somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘কান্ট্রি রিপোর্টসে বাংলাদেশের প্রসংসা

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০১২’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সম্ভবত হেফাজতের বিশাল আন্দোলন ও বৃহৎ সমাবেস অল্প সময়ে দমন ও নিষ্ক্রিয় করাকে মার্কিনিরা প্রসংসনিয় হিসেবেই দেখেছে।
এর আগে গত বছরও কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির সভাপতি ও কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে প্রশংসা করতে দেখা যায়। কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অন্য এক চিঠিতেও তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে আপনার পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।'
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং বলেন, 'সন্ত্রাস দমনে আপনার সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা জেনে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সন্ত্রাস দমনের চাবিকাঠি।'

আজ (৩১-৫-১৩) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নেওয়া দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মাটিতে যে কোন সন্ত্রাসীদের তত্পরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতা উন্নত ও সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ দমনে এ অঞ্চলের এক প্রভাবশালী অংশীদার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ও আন্তদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এতে আন্তদেশীয় সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে তত্পরতা চালানো বা এখানে নিরাপদ আস্তানা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে নাগরিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক কর্তৃপক্ষকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি সারমর্ম দেওয়া হয়েছে। এরপর আইন প্রণয়ন, আইনের প্রয়োগ ও সীমান্তনিরাপত্তা; জঙ্গি অর্থায়ন রোধ; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমন—এ চার অধ্যায়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন অধ্যাদেশ ২০০৯’ বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রয়োগের পথে এগোচ্ছে। তবে সাধারণভাবে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক মামলার ক্ষেত্রে বিচার-প্রক্রিয়ার অগ্রগতি বেশ ধীর। বাংলাদেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য সহযোগীদের নিয়ে বাংলাদেশ ২০১২ সালে ন্যাশনাল একাডেমি ফর সিকিউরিটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠা করে সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশিক্ষণ চালু করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ‘পারস্পরিক আইনি সহায়তা’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে, যা সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে। এ ছাড়া, অপরাধের তদন্তের তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমনে শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ ধর্মীয় নেতাদের উগ্র বাণীর বিরুদ্ধে এক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কথাও বলা হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের।
সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকাতে কার্যকর কৌশল হিসেবে এই সংক্রান্ত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট গঠন সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের কাজ গতিশীল করেছে। এতে সন্ত্রাসিদের মানিলন্ডারিংএর মাধ্যমে ফান্ডিং বন্ধ হয়েছে।
অর্থ পাচার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথাও এতে উল্লেখ করা হয়।

Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×