somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৭২ ঘন্টায় আমার সাকা সামিট

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত তিন বছর সাকা হাফং যাবার প্ল্যান করলাম কিন্তু নিয়তির শিকে ছেঁড়ল না। ২০১৪ নভেম্বরে সাজাই পাড়া পর্যন্ত গিয়েও ফিরে আসতে হয়ে ছিল রসদ আর সময়ের অভাবে। সেবার উল্টো পথে সাকা সামিটের চেষ্টা করি। রেমাক্রি বাজার হয়ে নাফাখুম আমিয়াখুম হয়ে উজানের দিকে ভেলাখুম পারি দিয়ে নাইক্ষ্যার মুখ হয়ে সাজাই পাড়া পর্যন্ত যাই । ভাগ্য বৈরি, সেই সাথে সঙ্গীর অনিচ্ছা আর সময় ও রসদের অভাব সব মিলিয়ে এত কাছে এসেও ব্যার্থ। কি আর করা, আবার সেই পথেই ফিরে আসি। বারতি পাওনা ছিল পদ্মঝিরির পথটি। তারপর গত ঈদ উল ফিতরে আটঘাট বেঁধে রওনা দেই। এবার পরিকল্পনা ছিল রোমা দিয়ে ঢুকে কেওকারাডং হয়ে সুংশাং পাড়া হয়ে ত্লবং দেখে বাকত্লাই ফলস দেখে সিম্পলাম্পি হয়ে সাকার পথ ধরব। সব ঠিকঠাক চলছিল, সবগুলো স্থানই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই যাই… বর্ষায় জাদিপাই, ত্লবং, বাকত্লাই ফলস দেখার স্বাদও পাই, তারপর বিধিবাম। বৃষ্টির আর থামার নাম নেই। আবহাওয়া খারাপ থেকে খারাপ হতে লাগল। আমিও নাছোড়বান্দা, পুরো ২ রাত বাকত্লাই অপেক্ষা করি। বর্ষায় রেমাক্রি খাল পার হওয়া প্রায় অসম্ভব, তার উপর দীর্ঘ রাস্তা। আমার গাইড এবং পরিচিত স্থানীয় মানুষ লাখলেইন বমও এই সময়ে যাবার জন্য রাজী হল না এবং আমাকে জীদ ধরতে না করল। অবশেষে প্রকৃতির কাছে হারমানতে হয়। ঐ বৃষ্টিতে ব্যাপক ধস হয়েছে। আমরাই শেষ অভিযাত্রি ছিলাম যারা থানচি থেকে বান্দরবান আসার রাস্তাটা ভাল পেয়েছিলাম । আমাদের আসার পরেই থানচী সড়কে ব্যাপক ধস নামে আর বান্দরবান শহর যখন ছাড়ি তখন সবে পানি জমতে শুরু করেছে এরপরই ভারী বৃষ্টির জন্য ঢাকার সাথে বান্দরবানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । কি আর করা আবার প্ল্যান শুরু করি । অন্য সব বাদ দিয়ে শুধু সাকার উদ্দেশ্যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করি। FB বন্ধুদের আর বিভিন্ন গ্রুপের কাছ থেকে থানচীর নিয়মিত খবরা খবর রাখছিলাম । এর মাঝে বড় মোদকের ঘটনা আমাদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে সে চিন্তাও ছিল। যদিও আমি ঐ পথে যাব না (রেমাক্রির)। তারপরও বিজিবির অনুমতির একটা ব্যাপার থাকে।
যাই হকো, ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরে বান্দরবান বাস থেকে নেমেই আরও একটা গ্রুপ পেয়ে যাই যারা আমিয়াখুম যেতে চাচ্ছে। ছাদী ভাইদের ধন্যবাদ। কারণ জীপটা উনারাই ভাড়া করছিলেন। আমি ও আমার সঙ্গী শুধু দরদাম করে ৮০০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকায় কমিয়ে আনি। ব্যাস চট জলদি জীপ ভাড়া করে ভোর ৬টার ভেতরেই থানচীর উদ্দেশ্যে যাত্রা। মেঘের চাদর ভেঙে সকাল ৯ টায় আমরা থানচীতে। আমার পরিচিত এক মাঝিকে ছাদী ভাইদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমি ছুট দেই পুলিশ ফাঁড়ির দিকে। যারা থানচী ভ্রমণে যান তাঁরা গাইড সিন্ডিকেটদের দৌরাত্ম ভালই জানেন। আমি কোন গাইড নিব না । আমার লোক হচ্ছে বাকত্লাইয়ের লাখলেইন। সে যথাসময়েই হাজির। শুরু হল থানাতে অনুমতির জন্য চেষ্টা নানা প্রশ্ন আর অহেতুক সময় নষ্ট করে শেষে অনুমতি দিতে এক রকম বাধ্যই হল। আমি বুঝাতে সক্ষম হলাম, আমি পানি পথ ব্যবহার করছিনা আমি যাচ্ছি পাহাড়ের দিকে। এই ঝামেলা শেষ হতে না হতেই আবার বিজিবির কাছে। এখানে আরও সমস্যা। যাই হউক বুঝাতে সক্ষম হয়ে বর্ডিং পাড়ার উদ্দেশ্যে যখন যাত্রা শুরু করি ঘড়িতে তখন ১২ টার কাটা ছুঁই ছুঁই। লাখলেইনের ব্যক্তিগত কিছু কেনাকাটা আর আমাদের বাজার-সদাই করতে অনেক সময়টা চলে যায়। আজকের মধ্যেই আমরা বাকত্লাই চলে যাব।
আমি ইচ্ছে করেই শেড়কর পাড়ার পথে যাইনি। তাজিং ডং কে এড়ানোর জন্য। তাছাড়া আমার পোর্টার বাকত্লাইয়ের। সেজন্য সেখানে যে আদর আপ্যায়ন পাব তা অন্য পাড়ায় আশা করা বোকামি। শুরু হল আশ্বিনের তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে হেঁটে চলা। বর্ডিং পাড়ায় দশ মিনিটের বিরতি দিয়ে কাইথন পাড়ার দিকে পা বাড়াই। কাইথন ঝিরির পানি বেশ কম তাই কোন সমস্যাও হয় নাই। একদমে কাইথন পার হয়ে বাকত্লাইয়ের পথ ধরি। এই পথে থানচী আসতে সহজ কেননা শুধু অবরোহন করতে হয় কিন্তু আমাদের বেশ চড়াই উঠতে হবে বিশেষত বাকত্লাইয়ের পথটুকু যেখানে আমাদের বেশ সময় লাগবে। তারপরও সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই আমরা বাকত্লাই পৌঁছে যাই। অল্প সময়ের বিকালটা ভালই কাটে।
২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬.৩০মি. এর মত হবে আমরা নেফুপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। পথে বাকত্লাই সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খুব দ্রুতই অনুমতি পেয়ে যাই। তারপর সিম্পলাম্পি যেতেও খুব একটা সময় লাগেনি। সূর্য যখন ধীরে ধীরে তাপ ছড়াতে শুরু করছে তখন সিম্পলাম্পিকে রেখে খাড়া ঢাল বেয়ে থানদুই পাড়ার পথে। সিম্পলাম্পির নিচেই থানদুই পাড়া, এটাও বম পাড়া। থানদুই পাড়া থেকে রেমাক্রি খালের পথ ধরার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পানি বেশি থাকায় নয়াচরণ পাড়া হয়ে হাঁজরাই পাড়ার পথ বেছে নিতে হয়। কি আর করা রোদে সিদ্ধ হতে হতে নয়াচরণ পাড়ায় যখন তখন প্রায় ১২ টা আর প্রায় ৩০ মিনিটের পথ হাঁজরাপাড়া; মাঝে একটা উঁচু পাহাড় আর রেমাক্রি পার হলেই পাঁড়া। হাঁজড়াপাড়া দেখে মন ভরে যাবে যেমন মায়াবি সবুজ আর তারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অদ্যম রেমাক্রির জলের গান- এ যেন কোন স্বপ্নপুরীর গাঁ… ঘড়িতে ১ টা, আমাদের যেতে হবে নেফু পাড়া তাই বিরতির সময় কমিয়ে নেফুর পথে পা বাড়াই। রাস্তাটি অসাধারণ, কি নেই ! এ রাস্তায় গহীন অরন্য, বিশাল বিশাল গাছ, ঝর্না, ক্যাসকেড নাম না জানা পাখির গান আর অরণ্যের যে যায়গাটায় সূর্যের আলো কম সেখানে কান তালা লেগে যাবার মত বিরামহীম পোকার ডাকাডাকি। প্রায় ২ ঘন্টার মত হাঁটছি তবুও কোন লোকজনের চিহ্ন নজরে আসে না। কখনও অরণ্যের রাস্তা, কখনও ঝিরি পথ, কখন পাহাড়ের চড়াই এভাবে বেশ কয়েকটা ঝিরি পার হয়ে এক যায়গা এসে দেখি ঝিরি পথের সামনে পাহাড়ের ধস। রাস্তার চিহ্নও নাই। এর মাঝে অনেকটা রাস্তা চলে এসেছি; এতক্ষণে নেফুপাড়ার খাড়া ঢালটার কাছাকাছি থাকার কথা। ঝিরি ধরে না গিয়ে ডান পাশে একটা রাস্তা চোখে পড়ে। পাহাড় ধসের জন্য লাখলেইন রাস্তাটা ঠিক ধরতে পারে নি। তাই খাড়া একটা পাহাড় বেয়ে উঠতে লাগলাম। উপরে উঠছি তো উঠছিই। বড় বড় গাছ আর ঘন ঝোপ ঝাড়ে ঠাসা তার উপর জোঁকের উৎপাতও কিছুটা বেড়ে গেছে। তারপরও চলতে লাগলাম। যখন পাহাড়ের চূড়ার কাছাকাছি তখন দুই জুম তরণীর কন্ঠ কানে আসে । একটু পরেই তাদের দেখাও মেলে…. বুঝতেই পারছেন রাস্তা ভুল করে অনেকটা পথ চলে এসেছি…আবার নিচে নামতে হবে, আবার ঝিরি ধরে কিছুটা সামনে গিয়ে তারপর নেফুপাড়ার খাড়াই ঢালটা। আমার সঙ্গী কিছুটা ধৈর্যহারা হয়ে উঠে। আমি জানি এরকম হতেই পারে। যাই হোক আমাদের হাতে সময়ও কম আলো থাকতে থাকতেই নেফুপাড়া যাওয়া চাই। সূর্য তখন পশ্চীমে হেঁলে পরেছে। ভুল পথেও যাওয়া যেত তবে ঘন বন আর ঘোরপথ হবে। জুম তরুণীদ্বয় বলল অনেক জঙ্গল যাওয়া যাবে না। ভল্লুক আছে। নিচে নেমে সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে নেফু পাড়ার ঢালটা উঠতে থাকি। পথে নেফু ঝর্ণার জলকেলি সহ অনেকগুলো ফলসের দেখা মেলে। নেফু খাল দুর্দান্ত গতীতে নিচে নামতে যেয়ে নানা যায়গায় ছোট বড় খুম ও ঝর্ণার জন্ম দিয়েছে। বড় বড় গাছ আর প্যাচানো লতি গাছের মাথা থেকে মাটি অবধি ঝুলে আছে। অবশেষে যখন প্রায় হার মানতে বসেছি এই অরণ্য আর পাহড়ের কাছে তখনই আবার কানে আসে মিষ্টি একটা জলের শব্দ। আলো তখনও আছে। সূর্য তার শেষ অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। সামনে এগিয়ে যেতেই অসাধারণ একটা ক্যাসকেড ….জল, অপ্সরীর মতই মোহনীয় আদী নৃত্যের মূদ্রা তুলে পাথরের গায়ে অপূর্ব সুর মুর্ছূনার জন্ম দিয়ে ছুটে চলেছে। নিমিশেই সব ক্লান্তি দূর …মনে হল হউক অন্ধাকার, নেমে আসুক কবর নিরবতা, খাড়াই ঢাল আরও দীর্ঘ হউক…তবুও এখানে কিছুটা সময় ব্যয় করতেই হবে। হাঁজরাপাড়ার পর এই প্রথম পীঠ থেকে ব্যাকপ্যাক মাটিতে নামিয়ে জলের স্বাদ নেই । ঠান্ডা, মিষ্টি একটা স্বাদ আছে সেই জলের। বেশ কিছুক্ষণ অপ্সরীদের গান আর নাচ দেখে পাড়ার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাই…পাড়া খুব দূরে নয়….শেষ পর্যন্ত সূর্যকে পরাস্ত করে দীর্ঘ একটা পথের সফল সামপ্তিটানি। এতটা রাস্তা কেউ একদিনে আসে না। অধিকাংশ অভিযাত্রী হাঁজরাপাড়ায় রাত্রীযাপন করে থাকে। কিন্তু আমার চ্যালেঞ্জ ছিল স্বল্পতম সময়ে সাকা সামিট করবো। নেফু পাড়ায় আদিমতা আর বন্যতার একটা গন্ধ আজও আছে, এখনও শিকারী শিকারে যায়, শিকার করে, শিকার হওয়া পশুর মুন্ডু, চামড়া বীরত্বের ও প্রথার প্রতিক হিসেবে সংরক্ষণ করে। ট্রাইব ও টোটেম প্রথার শেষ যোগসূত্রটা পাওয়া যায়।
ভোর সাড়ে পাঁচাটায় ঘুম ভেঙে যায়। মুখে জল না দিয়েই প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস আর ক্যামেরা নিয়ে সাকার পথে পা বাড়াই। গত রাতেই আমার সহঅভিযাত্রী (বন্ধু মনির) ও লাখলেইন একজন গাইডের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। সেও যথাসময়ে হাজির…নেফু পাড়া থেকে সাকা যাওয়ার রাস্তাটা তুলনামূলক সহজ, কেননা খাড়াই কম। একটা ছন্দে উপরে উঠে গেছে। তবে যা আছে তা হল জোক..আপনাকে দু চারটা কামড় খেতে হবেই। ঘন অরণ্যের মধ্য দিয়ে হেঁটে চলেছি আমরা চার জন। পাড়াতে অন্যকোন অভিযাত্রী দলও দেখি নাই। পরিবেশও ভাল না, এই যায়গাটি সীমান্তের কাছে হওয়াতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এমনকি মায়ানমারের সীমান্ত বাহিনীও মাঝে মাঝে হানা দেয়। নির্জন রাস্তায় পাখির ডাক শুনতে শুনতে এগিয়ে চলা। ছোট একটা ঝিরি পরে, এটাই পানির শেষ উৎস। তারপর সাকার চূড়া পর্যন্ত আর পানির ব্যবস্থা নেই। তাই পর্যাপ্ত পানি সাথে নিয়ে নিতে হয়। আমার ওয়াটার পটটা সাথে ছিল সেটা ভরে নিলাম আর কারও কাছে পানির ব্যবস্থা নেই। তাড়াহুড় করে আমার সঙ্গী নিজের পানির পাত্রটা পাড়ায় ফেলে এসেছে। নেফু ফরেস্ট পার হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকলে দেখবেন বাঁশবন শুরু হয়েছে তখন বুঝবেন সাকার বুকে পা দিয়ে দিয়েছেন। একটা সময় প্রমিনেন্ট রাস্তার বাম দিকে মোড় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ পথে ঘন বাশঁবন আর ঝোপ-ঝাড় বেশি। আমাদের নতুন গাইড কেটে কেটে ঝোপ পরিস্কার করছে আর আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এভাবেই বাঁশবনের ফাঁকগলে এগিয়ে যেতে যেতে এক সময় সাকার সাবসিডিয়ারি পিকটিতে পৌঁছাই। বেশ পরিস্কার অনেকটা কচ্ছপের পিঠের মত আর সামনে খাড়া ৫০/ ৬০ ফুটের মত দাড়িয়ে আছে সাকার প্রমিনেন্ট পিকটি। বিশ মিনিট বাঁশ আর ঝোপ কেটে পৌঁছে যাই মোদকের চূড়ায়, বাংলাদেশের ছাদে…। অবশেষে ২৯. ০৯. ২০১৫ সাকা সামিট করি।
** ফিরেও আসি দ্রুত। সাকাতে ঘন্টা খানেকের মত থেকে পাড়াতে নেমে আসি। ভরপেট জুমের লাল চালের ভাত আর স্থানীয়দের রান্না করা ঝিঙ্গে দিয়ে কাঁকড়ার ঝুল তরকারি যা ওরা খায় তাই দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে পা বাড়াই বাকত্লাইয়ের পথে। ইচ্ছে করেই সাতভাইখুমের রাস্তায় যাইনি কারণ, এই রাস্তায় গত নভেম্বেরে গিয়েছিলাম আর খালের পানিও বেশি নাইক্ষ্যার মুখ পার হতে সমস্যা হতে পারে তাছাড়া আমার পোর্টার লাখলেইন সাতাঁর জানে না।
** এ যাত্রায় চেনা অচেনা প্রচুর পাহাড়ী ফল ও আদিবাসীর রান্না খাওয়া হয়েছে। রাস্তায় বৃষ্টির বাঁধা আর সিম্পলাম্পির প্রায় ৯০ ডিগ্রি খাড়া ঢাল বেশ ভুগিয়ে ছিল আর সেই সাথে অন্ধকারে মাথায় বিরামহীন বৃষ্টি নিয়ে সিম্পলাম্পি থেকে বাকত্লাই ফেরার কথা অনেক দিন মনে থাকবে। জোঁকে এমন সুযোগ আগে কখনও পায়নি…
** কষ্টকর হলেও তিন দিনেই সাকা সামিট করি তারপর একদিন বাকত্লাইয়ে রেস্ট নেই, সে রাতেই ফেরদৌস ভাই আরজু শেখ ভাইদের গ্রুপের চার জনের সাথে দেখা। তারপর এক সাথেই অক্টোবরের প্রথম প্রহরে বাকত্লাই থেকে ৩ ঘন্টায় থানচী। আবারও ছাদী ভাইদের সাথে দেখা এবং জীপে বিকাল চারটায় বান্দরবান এবং রাতে ঢাকা ফেরা।
** সাকার চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পাখির একটা ঝাঁক মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায়; যারা সাকা সামিট করেছেন তারা জানেন সেই মায়াবী যাদুকরি ডানার শব্দ কতটা মাতাল করে তোলে...
** নেফু ফলস মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে উচুঁতে অবস্থিত ফলস্।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×