: জীবনকে দূর থেকে দেখার মজাই আলাদা, কি বলো বৃষ্টি।
: দূর থেকে বলেতো?
: কি জানি। আজ হঠাৎ মনে হচ্ছিল। জানো আমাকে দেখে যক্ষ কি ভাবছে এখন?
"আসিছে বরষা, হেরি মেঘদলে জাগে শুধু তার মনে,
আমারে ছাড়িয়া কেমনে সে প্রিয়া বাঁচিবে প্রাবৃট্ ক্ষণে
সহসা কেমন মনে হল তার - বাঁচাইতে পারা যায়,
যদি কোন মতে মেঘের মুখে সে আমার বারতা পায়!
এত ভাবি ত্বরা কুটজ কুসুমে অর্ঘ রচিয়া আনি
মধুর বচনে স্ততি করি মেঘে কহিছে জুড়িয়া পানি"
আমাকে দিয়ে সে তার প্রিয়ার কাছে বার্তা পাঠাতে চায়! ছেঃ আমি গেলে তবে তো। কেন যে কালিসদাসবাবু রবিবাবুর কথা শুনলো না।
: কেন? রবি বাবু কি বলেছিলেন?
: কি আর বলবেন, উনিও কালিদাস বাবুর এমন অদ্ভুত বাসনা শুনে দ্বিধান্বিত হয়ে প্রশ্ন করছিলেন, কেন মেঘ কেন? আরো কতো কিছু তো বার্তাবাহক হতে পারতো। দখিন হাওয়া ছিল, ঊষা ছিল আরো কতো কি হতে পারত কেন বেচারা মেঘকেই...
কাব্য করতে ইচ্ছে করছে। কি লিখি বলোতো বৃষ্টি?
: সে তুমি জানো
: আজ অনেকদিন পর নীল আকাশের বার্তা পেলাম, জানো। মনটা স্নিগ্ধ, অদ্ভুত একটা ভালোলাগার আবেশে ছেয়ে যায় তার চিঠি পেলে। পৃথিবীর সব কিছুই তখন মনে হয় অমৃত। চিঠি নিয়ে রবিবাবুর একটা কবিতা আছে না? ইস্ মনে পরছে না।
আচ্ছা সুমনের গলায় "তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা" গানটা শুনেছ? শুনে দেখো পারলে। আজ চল্লাম। যাওয়ার আগে দু'লাইন শুনিয়ে যায়।
"যখন মেঘের চাদর টেনে আবছা জেগে জ্যোৎস্না, টিপ টিপ বৃষ্টি
যেন আমি পাশে তোমার একসাথে ভিজছি।"
মেঘ-জ্যোৎস্না-বৃষ্টি। আহ্ আর কি চায়!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




