মেঘদূতঃ লুকিয়ে ভালোবাসব তারে..জানতে দেব না ..লা লা লা
বৃষ্টিঃ (আড়াল থেকে এসে) লুকিয়ে লুকিয়ে কাকে ভালবাসা হচ্ছে শুনি?
মেঘদূতঃ
বৃষ্টিঃ হুমম
মেঘদূতঃ তা কি খবর তোমার? নৃত্য কেমন চলছে?
বৃষ্টিঃ আর বলো কেন! জানোই তো ধরিত্রী দেবীর এই সময়টাতে আমার বেশি প্রয়োজন। নাচতে নাচতে ক্লান্ত আমি।
মেঘদূতঃ কিন্তু কি সাধরে বরণ করে নেয় তোমাকে। এই যেমনঃ
আয় বৃষ্টি ঝেপে
ধান দিব মেপে
দেখে আমার ইর্ষা হয়।
বৃষ্টিঃ কিন্তু তোমাকে নিয়েও কি সুন্দর ছড়া আছেঃ
মেঘের পড়ে মেঘ জমেছে
বাদল গেছে টুটি
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই
আজ আমাদের ছুটি
মেঘদূতঃ ছুটি শব্ধটাই কেমন যেন। মনে আনন্দের এক আমেজ এনে দে। জানো কবি কি বলেছেঃ
ঋতুর মধ্যে বর্ষাই কেবল একা, একমাত্র। তাহার জুড়ি নাই। বর্ষাঋতু নিষ্প্রয়োজন ঋতু। অর্থাৎ তাহার সঙ্গীতে, তাহার সমারোহে, তাহার অন্ধকারে, তাহার দীপ্তিতে, তাহার চাঞ্ছল্যে তাহার গাম্ভীর্যে, তাহার সমস্ত প্রয়োজন কোথায় ঢাকা পরিয়া গেছে। এই ঋতু ছুটির ঋতু। তাই ভারতবর্ষে বর্ষার ছিল ছুটি। কেননা ভারতবর্ষে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের একটা বোঝাপড়া ছিল। ঋতুগুলো তাহার দুয়ারের বাহিরে দাড়িয়া দর্শন না পাইয়া ফিরিত না। তাহার হৃদয়ের মধ্যে ঋতুর অভ্যর্থনা চলিত।
বৃষ্টিঃ আচ্ছা, তখন যে গানটা গাইছিলে ওটা শুনাও না?
মেঘদূতঃ ওটা থাক। বরঞ্চ আরেকটা গান শোনাই
ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কিবা মৃদু বায়।
তটিনী হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়ে যায়।
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহু কুহু কুহু গায়,
কী জানি কিসেরই লাগি প্রাণ করে হায়-হায়।।
বৃষ্টিঃ হায়। সবার মনেই এই এক কথা, "কী জানি কিসেরই লাগি প্রাণ করে হায়-হায়।।"
মেঘদূতঃ কবির ভাষায় বলতে হয়
আজ মেঘলা দিনের সকালে সেই আমার বন্দী কথাটাই মনের মধ্যে পাখা ঝাপটে মড়ছে। ভেতরের মানুষ বলছে, আমার চিরদিনের সেই আরেকজনটি কোথায় যে আমার হৃদয়ের শ্রাবনমেঘকে ফতুর করে তার সকল বৃষ্টি কেড়ে নিবে! আজ মেঘলা দিনের সকালে শুনতে পাচ্ছি, সে ভেতরের কথাটা কেবলই বন্ধ দরজায় শিকল নাড়ছে। ভাবছি, কি করি। কে আছে যার ডাকে কাজের বেড়া ডিঙ্গিয়ে একনই আমার বাণী সুরের প্রদীপ হাতে বিশ্বের অভিসারে বেরিয়ে পরবে।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




