কলিজার মাঝখান হইতে কেমন যেন আতপাত আতপাত করিচ্ছে।যেথা সমুদ্র বিলাসিত হইয়াও হয়তেছে না।পাড়ার নষ্ট ছেলেটা আমার দিকে এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন সে চোখের সামনে গাঁজার কলকিখানা দেখিতে পাইয়াছে এখনও হাতের মধ্যে ধইরা মুখের সাথে লাগাইয়া......
ঐ কিরে শালা আমার বোনের দিকে তাকায়তোছস ক্যান?
ঐ দুলাভাই মুখ পকেটে রাইকা কতা কইবি তোর বোন আমাগো দেখানোর লাইগায় অমন করে বের হয়ছে
দুলাভাই ডাক শুনিয়া আমার ভাইজানটি পুলকিত হইয়া আমার দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল-
ঐ তুই কাইল থাইকা শরীর ঢাইকা বের হইবি, আমি সাথে মিষ্টি হাসিতে ভাইজানের দিলে চোট দিয়া কহিয়া উঠিলাম-
ঐ ভাইজান আপনি আমারে এইডা কি শুনাইলেন, গতকাল ই তো আমি পার্লারে যাইয়া মেলা টেকা খরচা কইরা আমার শরীরের সৌন্দর্য ফুটাইয়া আনিয়াছি আর হে হে হে ভাইজান আমিতো গত সপ্তাহে দেখিয়াছি আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডরে লইয়া গত সপ্তায় বলাকাতে গেছিলেন নিশ্চয় হবু ভাবির পড়নে বড় পোশাক ছিলনা।
সর্বসমত-আমার কথা শুইনা পাড়ার নষ্ট ছেলেটা কহিহা উঠিল-
ঐ দুলাভাই, তুই আগে নিজে ভাল হ আর তোর সুন্দরী বোনটারে ধইরা নিয়া গিয়া আচ্ছামত পিটানি লাগা দেখবি কাইল থাইকা সোজা হইয়া গেছে আর কষ্ট কইরা আমারো তোর বোনের দিকে তাকাইতে হইব না, বুঝিস তো চোখের সামনে হঠাত কিছু পইড়া গেলে হুট কর চোখ ফেরানো মুশকিল।
বেবাক বিবেচনা কইরা আমি উপনিত হইলাম যে এই ছোট-খাট পোশাক পরিধান করিয়া পুলাপাইনগো মাথা নষ্ট করিব না।
=একজন পথকবির রচনা থেকে সংগৃহীত=