somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

HSC পরিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বাস্তবতা । রেজাল্ট যাদের খারাপ তাদের পোস্ট দেখা বাধ্যতামূলক

১৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

SSC তে এবার যখন প্রায় ৮৪ হাজার ৫ পাইল তখন কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি নাই । কেননা A+ পাইছি শুনতে যেমন মধুর লাগে তেমনি যে পায় তার বলতেও আরও মধুরও লাগে । জীবনের প্রথম স্টেজে এমন সাফল্য সত্যিই মনোবলকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুন । SSC পর HSC তেও A+ পাইছি । এটাও আগের মত মধুর লাগে, যারা বাস্তবতা একটু কম বোঝে তাদের শুনাতেও ভাল লাগে । তবে সমস্যাটা হল এটা সাময়িক ।

৬২ হাজার ৫ মানেই বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটে নাই । আমি তো বলব যদি ৫ বছর পর শুনি ১০ লাখ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ লাখ A+ পাইছে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।
সমস্যা যা আছে তাই থাকবে । ইঞ্জিনিয়ারিং সিট সব মিলে ২৫০০, মেডিকেলে ২৫০০, ঢাকা ভার্সিটি ৫০০০ আর অন্যান্য ভার্সিটি মিলে প্রায় ২৫০০০ সিট ।
ভাল মানের কোথায় চান্স পাইছি এ কথাটা বলতে তোমাকে দেশের সেরা ১০০০০ ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে থাকতে হবে । আর কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এ কথাটি বলতে তোমাকে থাকতে হবে বাকী ২৫০০০ ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে একজন ।
মাথায় যেন থাকে সাড়ে ৯ লাখ ছাত্র/ছাত্রীকে পেছনে ফেলতে হবে এ যোগ্যতা অর্জন করতে । আর সাথে পূর্বের বছরের ৫ লাখ পরিক্ষার্থী চান্স না পেয়ে তো মুখিয়ে আছে এবার চান্স পাওয়ার জন্য ।

করনীয়:
১।রেজাল্ট ভাল হোক খারাপ হোক এখন থেকে সারাদিন-রাত পড়তে হবে যখক্ষন না পর্যন্ত ভাল কোথায় চান্স হয় ।
২।দুনিয়া উল্টালেও পড়ার টেবিল থেকে উঠা যাবে না ।
৩।মোবাইল কিংবা ফেসবুক বলিয়া কিছু দুনিয়াতে আছে একথা ভূলে যেতে হবে ।
৪।বন্ধু-বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ না রাখাই ভাল ।
৫।মাথার মধ্যে থেকে পারিবারিক থেকে সামাজিক কোন চিন্তা-ভাবনা আনা যাবে না ।
মোটকথা অসামাজিক প্রানি হয়ে দিনরাত পড়তে হবে ।

আর যাদের খারাপ রেজাল্ট তারা এ ২ মাস কাজে লাগিয়ে অনেক ভাল কিছু করতে পারে যদি মনোবল না হারিয়ে জীবনের শেষ চেস্টা হিসাবে কাজে লাগানোর সর্বাত্ত্বক চেস্টা করে ।

রেজাল্ট যাই হোক এই সময়কে সবার কাজে লাগানো উচিত ।

সর্বশেষ যে কথাটি বলব আমি SSC কিংবা HSC তে কোনটায় জিপিএ ৫ পাই নাই অথচ সরকারী একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তৈরী করতে সমর্থ হয়ছি ।
চেস্টা আর ইচ্ছা থাকলে এখনও অনেক কিছু করা সম্ভব ।

৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×