এম বি ফয়েজ।। গোয়াহাটী ২৭ আগষ্ট।।
১৯৮৯ সন থেকেই অসমে বসবাসরত ধৰ্মীয় সংখ্যালঘু এবং ভাষিক সংখ্যালঘু জনতার ওপর “বাংলাদেশী মিথ্যা তখমা” লাগিয়ে হারাশাস্তি করে থাকার মুহূর্তে আজ রাজ্য বিধান সভায় বিপিএফ দলের বিধায়িকা প্রমীলারাণী ব্রহ্ম অশুভ এক মন্তব্য করে যেন জ্বলা আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন।
বিপিএফ দলের বিধায়িকা প্রমীলারাণী ব্রহ্ম কোনো তথ্য ছাড়াই বিধান-সভার প্রশ্নোত্তর কালে, বিটিএডি-র ট্রাইবেল বেল্ট এবং ব্লকের বহু মাটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (বাংলাদেশী) দখল করে আছে বলে মন্তব্য করার সাথে সাথেই সর্বহারার পক্ষে সদায় কথা বলে থাকা বিধায়করা প্রমিলারাণী ব্রহ্মকে পাল্টা প্রশ্নবাণে আক্রমন করে জিজ্ঞাসা করে যেঃ-
“ট্রাইবেল বেল্ট এবং ব্লকের মাটি বেদখল করা কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যদি বিটিএডি-তে আছে, তাহলে তাঁর তথ্য-প্রমানাদি পবিত্র সদনে উপস্থাপন করুন!” অন্যতায়, একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় এবং ভাষিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদিগকে হকে-বিহকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে অভিহিত করে রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন। যদি কোনোও বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আছে এবং এদের সম্পর্কে আপনার হাতে প্রামানিক তথ্য-পাতি আছে, তা হলে এসব লোক আজকেই অসম ত্যাগ করে যেতেই হবে। কিন্তু কোনো তথ্য-প্রমানাদি ব্যতীত একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোককে অনাকাঙ্কিত “অবৈধ অনুপ্ৰবেশকারী” আখ্যা দেওয়াটা মোটেই উচিত নহে। এহেন পরিস্থিতিতে একাংশ বিধায়কদের হাল্লা-চিৎকারে গোটা সদন উত্তাল হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ভারতের সাম্প্রতিক লোক-সভা নির্বাচনের প্রাক-মুহূর্তে এই প্রমীলারাণী ব্রহ্মেরই এরূপ একটি অপ্রীতিকর মন্তব্যের জের ধরে গোটা বিটিএডি এলাকায় হিংসার দাবানল দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। নিমেষে কেড়ে নেয় শতাধিক নিরীহ ধর্মীয় এবং ভাষিক সংখ্যালঘু জনতার প্রান; যাদের মধ্যে রয়েছে অধিকাংশ শিশু ও মহিলা।
এম বি ফয়েজ,
গোয়াহাটী, অসম, ভারত।