somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামে দাসত্ব মানবজাতির জন্য আল্লাহর শাশ্বত পরিকল্পনা ও আশির্বাদ

০৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুসলিম হিসেবে বেড়ে উঠা কালে আমি সদা পাশ্চাত্যকে ঘৃণা করেছি প্রধানত দু'টো কারণেঃ ১) পাশ্চাত্যের অতীত সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের চর্চা (যা মুসলিম বিশ্বকে সর্বাধিক আক্রান্ত করেছিল), ও ২) ফিলিস্তিনদের উপর ইসরাইলের চলতি নির্যাতনের প্রতি তাদের সমর্থন।

আমি সর্বদা মনে করেছি যে, ইতিহাসে ইসলাম কখনো এরূপ অপকর্মে লিপ্ত হয়নি; ইসলাম, খৃষ্টধর্মের বিপরীতে, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের মতো জগণ্য অপকর্ম দ্বারা কলুষিত হয় নি। কিন্তু আমি যখন ইসলামের ধর্মতত্ব (কোরান, হাদিস, নবির জীবনী) এবং ইতিহাস পড়তে শুরু করি, আমি বিস্মিত হয়ে যাই এটা জানতে পেরে যে, ইসলাম কেবল সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বে লিপ্তই হয়নি, এগুলো ইসলামে স্বর্গীয়ভাবে নির্দেশিত ব্যাবস্থাপনাও। তদুপরি, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের চর্চায় খৃষ্টধর্মীয় পাশ্চাত্য ইসলামের তুলনায় ছিল একটা ছোট মাছ মাত্র।

ইতিহাসের নির্মম অনেক ঘটনা পড়তে গিয়ে আমি অন্তরে বেদনা বোধ করেছি, কিন্তু কোন ঐতিহাসিক বর্বরতাই আমাকে এতটা ব্যথিত করে নি, যতটা করেছে ইসলামের বর্বর ক্রীতদাসত্বের চর্চা, যার সূচনা করেছিলেন নবি মুহাম্মদ নিজে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, নবি মুহাম্মদ সম্পূর্ণ অকারণে বা ভূয়া অভিযোগে বনি কোরাইজা, মুস্তালিক ও খাইবারের ইহুদি গোত্রগুলোকে আক্রমণ করেন; এবং তাদেরকে পরাজিত ও বন্দি করার পর তাদের সাবালক সব পুরুষকে হত্যা করেন (দু'এক জন ছাড়া, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল); এবং তাদের নারী-শিশুদেরকে ক্রীতদাস বানান। (আক্রমণের কারণ বা অভিযোগ কতটা ভুয়া ছিল সেটা বুঝতে নবির আদি জীবনী পড়ুন)।

কব্জাকৃত নারী-ক্রীতদাসদেরকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নবি সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও সুন্দরী তরুণী বন্দিকে নিজস্ব যৌনদাসী হিসেবে চয়ন করতেন, যাদের মধ্যে ছিলেন বনি কোরাইজার রিহানা, বনি মুস্তালিকের জুবেরিয়া, ও খাইবারের বনি নাদিরের সাফিয়া (দেখুন Ibn Ishaq, The Life of Muhammad, Oxford University Press, Karachi; p. 461-70, 490-93, 509-23)। নবির এ কর্মপ্রণালী গ্রহণ করে ভারতীয় মুসলিমদের বিজয়ী নায়ক সুলতান মাহমুদ তার ১০০১-০২ সালের ভারত আক্রমণ থেকে রাজধানী গজনিতে ফিরেন ৫০০,০০০ ক্রীতদাসকৃত নারী-শিশুদেরকে নিয়ে; আর আমির তিমুর (তৈমুর লং) তার ভারত আক্রমণ থেকে ১৩৯৯ সালে সমরখন্দে ফিরেন প্রায় ২৫ লাখ নারী-শিশু ক্রীতদাস নিয়ে।

ইসলাম কর্তৃক ঘটিত এরূপ জগণ্য ও নির্মম ক্রীতদাসত্ব চর্চার ঘটনা সত্ত্বেও মুসলিমরা বলবে যে, ইসলামে ক্রীতদাসত্বের কোনই জায়গা নেই। বরঞ্চ ইসলামই প্রথম ক্রীতদাসত্বের বিলুপ্তি ঘটায়।

সেটা কীভাবে সম্ভব? মুসলিম ভাইদের মতে - যাদের মধ্যে রয়েছেন Strange Love নামক এক মুসলিম - কোরান বলে যেঃ "আপনি জানেন, সে ঘাটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি।" (কোরান ৯০:১২-১৩)

এটা সত্য যে, কোরান মুসলিমদেরকে ক্রীতদাস মুক্ত করার পরামর্শ দেয় অন্যায় কর্মের পাপ থেকে রেহাই পেতে, যেমন কোন মুসলিমকে হত্যার পাপ (অমুসলিমকে হত্যা করলে সেটার দরকার নেই। অর্থাৎ কোন মুসলিমকে হত্যা করলে একজন ক্রীতদাস মুক্ত করে দাও, ব্যাস!)

Strange Love-এর মতো মুসলিমদের কাছে ক্রীতদাসত্ব সম্পর্কে কোরানে উদ্ধৃত কেবল এরূপ একটি-দু'টি আয়াত বিবেচনার যোগ্য, যদিও কোরানে এ বিষয়ে ডজন-ডজন আয়াত রয়েছে; বাকীগুলো তাদের কাছে বিবেচ্য নয়, সগুলো কোন গুরুত্ব বহন করে না।

যাহোক, যদি এবার মুসলিমদেরকে প্রশ্ন করা হয়, ইসলাম যদি ক্রীতদাসত্ব বিলুপ্ত করেই থাকে তাহলে মুক্ত করার জন্য ক্রীতদাস কোথায় পাবে সে? উত্তরে তারা বলবেঃ "ইসলাম-পূর্ব আরব সমাজে ক্রীতদাসত্ব বিদ্যমান ছিল; ইসলাম-গ্রহণকারী অনেক মুসলিম ক্রীতদাসের মালিক ছিল; এ আয়াতটি সেসব ক্রীতদাস মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলছে।"

উত্তরটা যুক্তিযুক্ত! যেসব ক্রীতদাসদেরকে নিয়ে মুসলিমরা ইসলামে প্রবেশ করেছিল, উপরোক্ত আয়াতের পরামর্শে তাদেরকে মুক্ত করে দিলে ক্রীতদাসত্ব সত্যি-সত্যি ইসলামের দ্বারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

তবে কোরানের আয়াতগুলো চিরন্তন; সেগুলো মুসলিমদের জীবনে প্রযোজ্য হবে সর্বকালে। কিন্তু উপরোক্ত আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আজও আমাদেরকে বলছেন, কিংবা আজ থেকে ১০,০০০ বছর পর মুসলিমদেরকে বলতে থাকবেন ক্রীতদাস মুক্ত করতে, যদিও ক্রীতদাসত্বকে তিনি ১৪০০ বছর আগেই বিলুপ্ত করেছেন। এটা কি আল্লাহকে নির্বোধ প্রতিপন্ন করে না? আল্লাহ কীভাবে এরূপ আয়াতকে শাশ্বত কোরানে স্থান দেন?

Strange Love-এর মতো মুসলিমদের যুক্তি আল্লাহকে ঠিকই নির্বোধ প্রতিপন্ন করে। কিন্তু বিশ্বস্রষ্টা ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহ এরূপ একজন নির্বোধ হতে পারেন না। বরং Strange Love-এর মতো ভ্রান্ত বান্দারা আল্লাহকে এরূপ বেকুব প্রতিপন্ন করে।

ক্রীতদাসত্বঃ মানবজাতির জন্য আল্লাহর চিরন্তন পরিকল্পনা

কোরানের মাধ্যমে আল্লাহ মুসলিমদেরকে বিশ্ব ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত ক্রীতদাস মুক্ত করার পরামর্শ দিতে থাকবেন, কেননা আল্লাহ ক্রীতদাসত্বকে ইসলামে একটি "চিরন্তন ব্যাবস্থাপনা" হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। লেখক এম, এ, খান তার "ইসলামিক জিহাদ" গ্রন্থে ইসলামে ক্রীতদাসত্বের মৌলিক ভিত্তিটি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ("ইসলামিক জিহাদ" গ্রন্থটি বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে 'জিহাদঃ জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার'; ব-দ্বীপ প্রকাশন)। খানের বইটি থেকে সংশ্লিষ্ট অংশটুকুর উদ্ধৃতি দিচ্ছি এখানেঃ
--------------------------

দাসপ্রথাকে কোরানের অনুমোদন

দাসপ্রথাকে ইসলামে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে নিম্নোক্ত কোরানের আয়াতটি, যার মাধ্যমে আল্লাহ ন্যায়বান ও সত্যপন্থী মুক্ত মানুষ বা প্রভুদেরকে বোবা, অকেজো ও বোঝাস্বরূপ ক্রীতদাসদের থেকে পৃথক করেছেন:

আল্লাহ দুই ব্যক্তির মাঝে আরেকটি কাহিনীর অবতারণা করেছেন: তাদের একজন ক্ষমতাহীন ও বোবা, যে তার প্রভুর উপর এক ক্লান্তিকর বোঝা; যেভাবেই তাকে চালনা করা হোক না কেনো, সে কোনোই কাজে আসে না: এরূপ মানুষ কি তার মতোই, যিনি ন্যায়বান ও সঠিক পথের অনুসারী?" (কোরান ১৬:৭৬)

আল্লাহ ক্রীতদাসদেরকে মর্যাদায় সমঅংশীদার ও তাদের সম্পদের ভাগীদার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাসীদের সতর্ক করে দেন, পাছে অন্যদের মত ক্রীতদাসদেরকেও একইভাবে ভয় করতে হয়ঃ

"তোমরা কি তোমাদের দক্ষিণ হস্তের মালিকানাধীন লোকদেরকে (অর্থাৎ ক্রীতদাস বা বন্দি) আমাদের প্রদত্ত সম্পদের সমঅংশীদারী করবে? তোমরা কি তাদেরকেও সেরূপ ভয় করবে, যেমন ভয় করো পরস্পরকে?" (কোরান ৩০:২৮)

এ আয়াতটির ব্যাখ্যায় মওলানা আবুল আলা মওদুদি ক্রীতদাসদেরকে সম্মান ও ধনসম্পদে সমান গণ্য করাকে ইসলামে সবচেয়ে ঘৃণ্য শিরক বা অংশীদারিত্বের মতো কাজ বলে মনে করেন৷3. অন্যত্র আল্লাহ স্বয়ং তার স্বর্গীয় পরিকল্পনার অংশরূপেই কম আনুকূল্যপ্রাপ্ত ক্রীতদাসদের চেয়ে কিছু মানুষকে, অর্থাৎ প্রভু বা দাসমালিকদেরকে, বেশি আশীর্বাদপুষ্ট করেছেন বলে দাবি করেন। তিনি মুসলিমদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে তারা ক্রীতদাসদেরকে তাঁর দেওয়া উপহার বা প্রতিদানে সমান অংশীদার না করে৷ যারা ক্রীতদাসদেরকে নিজেদের সমান মর্যাদার ভাববে, আল্লাহ তদেরকে সাবধান করে দেন এটা বলে যে, সেরকম করলে আল্লাহকে অস্বীকার করা হবে:

"জীবনধারনের নিমিত্তে আল্লাহ তোমাদের কারো কারো উপর অন্যদের তুলনায় অধিক মুক্তহস্তে তাঁর উপহার বা প্রতিদান বর্ষন করেছেন। অধিক আনুকূল্য প্রাপ্তরা তাদেরকে দেওয়া সে উপহার তাদের দক্ষিণহস্তে ধারণকৃতদের (দাসদের) উপর বর্ষন করবে না, যাতে তারা এক্ষেত্রে সমপর্যায়ের হতে পারে। তারা কি আল্লাহর আনুকূল্য অস্বীকার করবে?" (কোরান ১৬:৭১)

আল্লাহ শুধু দাসপ্রথাকে অনুমোদনই দেন নি, তিনি নারী-দাস বা দাসীদেরকে যৌনসম্ভোগ হিসেবে ব্যবহারের জন্য দাস-মালিকদেরকে স্বর্গীয়ভাবে আশীর্বাদপুষ্টও করেছেন (মুসলিম পুরুষরাই কেবল দাসদাসীর মালিক হতে পারে):

"তারা তাদের গোপনাঙ্গকে রক্ষা করবে, তবে তাদের স্ত্রীদের ও দক্ষিণ হস্তের মালিকানাধীনদের (ক্রীতদাসীদের) বাদ দিয়ে - এদের সাথে (যৌন-সহবাসে) দোষের কিছু নেই৷" (কোরান ২৩:৫-৬)

সুতরাং বন্দি ও ক্রীতদাসদের মধ্যে নারীরা থাকলে মুসলিম পুরুষরা স্ত্রীদের সঙ্গে যেরূপে যৌনক্রিয়া করে, তাদেরকেও সেরূপে ভোগ করার স্বর্গীয়ভাবে অনুমোদিত অধিকার পেয়েছে৷ আল্লাহর এ রায় ইসলামে যৌনদাসীত্ব বা উপপত্নী প্রথা প্রতিষ্ঠা করে, যা উপনিবেশ-পূর্ব মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকরূপ লাভ করেছিল এবং বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। যদিও বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে একজন পুরুষের জন্য চারজন স্ত্রী রাখার বিধান (কোরান ৪:৩), কিন্তু যৌনদাসী রাখার বেলায় সংখ্যাগত এরূপ কোনো সীমাবদ্ধতা নেই৷

আল্লাহ মুসলিমদেরকে যৌনকর্মে ব্যাবহারের জন্য অবিশ্বাসীদের সাথে যুদ্ধ করে নারী ক্রীতদাস সংগ্রহের স্বর্গীয় অনুমোদনও দিয়েছেন এভাবে:

"হে নবি! অবশ্যই আমরা তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের বৈধ করেছি, যাদেরকে তোমরা যৌতুক প্রদান করেছো৷ এবং যাদেরকে তোমাদের দক্ষিণ হস্ত দখল করে রেখেছে, তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ যাদেরকে যুদ্ধবন্দিরূপে তোমাদেরকে প্রদান করেছেন৷" (কোরান ৩৩:৫০)
-------------------

এবং কীভাবে মুসলিম ক্রীতদাস শিকার করবে আল্লাহ সে নির্দেশ দেন এভাবেঃ
"(আল্লাহ) তাদেরকে তাদের দুর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দি করছ।" (কোরান ৩৩.২৬-২৭)

অন্যকথায়, ক্রীতদাসত্ব চর্চা সম্পর্কিত আল্লাহর নির্দেশ পূর্ণ করণে মুসলিমদেরকে সাহায্য করতে আল্লাহ কাফেরদের (ইহুদি, খৃষ্টান ও অন্যান্য) অন্তরে সন্ত্রাস ঢুকিয়ে দিবেন যাতে মুসলিমরা সহজেই তাদেরকে পরাজিত করতে পারে। এবং পরাজিত করার পর মুসলিমরা কিছু অংশকে (অর্থাৎ সাবালক পুরুষদেরকে) নিধন করবে আর বাকীদেরকে (নারী ও শিশু) বন্দি হিসেবে কব্জা করবে (অর্থাৎ ক্রীতদাস বানাবে)।

নবি মুহাম্মদ তার জীবদ্দশায় ঠিক সেই কার্যপ্রণালীটিই প্রয়োগ করেছিলেন, যার কিছু দৃষ্টান্ত উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং পরবর্তী মুসলিমরা আল্লাহর সে নির্দেশ ও নবির দৃষ্টান্তগুলো অগ্রাহ্য করতে পারেন নি - যেগুলোর প্রতিপালন ও অনুকরণ সর্বযুগের মুসলিমদের উপর ন্যাস্ত। নবির মুহাম্মদের সময় থেকে ইসলামের ইতিহাস ঠিক সেটাই কার্যকর করে এসেছে যতদিন না পাশ্চাত্য নিজস্ব ক্রীতদাস চর্চা বিলুপ্ত করে ধৈর্যশীল কঠোর প্রয়াসের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের ক্রীতদাস চর্চা ও ব্যাবসা দমন করতে থাকে, এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মাধ্যমে তা বিলুপ্ত করে বিশ্বব্যাপী।

ইউরোপ ১৮১৫ সালে ক্রীতদাসত্ব বিলুপ্ত করে, কিন্তু সৌদিআরব তা বিলুপ্ত করে মাত্র ১৯৬২ সালে ও ইসলামি মৌরিতানিয়া সেটা করে ১৯৮০ সালে। আর যদিও মুসলিম দেশগুলো কাগজে-কলমে দাসত্ব চর্চার বিলুপ্তি মেনে নিয়েছে, তথাপি এর চর্চা চলমান রয়েছে সৌদিআরব ও মৌরিতানিয়ায়; আর ইসলামপন্থীরা ১৯৮৫ সালে ক্ষ্মতায় আসার পর সুদানে ক্রীতদাসত্ব পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। সুদানি সরকারের মদদপুষ্ট ইসলামি বাহিনী খৃষ্টান-প্রধান দক্ষিণ-সুদানে হানা দিয়ে নারি-শিশুদেরকে ক্রীতদাস হিসেবে কব্জা করে নিয়ে গিয়েছে হাজারে-হাজারে, যেমনটি করেছিলেন নবি মুহাম্মদ। মুহাম্মদ প্রকৃতপক্ষেই মুসলিমদের জন্য সর্বকালে অনুকরণীয় হয়ে রয়েছেন, যা বলে গেছেন আল্লাহ (কোরান ৬৮.৪, ৩৩.২১)।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৪৫
২২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×