আমি হাঁটি...
অসময়ে কোকিলের গান শুনি
রোদে পুড়ি এবং বৃষ্টিতে ভিজি
সময়ের সতিত্ব লুটেপুটে যে জলদস্যু
মিটিয়েছে তার ঝড়ো যৌবন ক্ষিদে
আমিও তারই পথগামী হয়ে হাঁটি
ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ কান পেতে শুনি...
আমার নৈশব্দ বিবেক উননে শুকিয়ে
অনায়াসে জীবনের বেলেল্লাপনার মাহাত্ম্য বাড়াই
ধোঁয়া টানি-ধোঁয়া ওড়াই,
আমি হাঁটি-পায়ে পায়ে হাঁটে সময়।
চোখের কোণে জমে ওঠা মেঘ, শিহরিত গোলাপ
ঘুমভাঙা ভোর, নীলখাম চিঠি
কাটা ঘুড়ির মত কেটে যাওয়া দিন শেষ হলে
অনন্ত নক্ষত্রবীথি পেরিয়ে নীরবতা ভাঙেন ঈশ্বর।
ভাষাহীন গাছ জানে আর জানে বৃষ্টি ভেজা চড়ুই
রেঁনেসার দ্বার খোলা অতৃপ্ত নদী ভাঙনের কথা
দম্পতি জীবনের খোঁজে ফিরে যাওয়া বেদুইন মেঘ।
মানুষের আজ লেজ নেই;
তবু ঈশ্বর সময় পাননা বলেই, আমরা মানুষেরা
ঠিকঠাক দেখে রাখি বায়জি মহল।
প্রথম প্রকাশ :
দূর্বা, সপ্তম সংখ্যা
ফেব্রুয়ারি, ২০০৩
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৮