কি লিখব বুঝে উঠতে পারছি না। “সমাজের অসঙ্গতীর ধরন নিয়ে একটি ধারবাহিক লেখায় হাত দিয়েছিলাম। ১ম কিস্তি শেষ করেছি। ২য় কিস্তিতে এখনো হাত দিতে পারিনি। সারাদিনের কাজের ব্যস্ততা, আবার ঘর সামলানো সহ হাজার রকম কাজের ফাঁকে বসা হয়ে উঠেনা তেমন একটা । এভাবেই চলছিল, সকালে ঘুম হতে জাগ্রহ হয়ে খবর দেখাটা একটা নেশায় পরিণত হয়েছে ইদানিং। প্রতিদিনের মতো আজও টিভি খুলে বসে পড়ি। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কাজের ঝামেলা অবশ্য কম ছিল বলে মনোযোগটা এড়িয়ে যেতে পারেনি সংবাদের শিরোনাম। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপির দ্বারা অবুঝ, নাবালক বাচ্চাকে গুলি করার সংবাদটি। আমার মতো অনেকেই দেখেছেন। পড়েছেন। মন্তব্যও করতে ছাড়েননি কেউ কেউ। দীর্ঘ নিশ্বাস বুকের ভেতর থেকে অজান্তেই বের হয়ে আসে। আহা, কার বাছা কে জানে ?
আমরা সাধারন জনগন একটা কথায় খুব বিশ্বাস করি “ যে যতো দামী তার কর্মও তত দামী” কুলি মজুরের চেয়ে সরকারী কর্মচারীর বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বেশী। আবার, সরকারী কর্মচারীর তুলনায় সরকারী কর্মকর্তার বেতন ও সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশী। যে যতো কথাই বলিনা কেন। সমাজে যার অবস্থান উদ্ধে তার কাছ থেকে সব শ্রেণীর মানুষ একটু ভালটুকু আশা করে । নয়ত, ছোট লোক-বড় লোক, জাত-ভেদ, ভাল আর মন্দের পার্থক্য থাকতো না। তাই[ নিজের অবস্থান বুঝে সর্বদিক বিবেচনায় রেখে দুনীয়াতে চলতে হয়।
গৃহকর্মী নির্যাতন, নারী নির্যাতন ও অসমাজিক কর্মকান্ড যেগুলো সমাজের তথাকথিত বড় লোকদের মাঝে ঘটে থাকে তার দু’একটির খরব হয়তো মাঝে মাঝে সংবাদ শিরোনাম হয়। আলোচনা হয়, মিছিল মিটিং এর পর আবার সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। এভাবে চলতে থাকে, আবার কোথাও ঝামেলা তৈরী হয় এবং আলোচনান্তে শেষ। কিন্তু নির্মূল হয় না। কেননা আমরা সমস্যা তৈরী করতে অভ্যস্ত, নির্মূল করতে নয়। রাগের মাথায় একজন দায়িত্বশীল সংসদ যা করলেন তার ক্ষতিটুকু কখনো শেষ হবার নয়। আমরা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইনা। সুন্দর ভাবে নিজের সামাজিক মর্যাদাটুকু নিয়ে, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে চাই । সাধারন ভাবে , অতি সাধারন ভাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০