somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোকোর ঘুষের টাকা যেভাবে ধরল FBI

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুদ্রা পাচার মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে তারেক কোকো গং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেন সিমেন্স কম্পানী থেকে। সিমেন্স জার্মান কম্পানী হলেও যুক্ত্রাষ্টের ওয়াল স্ট্রিট এ নিবন্ধনকৃত।
FBI এর তদন্তে দেখা যায় সিমেন্সের বড় একটি এমাউন্ট সিঙ্গাপুরের একটি যৌথ একাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে যার কোন ইনভয়েস নেই। একাউন্ট হোল্ডার জাজ ডিষ্টিলারিজের আরাফাত রহমান ও সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক লিম ইউ চ্যাং নামে একজন (যৌথ একাউন্ট)
FBI এর অনুরোধে সিঙ্গাপুর পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবং একাউন্টের সমুদয় টাকা বাজেয়াপ্ত করে। সিংগাপুর আদালতের রায় অনুযায়ী এই টাকা ক্ষতিগ্রস্থ দেশকে দিতে বলা হয়। কারন উভয় দেশই জাতিসঙ্ঘের "অন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন" এর স্বাক্ষরকারি দেশ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থ (ঘুষ) গ্রহণ করেন। পুরো অর্থই সিঙ্গাপুরে ঐ একাউন্টে জমা হয়। গত তত্তাবধায়ক আমলে এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদী হয়ে আরাফাত রহমান ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। এরপর ২০১১ সালের ২৩ জুন মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে আদালত কোকোর ছয় বছরের কারাদন্ডসহ ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন এবং একই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

দেখুন, খালেদাজিয়ার গুনধর পুত্রদের ঘুষের টাকা কিভাবে সিঙ্গাপুরে কোকোর জয়েন্ট একাউন্টে! এখানে FBI ও বাংলাদেশী আইনি সংস্থা সমন্নিত ভাবে কাজ করেছে। এটা ২০০৯ এর মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বুলেটিন -
FBI অফিসিয়াল সাইটে ..
Click This Link

এই লেখাটিও পড়ুন -
Click This Link

গত ২৩ জুন ২০১২ প্রথম কিস্তির টাকা আনার পর আমার একটি লেখা, যা প্রথম পাতায় প্রকাশীত হয়নি ব্লগ নিক বিকল থাকার কারনে। পড়ুন -
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×