
আজ মজার একটা কান্ড ঘটেছে। আমাদের অফিসের সামনে রাস্তায় ল্যাম্পোষ্টের নীচে কে যেন একটা ব্রীফ কেইস রেখে গিয়েছিল। এখানে তো এসব নিয়ে খুব সতর্ক। মালিক ছাড়া কোনো বাক্স পেটড়া দেখলে সাথে সাথে যেন পুলিশ কে জানানো হয় এই বাণী দিনে একজন কম করে হলেও ১০-২০ বার শুনবে বা পড়বে। হয়তো তার চাইতেও বেশি। তো এখন যখন এই ব্রীফকেইসের মালিক নেই নিশ্চই তাতে বোম্ব আছে, সাথে সাথে আশেপাশের সব রোড ব্লক করে দেয়া হল। আমাদের তখন মিটিং চলছিল, কিন্তু সবাই তখন মিটিং ছেড়ে আটতলা অফিসের জানালায় হুমড়ি খেয়ে পরলো। ফুটলে ওপাড়ের সিনেমা হলটা প্রথমে আকাশে উড়বে তার পর হয়তো আমাদের অফিসের গায়েও আছড় লাগতে পারে।
আমার এক কলিগ বলছিল, সামনের রাস্তায় এমন শুনসান নীরবতা সে আগে কখনো দেখেনি। একটা কাকপক্ষীও নেই। পুলিশ ও তার গাড়ি নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে। উপরে আমাদের ভয় লাগার চাইতে কৌতুহলই বেশি কাজ করছিল। ফুটলে কি হয় দেখায় যাক না
কেও কিছু করছে না দেখে আমরা সবাই যার যার ডেস্কে ফিরে গেলাম। কিছুক্ষণ পর "গুরুম" করে একটা শব্দ হতেই আমরা সবাই আমার ছুটে গেলাম জানালায়। বোম্বটা নিশ্চই ফুটেছে! কিন্তু গিয়ে দেখি বোম্ব স্কোয়ার্ডের একজন কি একটা ছুড়ে মেরেছিল ব্রীফ কেইসটা লক্ষ্য করে। শব্দটা সেই ছুড়ে মারা থেকেই হয়েছে। বোম্ব স্কোকার্ডের সে জন যখন তার অদ্ভুত পোশাকে হেলে দুলে ব্রীফ কেইসটার দিকে যাচ্ছিল আমাদের ভেতর তখন তার পোশাক নিয়ে টেনশনের ভেতরও হাসি পাচ্ছিল। কেও একজন সেটিকে চাদেঁ অবতরণের পোশাকের সাথে তুলনা করলো। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো রোবোট আনবে। সে যখন ব্রীফ কেইসটার কাছে গিয়ে উকিঁ ঝুকি মারছিল এক কলিগ বলে বসলো, "তার লাইফ ইন্সুরেনস কতো হবে", সাথে সাথে আরেক প্রস্ত হাসি। আমার মনে হচ্ছিল এই বুঝি বোম্বটা ফুটলো। শেষমেষ সে নানা ভাবে ব্রীফ কেইসটা পরখ করে নিশ্চিত হলো যে ওটা বোম্ব না। পরে একজন পুলিশ অফিসার এসে ওটাকে চ্যাংদোলা করে কোথাও নিয়ে যায় আর আমরাও আবার যার যার ডেস্কে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




