আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে বের হয়েছে), মিজানুর রহমান আজাহারী, এদেশের বড় বড় বক্তা যারা আলেম হিসেবে মানে, সবাই এতে বিবাহ করার জন্য রায় দিয়েছে।
রক্তের সোর্স , আপন বোনের ভাগ্নিকে বিবাহ করা যাবে না, তার সেকল চেইন বিবাহ করা যাবে না, এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, এটা ঠিক আছে। কিন্তু খালাতো বোন, চাচাতো বোন, মামাতো বোন, ফুফাতো বোন, এর ভাগ্নিকে বিবাহ করার কিভাবে রায় দিলেন, সম্পর্কের ভিতরে যতই ভিন্ন হোক রক্ত তো একই যাকে আপনি খালা বলে ডাকেন। এখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, পুরুষ প্রধান মানলাম। একজন সন্তানের পিছনে শুধু পুরুষই কি বংশের, রক্তের সোর্স বহন করে? নারীর কি কোন অংশ নাই ? নারীর সকল রক্ত শরীরে প্রবেশ করে একটি সন্তান গর্ভে বড় হয়, সেখানে নারীর বংশকে কিভাবে অস্বীকার করেন?
আমার যুক্তি উপস্থাপন ঃ
১) আপন খালাতো বোনের মেয়েকে বিবাহ করলে, তাহলে খালাতো বোন হয়ে যায় শাশুড়ি, খালা হয়ে যায় নানী, খালু হয়ে যায় নানা, খালা যদি জীবিত থাকে তাহলে কি তাকে খালা বলে ডাকবো না নানু বলে ডাকবো?
২) চাচাতো বোনের বেলায় একই, চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে যখন বিবাহ করা যায়, চাচাকে কি দাদা বলে ডাকবে? বাবা যদি জীবিত থাকে তাকে কি বলে ডাকবে, দাদার ভাই কি দাদা।
৩) তিন নাম্বারে আসেন কাজিন এর ফুফাতো একি কাণ্ড...
(জাহেলী যুগে এরকম ছিল পরে এগুলি প্রথা বাতিল করে গেছে বিদায় হজের ভাষণে মহানবী সাঃ)
বর্তমান মৌলবীরা মোল্লারা, বক্তারা কি সে জাহিলি যুগ চালু করার চেষ্টা চলতেছে নাকি?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭