ধর্ম নিয়ে বাঙালীর বিস্তর এলার্জি ! যদি ১৬ কোটি বাঙালীকে জিজ্ঞেস করা হয় কয়জনে কোরআন,বেদ পড়েছেন ? তাহলে দেখা যাবে পড়ার হার বড় জোর ৫% , হিন্দুদের অবস্থা’ত আরো করুন, মোল্লাদের ফতোয়া মোতাবেক নাকি এই বেদ বেশির ভাগ লোকেরা স্পর্শই করতে পারে না, হায়রে কপাল !
মুসলিমদের ক্ষেত্রে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে শতকরা কয়জনে পাচঁওয়াক্ত নামায পড়েন ? তাহলে দেখা যাবে ৩% ও পাওয়া যাবে না । যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনার মেয়ে-ওয়াইফ কি পর্দা করে ? তাহলে বড়জোর ১০% পাবেন...এটা একটু বেশি কারন পুরুষের কর্তৃত্ব ফলানোর একটা ব্যাপার আছে । কিন্তু কেউ যদি এসব প্রথার বিরুদ্ধে বলে তাহলে হইছে ! ওই ব্যাটার আর রক্ষা নেই,পারলে দেশ ছাড়া করে !
হিন্দুদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে, বেশ-কয়েকদিন আগে ভারতীয় শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের কিছু ছবি প্রদর্শনের সময় আটকে দেওয়া হয় , অভিযোগ উনি দেবতাদের নগ্ন মূর্তিকে নিয়ে কঠাক্ষ করেছেন ! প্রসঙ্গক্রমে বলছি, বিশ্বখ্যাত এই শিল্পীর ছবির বিষয় বস্তু ছিল, নগ্ন দেবীর প্রেমে কামনাসক্ত বালকের আর্তি । হিন্দুরা ন্যাংটা মূর্তিকে ঘরে,মন্দিরে সাজিয়ে রাখতে পারে ! আর কোন শিল্পী নগ্ন মূর্তি আকতে পারবেন না ! কেন ? ওর নাম মুসলিমের মত বলে ? আরে বেটারা কামতত্ত্বে রাধা-কৃষ্নের যে কামলীলাগুলোর কথা বলা আছে, এসব যে লিখছে সে কি অশ্নীলতার দোষে দোষী নয় ? যতটুকু জানি রাধা-কৃষ্নের মধ্যে বিয়ে হয়নি, পুরোটাই ছিল পরকীয়া !
এইসব ধর্মনুরাগীদের মধ্যে আসলে ধর্ম নেই, ধর্ম মানার মানসিকতাটুকু ও নেই । আপনি একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন যে কেন নেই বললাম । আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে ঘুষ,মিথ্যা,চুরি,ডাকাতি,রাহাজানি, দলাদলির এত ছড়াছড়ি যে আপনার চারপাশে দেখলেই বুঝবেন । যদি এরা ধর্ম মেনে চলে তাহলে কি করে ...এ স্থানে এত ব্যাপক দূর্নীতি হয় ? কি করে বলেন’ত ? কতদুর পর্যন্ত খুজলে একজন সত্যবাদী লোক পাবেন ? কতদূর পর্যন্ত হাটলে সুদ ছাড়া আপনাকে ধার দেবার মত লোক পাবেন ? কোন ধর্ম’ই যেখানে চুরি,মিথ্যা, শঠতা,ডাকাতি,ঘুষের পক্ষে বলে না সেখানে এত ধর্ম কাতর লোকেদের দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া, কোন মতেই ধর্ম পালন হতে পারে না !
যদি আপনি বাংলাদেশের সবলোককে জিজ্ঞেস করেন যে হিন্দী সিনেমা দেখেন কি না , তাহলে দেখবেন ৯০% এর ও উপরে হ্যা বলার লোক পাবেন । যদি হিন্দু,মুসলিম,বুড্ডিস্টদের জিজ্ঞেস করেন যে আপনি কি কোন দিন কোন পরনারীর সাথে সঙ্গম করেছেন ? তাহলে এ হার বোধহয় ৭০% এর ও উপরে পাবেন । মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে, ভার্জিন মেয়ে পাওয়া’ত আজকাল আকাশ-কুসুম কল্পনার মত ! হিন্দী টিভি-সিরিয়ালে আসক্ত বেপর্দা মেয়েদের মুখে যখন পর্দার গান শোনা যায়, তখন ব্যাপারটা হাস্যকরই লাগে ! হাস্যকর !
যদি এসব লোকেদের সামনে কোন ধর্ম বিতৃষ্ন মানুষ প্রশ্ন বোধক কোন মতামত দেয়, তাহলে দেখবেন শতকরা ১০০% ই চিল্লাইয়া গলা ফাটাবে । একবার ও চিন্তা করে দেখবে না যে, যেই লোকটা তার জীবনে কোনদিন ধর্মের সঠিক প্রয়োগ দেখে নাই, সে’ত প্রশ্ন করবেই ! নাকি ? বরং এই লোকের মন্তব্য,লেখনীর পিছনে তথাকথিত ধর্মান্ধরাই দায়ী । তাই নয় কি ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



