বোর্খা-নেকাব না পরেও শালীন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরে ধর্ম করা যায়।
বোর্খা-নেকাব মোটেই ইসলামি ড্রেস না, আরব অঞ্চলের প্রচলিত ড্রেস।
আল্লাহ পবিত্র কোরানে পোষাকের ধরন নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করা হয় নি। কড়াকরি কোন বিধান খুজে পাইনি। আল্লাহ আল কোরানে দুতিন যায়গায় পরিধেও বস্ত্র সম্মদ্ধে বলেছেন -
কোরানের আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে সূরা আহযাবে।
মুখ ঢাকা নেকাব নিষিদ্ধই করা উচিত। মুখঢাকা পোষাক নিরাপত্তার জন্য বড় সমস্যা, কোন দুর্ঘটনা ঘটলে cctv তে দুর্বৃত্ত্ব সনাক্ত করার কোন উপায়ই থাকেনা।
হজ্ব যাত্রীরা তাদের পাসপোর্টের ছবিতে মুখঢাকা নেকাব ব্যাবহার করতে পারেনা। হজ চলাকালিন সময় নারী-পুরুষ উভয়েরই মুখমণ্ডল অনাবৃত রেখে বোর্খা ছাড়াই হজ করতে হয়। সুতরাং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রেই নেকাববিহীন ড্রেসকোড ব্যবহার করতে হয় মুসলিমদের।
ইসলামের আগমনের অনেক পুর্ব থেকেই আরব মহিলাদের মরুভুমিতে চলার সময় মুখঢাকার প্রচলন ছিল, তবে সেটা ধর্মিয় বিধানের অংশ হিসেবে ছিল না, ছিল বালুঝড়, লু হাওয়া বা তীব্র রোদ থেকে বাচার জন্যই।
আরবের তীব্র রোদ থেকে বাচতে সুধু মেয়েরা না, ছেলেরাও মাথার তালু আপাদমস্তক কাপড় দিয়ে ঢাকতো। এধরনের পুরুষদের পোষাক এখনো আরবে প্রচলিত।
এখন মোল্লারা আরব কালচার নিজেরা পালন না করে সুধু দুর্বল মেয়েদের উপর চাপিয়ে দিল!
ভন্ড মৌলবাদি গোষ্টি পালাক্রমে বোর্খা-নেকাব কে ইসলামি লেবাস বানিয়ে ফেলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। এখন পান থেকে চুন খসলেই "ইসলাম গেল .. ইসলাম গেল" বলে চিৎকার ......!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




