আসবেনা জানি তবু পথ চেয়ে থাকি
নিজেরি অজান্তে যদি আসো চুপি চুপি
নেই ভেবে যদি চলে যাও
মান ভাঙ্গেনি যদি ধরে নাও
মনের দুয়ার মেলে চেয়ে আছি তাই
তুমি আসবে সেই অনন্ত প্রতীক্ষায়
...
অচিরা দেবীর সাথে কিছুক্ষণ কাল্পনিক কথোপকথন চালানো যাকঃ
: এই আপনার অনন্ত প্রতীক্ষা!!! আমি অমন করে ছুটে আসলাম আর আপনি হাওয়া!!
: বসে যে থাকবো তাই বা কই লেখা ছিল (হেসে)...শোনো অনেক ভাবেই প্রতীক্ষা করা যায়...মনে মনে যায়...গুনগুন করেও হয়তো যায়...আর লেখায় যে প্রতীক্ষা করা যায় সেতো দেখতেই পাচ্ছো। হেঃহেঃহেঃ
: আচ্ছা তাইলে এই!! (রেগে মেগে)..এই আমি চললাম
: আরে রোসো রোসো...যাও কই...ইয়ে মানে..না আসলে ভেবেছিলাম তোমার আসতে হয়তো আরো দেরী হবে..তাই চট করে গোসলটা সেরে আসতে গিয়েছিলাম..এই ফাঁকে যে তুমি আসবে তা কে জানত (কাচুমাচুঁ হয়ে)
: গোসল না ছাই..আপনি ঠিকি কেটে পরার তালে ছিলেন
: বলেছে তোমাকে
: হ্যাঁ বলেছিল (মুখ বাকিঁয়ে)
:
: না ভালো নেই (আবার রেগে)...কাল অমন করলেন কেন..জান আপনার সাথে আমার আর কোনো কথা নেই...
: আচ্ছা তোমার সখ উঠেছিল আমাকে পানিতে ছোবানোর...জানো যে গলা ব্যাথায় আমার নিঃশ্বাস নেয়ায় দায় হয়ে পড়েছে...তার উপর এই কথা...মাথা ঠিক থাকে বলো!!!..তার উপর ভাবলাম তুমি কিছু বললে পরে হেসে খেলে নদীর ধারটায় ঘুরে আসবো...তার নামটাও যে এখনো দেয়া হয় নি...তা না তুমি গেলে চুপ করে
: আপনি কিছু বলবেন না...আর সব কথা কেবলি আমিই বকে যাবো?
: তাতো বলিনি...বললাম তুমি একটা কিছু বললে আমি কথার পিঠে কথা জোগাতে পারি...যদি দুজনেই এভাবে চুপ মেরে থাকি তাইলে সময় টাও যেন থম মেরে যায়
: সব আপনার দোষ
: আমি তো বলিনি তোমার দোষ...ক্ষমাতো চেয়েছি নাকি...এই দেখো কৃষ্ণচূড়ার ফুল যা যা কুড়িয়েছি সব এইখানটায় জড়ো করে রেখেছি...দেখো...আমি জানতাম তুমি আসবেই
কি হল ফুলগুলো নিবে না? জানো আজ পুরা আকাশ মেঘে ছেয়ে ছিল...এত্তোই পুরো ছিল যে রবি-মামা আজ অনেক কসরৎ করেও উকিঁ দিতে পারেনি...কাজের ফাঁকে ফাঁকে কত্তোবার সেই মেঘের দিকে তাকিয়েছি আর ভেবেছি অচিরাকে যদি এই মেঘটা দেখাতে পারতাম...ও জানো কাল প্রচন্ড বৃষ্টি হবে
: হলে হবে আমার কি!...
: এখনো রাগ করে আছো :=)..একটা কবিতা শোনো
আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে
তখন কে তুমি তা কে জানত।
তখন ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে,
জীবন বহে যেত অশান্ত ।।
তুমি ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
যেন আমার আপন সখার মতো,
হেসে তোমার সাথে ফিরেছিলাম ছুটে
সে দিন কত-না বন-বনান্ত ।।
ওগো, সেদিন তুমি গাইতে যে-সব গান
কোনো অর্থ তাহার কে জানত।
শুধু সঙ্গে তারি গাইত আমার প্রাণ,
সদা নাচত হ্রদয় অশান্ত।
হঠাৎ খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি--
স্তব্ধ আকাশ, নীরব শশী রবি,
তোমার চরণ-পানে নয়ন করি নত
ভুবন দাড়িঁয়ে আছে একান্ত ।।..
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




