আপনি যদি শখ করে নিজের কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি করে নিজে নিজে শুনতে চান বা বন্ধু বান্ধবদের চমকে দিতে চান তাহলে: শুরু হোক পথচলা। হাতে একটু সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় শুরু করুন। প্রথমেই ডাউনলোড করুন WAVPAD নামক মাত্র ৩৩০ কিলোইটের সফটওয়ার। এই সফটওয়ারটির ডাউনলোড লিন্ক : (এই খানে) (এড আসলে ক্সিপ করতে পারেন)
এবার সফটওয়ারটি ইনষ্টল করুন আপনার কম্পিউটারে।
এবার সাউন্ড রেকর্ড করার পালা: তার আগে আপনার কম্পিউটারের হেডফোনটি সঠিক ভাবে লাগান এবং অবশ্যই হেডফোনের কানেক্টরটির দুটো সংযোগই সঠিক ভাবে লাগান- না হয় রেকর্ড হবে না।
সফটওয়ারটি চালু করুন: এবার আপনার কম্পিউটারের F5 বাটনটি চাপুন। নিউ ফাইল নামক উইন্ডো আসলে- মাউস দ্বারা ওকে ক্লিক করে- কথা বলতে থাকুন- আপনার আবৃত্তি, কথা, সাউন্ড, যা খুশী, রেকর্ড করুন। মনে রাখবেন যদি কবিতা আবৃত্তি করেন- তাহলে থেমে থেমে যেখানে যেই কণ্ঠাটি দেওয়া দরকার ঠিকভাবে দিন। যদি কোন জায়গায় গলা খেকারী দিতে হয় তাও দিন- তবু উচ্চরণ সঠিক করুন। এক জায়গায় বা একই উচ্চারণ দুই তিনবার হলেও সমস্যা নাই- পরে আপনার রেকর্ডকৃত অপ্রয়োজনীয় সাউন্ড কেটে দিয়ে আবৃত্তির সঠিক অংশটি রাখা যাবে।
তার আগে একটি কথা: এই পোষ্টটি লেখার ব্যাপারে উস্তাদী তো করছি: কিন্তু উস্তাদ কেমন সেটা জানার প্রয়োজন আছে নিশ্চয়ই। তাহলে যাচাই করে দেখুন আমার নিজের কন্ঠে রেকর্ড করা আবৃত্তিগুলি।
আমি কোন আবৃত্তিকার বা সাউন্ড এডিটর নই। শখের বশে যা করলাম- তাই লিখছি।
নিচের তিনটা কবিতা শুনে মন্তব্য করলে পরবর্তী টিপস লিখতে আগ্রহী হব।
বাংলা ছাড়ো" কবিতার ডাউনলোড অথবা শোনার লিঙ্ক: ৪৮২ কে:বি: (এড আসলে ক্সিপ করতে পারেন)
কবর: জসিম উদ্দিন এর বিখ্যাত কবিতাটির ডাউনলোড অথবা শোনার লিন্ক (এড আসলে ক্সিপ করতে পারেন) এই কবিতাটির 'আমার রেকর্ড' অরিজিনাল সাউন্ড অবশ্য ৯ মেগাবাইটের মত- কিন্তু বড় ফাইল ডাউনলোড করতে সমস্য তাই কনভার্ট করে দিলাম এতে অবশ্য সাউন্ড কিছুটা নিম্ন মানের হয়েছে। তবু আশা করি ভাল লাগবে। যা মাত্র ২৪৪৪ কি: বাইট।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের "ছাড়পত্র" কবিতাটির লিন্ক: মাত্র ২৮৫ কিলোবাইট (এড আসলে ক্সিপ করতে পারেন)
কাজী নজরুল ইসলামের-বিদ্রোহী-কবিতাটির আবৃত্তিকে কনভার্ট করে ২১০৪ কি: বাইটের ডাউনলোড অথবা শোনার লিঙ্ক: এই খানে- (এড আসলে ক্সিপ করতে পারেন)
যাক:
আগের নিয়মে বলা আপনার রেকর্ড থামানোর জন্য আবৃত্তি শেষ হলে: (Record Control) রেকর্ড কন্ট্রোল উইন্ডোটি ক্লোজ করুন। দেখবেন আপনার রেকর্ডকৃত ফাইলটি এবার বাজতে শুরু করেছে। এবার আপনার ফাইলটিকে কন্ট্রেল+এস চেপে একটা নাম দিয়ে- আপনার কম্পিউটারের লোকেশন চিনিয়ে দিয়ে সেভ করুন।
আগামী পর্বে - অপ্রয়োজনীয় সাউন্ড কাটা- ছেড়া, সাউন্ড পরিবর্তন করা, বিভিন্ন এফেক্ট ও মিউজিক সংযোজন ও পরিবর্তন সম্পর্কে লিখার আশা রইল।
বি: দ্র: পোষ্টের কোন ভুল: মন্তব্য আকারে লিখলে সংশোধন যোগ্য। তাছাড়া আমি নিজে এখনও শিখছি।
ধন্যবাদ .. সবাইকে।
এক্ই বিষয়ে লেখা আগের দুটি পোষ্ট: আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন..
WAVPAD ও Ulead Video Studio- এর সম্পাদনা-
যারা অডিও এবং ভিডিও এডিটিং শিখতে চান:
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৯