আজ সহ নিয়ে কাজ থেকে টানা চার দিন ছুটি। কি করবো কিছু ভেবে ঠিক করা না থাকলেও নিজের বেশ অনেক কাজ পড়ে আছে যেগুলো শেষ করা লাগবে। ফাল্গুনের প্রথম দিনটা আজ বেশ ভালোভাবেই শুরু হয়েছে।
..
ইন্ডিয়ান আইডল দেখছি এখন। রাত ১২ টা বেজে ৫৭ মিনিট। সৌরভী-র গাওয়া প্রথম গানটায় টেনে টেনে দেখছি। এতো দারুন গেয়েছে!
..
লাইব্রেরী থেকে ১০টা ডিভিডি নিয়ে এসেছিলাম আজ। এই ছুটিতে দেখবো বলে। একসাথে ১০টাই আনা যায়। তার মধ্যে আজ একদিনেই দেখলাম ৪টা। প্রথম দেখলাম ঊত্তম-সুচিত্রার অনেক জনপ্রিয় "শিল্পী" ছবিটা। অনেকদিন ধরে খুজছিলাম ছবিটা। অসাধারণ এক কথায়। এরপর একে একে দেখলাম Donya, The girl in the Sneaker এবং Born under libra। শেষের তিনটাই ইরানীয়ান। ইরানী ছবির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোলাগা আছে। টরেন্ট থেকে ডাওনলোড করা এখনো বেশ কয়েকটা পড়ে আছে সাবটাইটেল এর অভাবে দেখতে পারছিনা। বেশ কবার অবশ্যি থাকতে না পেরে সাবটাইটেল ছাড়ায় দেখে ফেলেছি কয়েকটা। লাইব্রেরী থেকে আনা মুভিগুলোর একটা ভালো দিক হচ্ছে ছবির সাবটাইটেল নিয়ে ভাবতে হয়না।
একটু আগে শেষ করলাম Born under libra ছবিটা। হৃদয়স্পর্শী একটা মুভি। আগের দুটোও কোনো অংশে কম নয়। ইরানী ছবির একটা ভালো দিক হচ্ছে প্রেম ভালোবাসা, মারামারি কাটাকাটি ছাড়াও জীবনের নানা দিক গুলোও যে সিনেমা হতে পারে তা তারা শিল্পীর আকাঁ ছবির মতো ফুটিয়ে তুলে বাকি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। একবার তো মোহসেন মাকালবাফ এর "সালাম সিনেমা" দেখে টাস্কি খাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। কিছু লোক তার পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে অডিসন দিতে এসেছে আর সে সে অডিসন নিয়েই "সালাম সিনেমা" বানিয়ে ফেলেছে। অবিশ্বাস্য! পরে কিছুটা কাকতালীয় ভাবে সে অডিসন দিতে আসে সিনেমায় অভিনয় করতে ইচ্ছুক একজনকে ফেসবুকে পেয়ে যায়।
ইরানী ছবিগুলো আমাকে এতটাই প্রভাবিত করে যে মাথায় ভূত চেপে বসে যে আমিও সিনেমা বানাবো। সিনেমা বানানো-র অবশ্য "স" ও জানি না। কিন্তু ইচ্ছে করাকরির উপর তো কোনো দোষ নেই। তাই ক্যামকরডারও কিনে ফেলি একটা। অবশ্যি ওটা কেনার পর থেকে শুট এর বদলে ছবি উঠানোর কাজ-ই করা হচ্ছে বেশি।
..
রাত দেড়টা বাজে। ঘুমানো দরকার...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



