যারা শেখ হাসিনা নোবেল পাবেন বলে রহস্য করেন !
তারা চিন্তা করুণ ত, যদি জননেত্রী সীমান্ত খুলে না দিতেন তবে রোহিঙ্গাদের মৃতের সংখ্যা কত হত ?
কত নারী ধর্ষীতা হত আর কত শিশু অনাথ হত ?
নোবেল ত শেখ হাসিনার আরও অনেক আগেই পাওয়ার কথা ছিল যখন তিনি বিনা রক্তপাতে একটি অঞ্চলকে নিজ দেশের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ।
নোবেল পাওয়ার কথা ছিল দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে যখন চুক্তির মাধ্যমে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে । নোবেল পাবার কথা ছিল যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন ।
কিন্তু কোনটিতেই পাননি । পেলেই কি হবে ? শান্তিতে ত মহত্মা গান্ধী জিও নোবেল পাননি, ইন্দিরা গান্ধীও পাননি । তাতে কি তাদের মান কমেছে ?
আজ চিন্তা করুণ তিনি ৪ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গার জীবন বাঁচিয়েছেন তার দ্রুত কোমল হৃদয়ের ভালবাসার আর উদারতার সিদ্ধান্তের কারণে ।
তিনিই সেই নেত্রী যিনি এই অসহায় রোহিঙ্গাদের কথা তুলে ধরতে জাতিসংঘে গিয়েছেন । তাদের দু:খ ও কান্নার কথা বিশ্ব সভায় তুলে ধরবেন ।
আর কোন নেতা বা নেত্রী আছে বিশ্বে , যে নেতা রোহিঙ্গাদের ঠাই দিয়েছেন ? যে নেতা রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশ্বসভাতে সেই নেতা কে আছেন এই পৃথিবীতে ?
যিনি চাঞ্চ পাওয়া মাত্র এক মিনিটের সাক্ষাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজরে এনেছেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি ।
যিনি বিশ্ব সভায় গিয়ে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সকল বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, সেই নেতা কে ?
যিনি বিভিন্ন মিডিয়াতেই রোহিঙ্গাদের কথা বর্ণনা করছেন কে সেই নেতা ?
যার দিকে পুরো জাতি আশা নিয়ে আছে, তিনি বিশ্ব সভাতে রোহিঙ্গাদের হয়ে কথা উঠাবেন সেই আস্থাভাজন নেতা কে ?
সমস্ত পৃথিবীর মানবতাবাদীরা কার মুখ চেয়ে আছে যে বিশ্বসভায় তার মুখেই রোহিঙ্গাদের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠবে , তিনি কে ?
সবকিছুর উত্তর হবে , শেখ হাসিনা । যিনি বিশ্ব মিডিয়াতে ''মাদার অব হিউম্যানিটি'' হিসেবে পরিচয় পেয়েছেন ।
তিনি যদি এতকিছু করেন বা করে চলেছেন । তবে বুঝতে হবে সেটা মানবতা থেকেই , কোন পুরস্কারের আশাতে নয় ।
তাই এই নিয়ে রহস্য করা কোন বিবেকবানদের উচিৎ নয় ।
এযাবৎ বহু নেত্রী বা নেতা জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, কিন্তু এই প্রথম ১০০% বাংলাদেশের জনগণ, তা সর্বদলের ও সর্বস্তরের, যারা শেখ হাসিনার মুখে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের কথা তুলে ধরারা আশা নিয়ে অধীর আগ্রহে বসে আছে । অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা হলেন শতভাগ মানুষের আস্থাভাজন নেত্রী । যিনি রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু ছিনিয়ে আনবেন বলে বাংলাদেশের জনগণ শক্ত ভাবে বিশ্বাস করছে ।
তাই, তর্কের খাতিরে সমালোচনা করবেননা, লিখনী ও প্রচারের মাধ্যমে আমাদের এই আস্থাভাজন নেত্রীর প্রতি সমর্থন দিয়ে অপশক্তির বিরুদ্ধে শক্তি সঞ্চার করুণ । জয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ ...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫