আজ এক পত্রিকায় পড়লাম এক টিন-এজ বঁধূকে কেরোসিনের আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে। মেয়েটি অতি-দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ৫০০০০/= টাকা যৌতুকের জন্য এ ঘটনা। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ১০,০০০/= টাকা হতে ৬০০০/= টাকায় এম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছে। মেয়েটি বাঁচবে না নিশ্চিত।
আামাদের দেশে যৌতুকের জন্য নির্যাতন এখন নৈমত্তিক ব্যাপার। কোথায় হচেছ, বিস্তারিত ঘটনা কি, ভিকটিমের বর্ণনা - এসবই এখন দেখার বিষয়।
যৌতুকের এ ভয়াবহ অবস্থা হতে কিভাবে সমাজ মুক্ত হবে?
আসলে আমরা সমাজের শিক্ষিত এলিটরা উপহারের মোড়কে যৌতুক নেই বলে বৃহত্তর দরিদ্র জনগোষ্ঠীও সেটিকে আমল করে। এবং তাদের লেভেলেই আমল করে; আগুনে পোড়ানো, কূপিয়ে মারা ইত্যাদি এই রোগের স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ।
আমার মতে কোন প্রকারের বাহুল্য - খরচ ছাড়াই শিক্ষিত ছেলে - মেয়েরা বিয়ে করা উচিত। সর্বমোট ৫০ -৬০ হাজার টাকা খরচে পুরো ব্যাপারটাই সমাধা হলে সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত শ্রেণীও এটা মেনে নিবে।
অবশ্য ‘শিক্ষিত’ মেয়েরা এটা মানলে তো ! আমি দেখেছি বোরকা পড়া ‘ইসলামপন্থী’ মেয়েরাও বিয়ের খরচের ব্যাপারে আপোষহীন। সম্প্রতি আমার এক স্নেহাষ্পদ প্রাক্তন ছাত্র এক নেকাবধারিনীকে বিয়ে করেছে যাতে মেয়ের মামী বরের পকেটের পয়সায় ১২ শ টাকা দামের লিপিস্টিক কিনেছে। সেলুকাস .... !
আশা করি পোষ্টটি প্রথম পাতায় পাবলিশ হবে। কারণ আমার কোন লেখা এ পর্যন্ত প্রথম পাতায় আসেনি। অথচ আমাকে মেইল করা হয়েছে যে আমি প্রথম পাতায় চান্স পাবো। কোন্ তরীকায় কি করলে প্রথম পাতায় আসা যায় জানতে ইচ্ছুক।