মুদ্রা পাচার মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে তারেক কোকো গং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেন সিমেন্স কম্পানী থেকে। সিমেন্স জার্মান কম্পানী হলেও যুক্ত্রাষ্টের ওয়াল স্ট্রিট এ নিবন্ধনকৃত।
FBI এর তদন্তে দেখা যায় সিমেন্সের বড় একটি এমাউন্ট সিঙ্গাপুরের একটি যৌথ একাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে যার কোন ইনভয়েস নেই। একাউন্ট হোল্ডার জাজ ডিষ্টিলারিজের আরাফাত রহমান ও সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক লিম ইউ চ্যাং নামে একজন (যৌথ একাউন্ট)
FBI এর অনুরোধে সিঙ্গাপুর পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবং একাউন্টের সমুদয় টাকা বাজেয়াপ্ত করে। সিংগাপুর আদালতের রায় অনুযায়ী এই টাকা ক্ষতিগ্রস্থ দেশকে দিতে বলা হয়। কারন উভয় দেশই জাতিসঙ্ঘের "অন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন" এর স্বাক্ষরকারি দেশ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থ (ঘুষ) গ্রহণ করেন। পুরো অর্থই সিঙ্গাপুরে ঐ একাউন্টে জমা হয়। গত তত্তাবধায়ক আমলে এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদী হয়ে আরাফাত রহমান ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। এরপর ২০১১ সালের ২৩ জুন মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে আদালত কোকোর ছয় বছরের কারাদন্ডসহ ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন এবং একই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
দেখুন, খালেদাজিয়ার গুনধর পুত্রদের ঘুষের টাকা কিভাবে সিঙ্গাপুরে কোকোর জয়েন্ট একাউন্টে! এখানে FBI ও বাংলাদেশী আইনি সংস্থা সমন্নিত ভাবে কাজ করেছে। এটা ২০০৯ এর মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বুলেটিন -
FBI অফিসিয়াল সাইটে ..
Click This Link
এই লেখাটিও পড়ুন -
Click This Link
গত ২৩ জুন ২০১২ প্রথম কিস্তির টাকা আনার পর আমার একটি লেখা, যা প্রথম পাতায় প্রকাশীত হয়নি ব্লগ নিক বিকল থাকার কারনে। পড়ুন -
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪২