ছারা সবাই ওপারে পাঠাতে পেরে বাঙ্গালী যোদ্ধারা আনন্দ ঊল্লাস করছে , আপনি ও আপনা সর্বশেষ সহোযোগীকে আজানা কোন কারনে কেঊ মারার জন্য আসলেও মারছে না , আপানাদের হাত-পা-চোখ বাঁধা আবস্থায় গর্তে ফেলে রাখা ।

মুক্তিযাদ্ধাদের কমান্ডার এই ২ জনকে মারার জন্য কার ও আগ্রহ না দেখে সর্বকনিষ্ঠ একজনকে ডেকে বললেন তুই তো আমাদের খাবার-পানি সরবরাহ করেছো তুইতো মুক্তিযাদ্ধাদের একজন তাহলে তুই পূর্ন যোদ্ধা হবি যদি এই দুই পাকি কে মারতে হবে , কিভাবেব মারতে চাস সেটা তোর ইচ্ছার উপর ছেরে দিলাম তবে মারার কাজ তোকেই করতে হবে ...

সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযাদ্ধা ছোরা ,বন্দুক আর ও কিছু দেশীয় অস্ত্রনিয়ে কমান্ডার সহ গর্ত থেকে তুলে চোখ খুলে দিলেন ইশারাতে বুঝানো চেস্টা করা হলো এখন তোমাদেরকে মারার দায়িত্ব আমার উপর পরছে ...
আপনি সর্বকনিষ্ঠ মুক্তি যোদ্ধাকে বোঝানোর চেস্টা করছিলেন যে আপনাদের ডান কাঁধে পকেটে পকেট সাইজ ধর্ম গ্রহন্তের অবস্থানের কথা কিন্তু তার আগেই মাথায় বন্দুকের গুলিতে নিস্তেজ হয়ে চলে গেলেন ওপারে ....

সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযাদ্ধা জীবনে প্রথম মানুষ মারার অভিঙ্গতার সুখের মাঝে ও বিষণ্নতার কাছ করছিল ... এরপর একাই চুপি চুপি আপনাদের লাশে পাকেট খুঁজে ২ ধর্মগ্রহন্ত ও ডাইরি হাতে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরলেন ।।
এই গ্রহন্ত ২ টি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রেখেছিলেন প্রতিদিন কমপক্ষে একবার হলেও পরেছিলেন !!

( এটি একটি সম্পূর্ণ কাল্পনীক ঘটনা , বাস্তবের এরকম কোন ঘটনা ঘটে নাই , তাই বাস্তবে খুজার চেষ্টা না করে ,শুধু একটু উপলব্ধি করার চেষ্টা করাতে পারেন )



২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×