সচলায়াতনের শিক্ষানবিসের এই পোস্টটা বেশ পূরাণো পোস্ট। বর্তমানে জোকার নায়কের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে পোস্টটি আবার লাইম লাইটে এসেছে। পোস্টটিতে জাকির নায়েকের মিথ্যাচারকে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু শুধু জোকার নায়েকই নয়। ধর্মের নামে মিথ্যাচার আর অনৈতিকতা শেখানো ইসলামের বেশ পূরানো জিনিস।
১. বাংলাদেশে যে ব্যাংকটা সবচেয়ে বেশি লাভ করে তার নাম সবাইই জানেন। ইসলামী ব্যাংক আবার সুদ নেয় না, মুনাফা নেয় (হিন্দি বাল আর বাংলা চুলের মধ্যে যতখানি পার্থক্য মুনাফা আর সুদের পার্থক্য ততখানিও নয়)। ইসলামি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিংয়ের নিয়মে গ্রাহককে সরাসরি ক্যাশ দিয়ে লোন দেয় না। আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে কোন দোকানের ভাউচার দিতে হবে। আপনি যে দোকানের ভাউচার শো করবেন, ব্যাংক সেই দোকানের নামে পে-অর্ডার বা তার হিসাবে টাকা জমা করে দিবে। বাস্তবে যা ঘটে, তা হল-সবাইই একটা মিথ্যে ভাউচার তৈরী করে ব্যাংকে শো করে। মানুষকে ইসলামের নামে জোর করে মিথ্যাচার শেখানো হয় না কি এতে?
ঋণ হিসাবে সরাসরি লেনদেন করাও যায় না। একটা স্যাডো একাউন্ট খুলে তাতে লেনদেন করতে হয়। এতে একই সাথে দুটো মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায়। লোন ও ডিপোজিট দুটোই সত্যিকারের চেয়ে অনেক বেশি শো করে। এছাড়াও একজনার ডি.পি.এস (মূলত ডি.পি.এস নয়, অন্য কোন নাম হবে) এর লোন আরেকজনের নামে তুলতে হয়। লোন দেয়ার সাথে সাথেই একটা নির্দিস্টহারে ভবিষ্যত সুদ হিসাব করে রাখা হয়। এবং লোন দেয়ার সময়েই সুদ কেটে রেখে বাকি টাকা দেয়া হয়। ইত্যাদি নানা মিথ্যাচারে ভরে আছে ইসলামী ব্যাংক।
২. মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক ইসলামী দেশগুলোয় একদিন, কয়েকদিন, একমাস বা কয়েকমাসের জন্য বিয়ের প্রচলন আছে। এইসব বিয়ে নামক মিথ্যাচারের নামে তারা পতিতাবৃত্তির কাজকে ইসলামসম্মত করে। এসব সাময়িক বিয়েকে কোনভাবেই বিয়ে বলা যায় না। এখানে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই বিয়ে করা হয়। তা হল সেক্স। ভণ্ডামি কাকে বলে!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৫