somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইফেক্টিভ স্টাডি স্ট্র্যাটেজি

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পড়ি তো সবই কিন্তু কিছুই মনে থাকে না ।
পড়া পড়ি কিন্তু মুখস্থ হয় না ।
পড়ি কিন্তু বুঝি না ।
পড়ায় মনই বসে না ।


এরকম প্রবেলম গুলো আমরা নিজেরাই হয়ত সম্মুখীন হচ্ছি কিংবা অন্যরা হচ্ছে । কাজেই আজকে আমি আমার পর্যবেক্ষণ এর আলোকে চেষ্টা করবো এসবের কারণ অনুসন্ধান ও সম্ভাব্য সমাধান ।


কোন পড়ায় আমাদের কিংবা পড়া কেন যেকোন কিছুতে আমাদের মনযোগ তখনই আসে যখন আমরা তার প্রয়োজন উপলব্ধি করি । যেমন আপনি এয়ারপোর্টে গেলে নানা রকম কথা শুনবেন কিন্তু আপনি একমাত্র আপনার ফ্লাইট ইনফরমেশনটাই ক্যাচ করতে পারবেন কারণ আপনি জানেন এটা মিস করলে আপনার বিমান যাত্রাই বাতিল । এটাই হলো প্রয়োজন অনুসন্ধান ।

দ্বিতীয় যেটা বলবো তা হলো আপনার স্নায়বিক সন্নিবেশন । অর্থাৎ পাশের রুমে কেউ জোরে গান বাজাচ্ছে , কিংবা টিভিতে আপনার প্রিয় কোন প্রোগাম চলছে কিংবা আপনি কারো জন্য অপেক্ষা করছেন তখন চাইলেও আপনি পড়তে পারবেন না ঠিক ভাবে।

উপযুক্ত প্রক্রিয়া আরেকটা মূল দিক । প্রতিটি জিনিস আয়ত্বের একটা সিস্টেম আছে । এটা আবার মানুষে মানুষে আলাদা । কাজেই আপনার জন্য কিংবা টপিকের উপযোগী কোন প্রক্রিয়া যদি আপনি অনুসরণ না করেন তবে কোনদিনও পড়া আপনার মাথায় ঢুকবে না ।

লাস্ট যেটা বলবো সেটা হলো সাগরে ডুব দেয়া । আমি তো কিছুই পারি না , তাই এ টু জেড সব পড়ি বা পড়তে হয় সেটা হলো এই ব্যাপারটা । যেমন কেউ যদি বলে আমি তো কম্পিউটার চালাতে জানি না !!! কিংবা আমি তো রান্না জানি না । এসব তো হওয়া অসম্ভব ।কারণ এটলিস্ট কীবোর্ড দিয়ে টাইপিং (স্লো হোক না কেন) কিংবা ভাত রান্না বা ডিম ভাজির মত বিষয়গুলো আপনি নিশ্চয়ই জানেন । সেক্ষেত্রে আমি কিছুই জানি না সেটা হলো কি করে ।


এবার আসি কি করা যায় এসব দূর করতে.......

প্ৰথমেই আপনাকে পড়ার গুরুত্বটা নির্ণয় করতে হবে । অর্থাৎ এটা জানাতে আপনার কি উপকার হবে বা না জানলে কিরকম ক্ষতি হবে । যেমন আপনি যদি বাংলাদেশ এর ইতিহাসই পড়েন । সেখানে আপনার বের করতে হবে আমি এসব জানলে লাভটা কি হবে । যেমন আপনি একটা কারণ পেলেন যে এটা জানলে আপনি চাকরি পরীক্ষায় ভালো করবেন কিংবা আমাদের সমাজের বিকাশের বিষয়টি বুঝতে পারবেন । এখন যদি আপনি কোন কারণই বের করতে না পারেন তবে সেটা কোনকালেই আপনার আয়ত্ব হবে না । কাজেই প্রথম ধাপ টা হলো পড়ার গুরুত্ব অনুধাবন , আপনার প্রয়োজন এর প্রেক্ষিতে ।

দ্বিতীয় ব্যাপারে বলবো আপনি পড়ার সময় সকল জিনিস থেকে নিজেকে আলাদা করে নিবেন । মানে ওই সময়টা কেবল পড়বেন ই । এটা করার জন্য আপনার দরকারি কাজ গুলো আগেই সেরে নিতে হবে । ফোন বা কম্পিউটার এর নেশা থাকলে সেগুলো বন্ধ করে রাখতে পারেন । আর এমন সময় বেছে নেবেন না যখন আপনার অন্য কাজ থাকে। আর মন ভাল থাকাটা জরুরি ।মন যদি খারাপ থাকে তবে পড়ায় মন দিতে পারবেন না । এছাড়া খালি পেটে , ক্ষুদা নিয়ে এভাবেও সম্ভব না । সুস্থ থাকা অবস্থায় পড়তে বসতে হবে । শরীরের উপর জোর জবরদস্তি নয় ।

তৃতীয় ধাপটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আপনাকে ঠিক করতে হবে কোনভাবে আপনার পড়াটা সোজা লাগে। যেমন হতে পারে আপনি ইংরেজি শিখতে চান , কেউ আপনাকে বললো যে বিবিসি শুনুন বেশি করে কিন্তু আপনার আবার নিউজ শুনতে ভালো লাগে না , তবে আপনার মুভি দেখতে ভালো লাগে । কাজেই যেটা ভালো লাগে ওটাই করুন । সাবটাইটেল সহ ইংরেজি মুভি দেখুন । এছাড়া হয়ত আপনি ক্যালকুলাস এর ইন্টিগ্রেশন বুঝতেই পারছেন না , আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন । এই ধাপে আপনি যত বেশি ইন্টারনেট ইউজ করবেন ততই ভালো ।

চতুর্থ বিষয়টা হলো দুর্বলতা অনুসন্ধান । আপনি ধরুন যে ভাবেন , আমি তো ইংরেজি ব্যাকরণ এর ডিগ্রি পারি না। তো শুরুতেই আপনি বইয়ের বা ইন্টারনেট থেকে ডিগ্রি চেঞ্জ করার একটা টেস্ট দিন । দেখুন কোন গুলো হয়েছে আর কোন গুলো হয়নি । বা কিসে বেশি ভুল হয়েছে আর কিসে কম ভুল হয়েছে । যেগুলো আপনি কম ভুল করেছেন সেগুলো আপনি জানেন মোটামুটি । কিন্তু আপনি হয়ত আগেই ভেবেছিলেন যে আপনি মোটেই ডিগ্রি পারেন না । এবারে যেগুলো ভুল হলো সেগুলো পড়ুন , পড়া শেষ হলে আবারো একটা টেস্ট দিন । দেখবেন যে আপনার ভুল উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গেছে । এবারেও এই টেস্টেও যেসব টপিকে ভুল হলো সেগুলো আবার পড়ুন , এরপর আবারো টেস্ট দিন । দেখবেন যে আপনার দুর্বলতা অনেক কমে গেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×