সব সাদা, ফ্যান টা, ওই পর্দা গুলা, বিছানা টা ,মানুষ গুলার গায়ের জামা সব সব চোখে যা কিছু দেখা যায় সব। জানালাটার গ্রিল সুধু হাল্কা বাদামি মরিচা ধরেছে অনেক দিন রং করা হয় না বুঝি। দেখতে দেখতে সব ঘোলা হয়ে আসে মন্তু মিয়ার দুনিয়া। চোখ বোজে সে। কানের পাশ দিয়ে নোনতা তরল গরিয়ে পরে। আবার চোখ খোলে মন্তু মিয়া। ঘাড় ঘুরানোর চেস্টা করলো নাহ সম্ভব হলো না কি দিয়ে যেন আটকিয়ে রেখেছে। দুনিয়া আবার ঘোলা হতে শুরু করে চারিদিক কাপছে মন্তু মিয়ার। কে যেন ডাক দিলো পাশ থিকে চাচা। মন্তু মিয়া প্রাণপণে দেখতে চাইলো কে ডাকে। কিছুই দেখতে পারেনা সব তো ঘোলা। মন্তু অনেক দিন এমন ডাক শোনে না। ডাকে মধু আছে, আবেগ ,সম্মান আর ভালোবাসা। শেষ কবে এমন ডাক শুনে ছিলো মন্তু? মনেনেই। সব অন্ধকার হয়ে আসছে মন্তু সমস্ত শক্তি দিয়ে ধরতে চাইলো সেই আবছা অবয়টাকে। কিন্তু দুনিয়া অন্ধকার হওয়া শুরু হয়েছে যে অনেক আগে। মন্তুর সাধ্য নাই অন্ধকার থিকে বের হয়ে অবয় টাকে স্পর্শ করে।পরিষ্কার করে দেখে কে সে। কিন্তু ডাক টা তার ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছেই। ঠিক যেন পাক খাওয়া ধোয়ার মত ভাতের পাতিল থিকে যেটা ওঠে, কিংবা দুপুর বেলা রুটি ভিজিয়ে খাওয়া চায়ের মত।
আছে কিন্তু ধরা যায়না ছোয়া যায়না চলেও যায় না কাছেও থাকেনা। বন্ধ ও হয় না।
সম্পূর্ণ অন্ধকার হবার আগ পর্যন্ত সুধু ধ্বনিত হয় ডাক চাচা। কতকাল যে মন্তু মিয়া এমন ডাকের অপেক্ষায় ছিলো ।