ডঃ ইউনুস বর্তমানে দেশে টক অব দ্যা কান্ট্রি। উনি এবং ফজলে হাসান আবেদ সাহেব তত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছেন বলে আওয়ামীলীগ ও তার চেলাচামুন্ডারা হৈ চৈ করে উঠেছে। কিন্তু ব্লগে বাংলাদেশ ব্লগার্স লীগের কাউকে খুজে পাওয়া যাইতেছে না। এই ইস্যুতে উনারা চুপচাপ আছেন। দেখতেছেন যে কি হয়। আসতে মনে হয় ব্লগার্স লীগ এর লোকজনও ইউনুস সাহেব কে সমর্থন করেন। কারন সাধারনত সচেতন, শিক্ষিত সমাজই ব্লগের সাথে জড়িত। আর সচেতন সমাজ, সুশীল সমাজে ইউনুস সাহেবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। উপরন্তু নোবেল প্রাইজ উনারে একেবারে পীরের আসনে উত্তোলন করেছেন। আওয়ামী মন্ত্রী, নেতারা উনার নোবেল টাকেই টার্গেট করেছে। এমনকি ২ আসনে নির্বাচন করে ৩৫৬ ভোট পাওয়া বাম জননেতা দীলিপ বড়ুয়াও উনাকে সবক দিচ্ছেন। তাতে প্রবলেম নাই। কারন এইদেশে বামদের ব্যাপক গলা। আমি অনেক আগে থেকেই এইসব দেখতেছি। বামদের যেকোন প্রোগামে শ্রোতার থেকে বক্তা বেশি হয়।
কিন্তু ব্লগার ও সুশীল সমাজের এই একমুখীতা সত্যিই হতাশাজনক। আমার মনে হয়না যে কোন ইউনুস সমর্থক ব্লগার উনার কীর্তি দেখেছেন। সবাই পত্রিকা পড়ে, উনার নোবেল হাতে হাসোজ্জল ছবি দেখেই মাতোয়ারা। উনার নোবেল এন্ড শান্তি যে কত মানুষের, কত পরিবারের শান্তি হারাম করেছে করতেছে তার হদিস নেই। যশোরের হিলারি পল্লী হতে পারে তার অন্যতম দৃষ্টান্ত।
অনেকেই এখন মন্তব্য করবেন যে উনার মতো সম্মান বাঙালিকে কে এনে দিয়েছে?? আসলেইতো।
পেটে ভাত না থাকলে সম্মানের চিন্তা কেউ করে না। পতিতালয়ে যারা দেহ বেচে তারা ভাতের জন্যই বেচে। সম্মানের চিন্তা করে না।
সুশীল সমাজ নোবেল লরিয়েট ডঃ ইউনুস কে চেনে। তাকে নিয়ে গর্ব করে। আর................
যারা সব হারিয়েছে, গ্রামের অনেক মানুষ চেনে তাকে “সুদখোর ইউনুস” আর দেয় গালাগালি।
মাইনর সুশীল সমাজ আর মেজর সাধারন জনগোষ্টীর এমনই পার্থক্য। যার কারনে উনি রাজনীতিতে আসতে চেয়েও আসতে পারেননি। সুশীল সমাজ তো শহরের আড্ডাখানাতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সাধারন জনগনতো পুরো দেশটাই।
বিঃ দ্রঃ- গঠনমূলক, আলোচনামূলক মন্তব্য করবেন। আমার এই লেখা ভাল না লাগলে গালাগালি করবেননা। প্রতিটি মন্তব্যেরই আমি জবাব দেবার চেষ্টা করব।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১২ সকাল ৯:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




