মেঘ-বৃষ্টির স্বপ্ন দেখতে দেখতে চটপট করতে করতে একসময় ঘুমটা ভেঙ্গেই গেল। কি স্বপ্ন দেখছিলাম তার কিছুই মনে নেই। কেবল এইটুকুন মনে আছে ভিজে সিক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে অবাক হয়ে দেখলাম বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। জানালার পর্দা গলে বিদ্যুতের সেই জলকানী আমার চোখের উপর এতক্ষণ এসে পড়ছিল। ক্ষণিক পর পর গুরুম গুরুম শব্দে বাজ ও পড়ছে। কঠিন বৃষ্টি। ঘড়িতে দেখলাম রাত তিনটা বাজতে কয়েক মিনিট বাকী। এই বিদ্যুৎ-ই তাহলে আমার ঘুমের তিনটা বাজালো।
লাইটা জ্বেলে পিসিটা অন করে বসে পরলাম অনলাইনে প্রত্যাশীত সে জন আছে কিনা দেখতে। দেখি আছে
: একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনবে
: না শুনব না। ঘুমাতে যাও। ইয়ু হেভ অফিস।
: এখনতো আর ঘুম হবে না
(এরপর নানা একথা সেকথা করতে করতে একসময় হঠাৎ ঠোট বাকিয়ে বসলো। কারণ ছিল অবশ্য। আর কোন কথা নাকি বলবেনা। আমার প্রতিটা মেসেজের উত্তরে শুধু ঠোটে জিপার লাগানো আইকনটা দিয়েই যাচ্ছিল। বললাম -)
: মেঘ করেছে রাঘ করেছে। করছে গুরুম গুরুম
: (উত্তরে আবারো সেই স্পিকটি-নট আইকন)
: যাই তবে। কথায় যখন বলছো না।
: (স্পিকটি-নট আইকন))
: বৃষ্টি কমেছে। এখন আরামচে চোখ মুদা যাবে। গেলাম তবে। সকালের নতুন প্রভাতকে যেন বরণ করে নিতে পারি, সেই প্রত্যাশায় বিদায়
: (কয়েক সেকেণ্ড বিরতি) চলে গেলে?
: যাচ্ছিলাম
: শুনছিতো। পরবাসী মানে কি বিদেশি?
: হ্যাঁ
: যাও ভাগো। তোমার সাথে যে কথা বলবো না ভুলে গিয়েছিলাম।
(এরপর তাকে ইয়টিউব থেকে কিভাবে ভিডিও নামাতে হয় বলছিলাম। সে শুরুতে জানতে চেয়েছিল। বলে - )
: লাগবেনা তোমার হেল্পিং। নো টক টু ইয়ু
(আমি ভিডিও নামানোর প্রথম তরিকা শেষ করে দ্বিতীয় উপায় বাতলাচ্ছিলাম)
: এখন করবোনাতো, বললাম-ই তো। কেনো ঘুমাতে যাচ্ছোনা। বার বার বলছি সকালে অফিস আছে। যাও এখান থেকে
: ওই তো যখনি করো। হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি।
: ভালো থেকো
: আমার ইচ্ছা ভালো থাকবো না। তোমার কি?
: হাহাহা
: হাসছো কেন?
: আমার ইচ্ছা
: অযথা হাসবেনা
: আপনি ইচ্ছা আপনি চর্চা। আচ্ছা গেলাম ভালো থেকো।
...
এই মেঘ বৃষ্টি গুরগুর বিজন রাত
কভু যেন না হয় মলিন
রবীন্দ্রসঙ্গীতটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




