মেঘঃ বৃষ্টি, সেদিন মেলায় অপরূপা এক তরুণীকে দেখলুম। হিরণবালাকে দেখে মহেন্দ্রকুমার যেমন মৃত্যুকেও অনন্তমধুর বলতে দ্বিধা করেনি, এই তরুণীও তেমনি। সুন্দরের এমন নিবিড় সান্নিধ্যে এলে আর কি করে তার স্তুতি গাওয়া যায় আমার বোধগম্য হচ্ছে না। ঘোর লেগে গিয়েছিল বলতে পারো। মনে হচ্ছিল যেন গোলাপের পাপড়ি দিয়ে বানানো তার শরীর। আর আমি আবেশিত হয়ে সেই গোলাপের নিজেকে মেলে ধরা দেখছিলাম। তার হাসিটা ছিল নির্ঝরের মতো। তার অঙ্গের প্রতিটা বাঁক থেকে যেন অধরা কোন এক সুর হেসেখেলে বেড়াচ্ছিল। মদিরার মতো আসক্তি আছে সেই সুরে। কবির কল্পনার তুলিতে ধরা প্রতিটা বিশেষণে ভূষিত সে তরুণী কবিতার মতোই সুন্দর।
তাকে নিয়ে একটা কবিতা বাধবো ভেবেছিলাম, বুঝলে। কিন্তু শব্দগুলো সব হিংসে করে দূরে দূরে সরে আছে। :-) তুমিও আবার হিংসে করে বসো না যেন...
বৃষ্টিঃ এহ্! আমার বয়েই গিয়েছে হিংসে করতে।
মেঘঃ (স্বগতোক্তি) "হে সুন্দরী, হে মনোহারিণী, হে বিশ্বজয়িনী, হে মনপ্রাণপতঙ্গের একটিমাত্র দীপশিখা, হে অপরিসীম জীবন, হে অনন্তমধুর মৃত্যু!!"...
বৃষ্টিঃ (গরর্) হয়েছে, থামো এইবার...
মেঘঃ (মন্ত্রমুগ্ধ কণ্ঠে) কি আর বলবো, আমি তাকিয়ে তাকিয়ে বিমুগ্ধ হয়ে তাকে দেখছিলাম। একেবারে আবেশিত। এমন না যে মেলাতে আর কোন সুন্দরী তরুণী নজরে পড়েনি। পড়েছে। কিন্তু এর মত করে তাদের মাঝে প্রাণকে এমন করে এত কাছ থেকে দেখিনি।
বৃষ্টিঃ থামবে তুমি! দেখেছি তো তার ছবি। কি এমন আহামরি সেই মেয়ে!
মেঘঃ (মিষ্টি হেসে) আহ্ বৃষ্টি, তার সৌন্দর্য দেখতে হলে যে এই হৃদয় আর চোখদুটো ধার নিতে হবে তোমাকে।
বৃষ্টিঃ (গরর্) এই আমি চললুম। তুমি থাকো তোমার অপরূপা তরুণীকে নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



