ভাই ও বোনেরা সত্যি, একেবারে তিন সত্যি বলি আমার আম্মু আব্বু এমন কী আমরাও কোনদিন জন্মদিন পালন করিনি। পালন করিনি মানে ঐ যে সবাইকে ডেকে কেক কাটা, গন্ডাপিন্ডের খানাপিনা এসবের চল আমাদের বাসায় কোনদিনই ছিল না। আমাদের সময়ে মানে ধরুন ৯২সাল পর্যন্ত, আমরা যেখানে থাকতাম সেই মীরপুর বারো নম্বরের সি ব্লকের মাথায় একটা দোকান ছিল সম্ভার সেখানে একটা কেক পাওয়া যেত (যেটাকে এখন ফ্রুট কেক, প্লেইন কেক এসব নামে ভাগ করা হয়) ৬টাকা বা ৮ টাকা দিয়ে, যেটা কাটলে ৬টা পিস্ হয় সেটা আনা হতো আমাদের তিনভাইবোনের জন্মদিনে। তারপর সাথে তিনটা বোতলের কোক। একটা মোম জ্বালায়ে ঐটা কাটা হতো। আম্মু অফিস ফেরত সময় পেলে একটু পোলাও রান্না করলো। ব্যস। আমাদের জন্মিদন শেষ। এভাবে ৯৩ সাল পর্যন্ত গেছে। তখন আমি ক্লাশ টেনে পড়ি, বড় ভাই এইচএসসি পাশ দিয়েছে, ছোটটা ক্লাশ সেভেনে পড়ে। এ নিয়ে আমাদের কোন দুঃখ ও ছিল না। ৯৪ তে এসএসসি দেব। আমার আশপাশে হঠাত বন্ধুর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়া শুরু করলো। তারা আমার জন্মদিনে এসে উপস্থিত। কেক টেক গিফট সহ। বান্ধবীদের জবরদস্তিতে জন্মদিন পালন শুরু হলো। এই সুযোগে ভাইদেরও কপাল থেকে অবহেলা কাটলো, তাদের জন্মদিনও পালিত হতে থাকলো।
সুজইন্যা (আসলে সুজন
তুই আমারে কত ভালোবাসিস, আমি বাঁইচা গেলাম এবারো, দূরত্বের অজুহাতে তোর জন্যে কিছুই কিনতে হইলো না। আমি আসলে একটা হিদল (কিপ্টা), না কি কস??
আত্মমূল্যায়নের এক গৌরবময় দিন তোমার সামনে উপস্থিত ভ্রাতা, যুগ যুগ জিয়ো (একটু আঁতলামি খাটাইলাম আর কি!)
আগাম জন্মদিন আমার আদরের সহোদর এহ্সানুল আজিম সুজনকে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



