আতশবাজি পুড়ানো শুরু হয় সূর্য অস্ত যাওয়ার পর। রাত নামলে। আর এখন দিন বড় বলে রাত শুরু হয় অনেক দেরীতে। ৯টা বাজে প্রায়। ভীড় হয়ে যায় বলে লোকজন অনেক আগে থেকেই জড়ো হতে শুরু করে দেয়। আমিও আগে ভাগেই চলে গিয়েছিলাম। শুরু থেকেই শুরু করি।
এই ছবিটা আমার বাসার কাছে। কবুতর গুলো ট্রাকের নীচে বসে রোদের তাপ থেকে বাচার চেষ্টা করছিল। তাপমাত্রা এখন এখানে প্রায় ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট। সেলসিয়াসে হয় বোধহয় প্রায় ৩৮। ওমা! যেইনা আমি ক্যামেরা বের করলাম কবুতর গুলো সব আমার দিকে তেড়ে এল। হয়তো মনে করেছে তাদের বধ করবার জন্য কোনো কিছু বের করছি।
এইটা একটা যুদ্ধ জাহাজ। মানে আগে ছিল কিন্তু এখন মিউজিয়াম। একসময় এখানে কনকর্ড আর সাবমেরিন ছিল কিন্তু এখন শুধু যুদ্ধবিমান বহনকারীটায় রয়েছে। ছবিতে বেশ কিছু যুদ্ধ বিমান দেখতে পাচ্ছেন হয়তো।
ফুলের ছবি উঠাচ্ছিলাম, সময় কাটানোর জন্য
লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে পিকনিক মুড নিয়ে চলে এসে জায়গা দখল করতে লেগে পড়েছে।
সময় কাটছেনা দেখে এক সময় লিখতে শুরু করলাম। নীচের লাইন কটা লিখেছি সেখানে বসেই -
সন্ধ্যা ৭:৪৫
সেই কখন থেকে বসে আছি চৌঠা জুলায়ের ফায়ারওয়ার্ক্স দেখবো বলে। সময়গুলো যেন কাটতেই চাইছে না। সূর্য দেবও যেন পণ করেছে হেলেদুলে মন্দ গতিতে অস্ত যাবে বলে। কিছু করার নেই দেখে ক্যামেরার লেন্সে চোখে রেখে সেটার মধ্য দিয়ে এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলাম। উদ্দেশ্যও একটা ছিল। সামনে বসা পুতুলের মত পিচ্চি মেয়েটার ছবি উঠানো তার মাকে না দেখিয়ে। অবশ্যি পরে শুধু পিচ্চির ছবি না উঠিয়ে পিচ্চি আর মা দুজনের ছবিই উঠাতে লাগলাম। যার কিছু নমুনা নীচে দেওয়া হল।
সবায় অধীর প্রতিক্ষায়
একসময় একটা ছোট্ট তরী এল নানা রঙের পানি ছিটাতে ছিটাতে।
আবীরে মাখা সন্ধ্যা।
একসময় অপেক্ষার পালা সাঙ্গ হল। শুরু হল আতশের উৎসব
আর পরিশেষে আতশবাজির উপর আমার তোলা ভিডিও
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





