এই মাত্র ফ্যাকাল্টি হতে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টা হতে ছাত্রদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। ছাত্রদের মিছিলে চাকসু কেন্দ্রের কাছে পুলিশ বাধা দিলে ছাত্ররা চাকসু ভবনে ব্যাপক ভাংচুর করে। কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলকে ব্যাপকভাবে মারপিট করে পার্শ্ববর্তী লেকের খাদে ফেলে দ্যায়। ওখানে পুলিশ তখন অনেক কম ছিল। এরপর প্রশাসনিক ভবনের দিক থেকে আরো পুলিশ এসে একশন শুরু করে। এমনকি ছাত্রীদেরকেও পেটাতে থাকে। মহুর্মুহু টিয়ার গ্যাসের সেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি মারতে থাকে। ছাত্ররাও নজিরবিহীনভাবে সকল ফ্যাকল্টি ও অফিসে মারাত্মকরকমের ভাংচুর চালায়। বুঝতে পারছিনা তাঁরা (বাহ্যতঃ ‘সাধারন’ ছাত্র) এতো বানানো অর্থাৎ মারামারির জন্য সাইজ করা লাঠি কোথায় পেল ! ছাত্ররা এমনকি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভেতরে ঢুকে টেব্যুলেশন শীটে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। ম্যারিন সায়েন্সের প্রফেসর কাদের স্যারের দুঃসাহসিক ভূমিকার কারনে সেটি রক্ষা পায়। ঘটনা যখন শুরু হয় তখন আমি আর্টস ফ্যাকাল্টির তিন তলায় এম. এ. ’র একটি কোর্সে ক্লাশ নিচ্ছিলাম। দেড়টার দিকে উপস্থিত প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকদের অনুমতি নিয়ে আমার এক কাজিন স্টুডেন্ট ও দু’জন সহকর্মীকে নিয়ে অনেকটা দৌড়াতে দৌড়াতে দক্ষিণ ক্যাম্পাসস্থ বাসায় এসে পৌঁছি। পথিমধ্যে ভি.সি. হিলের গোড়ায় ছাত্রদের এক সমাবেশের মধ্যে পড়ি। তাঁরা আমার ইন্টারভিউ রেকর্ড করার শর্তে যেতে দ্যায়। বলেছি, এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। তাঁরা চাচ্ছিল আমি তাঁদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মেনে নেই। আমি বার বার বলেছি, ইট্স আপ টু ইউ। এ্যজ এ ঠিচার আই হ্যভ নাথিং টু সে। বাট আই এম ডিপলি শকড টু সি হোয়াটএভার হেপেন্ড হিয়ার টুডে। ইট্স টোটালি আন প্রিসিডেন্টেড। অনেক পুলিশ, শিক্ষক ও স্টুডেন্ট আহত হয়েছে। জানিনা স্পেসিফ্যক্যালি কে বা কারা এর জন্য মূলতঃ দায়ী ! তবে আন্দোলন কারীরা দৃশ্যতঃঅত্যন্ত সংঘটিত ও স্পটতঃ বাম ঘরনার । আই ওয়াজ অনলি স্কেয়ারড ফর মাই ল্যাপটপ ...! ইতোমধ্যে সবগুলো হল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার শুরু হলো সেশন-জ্যাম, বহিস্কার ও আন্দোলনের পর্ব ....!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪৮