রায়ের যে ফাইলটি গত সোমবার একটি ওয়েবসাইটে প্রকশিত হয়েছে! বা ফাঁস হয়েছে বলছে।
আসলে পুরোটাই বানোয়াট। দামি ম্যাকবুকে এডিট করা, রায়ের কন্টেন্ট চুরি করেছে জাজের কম্পুউটার থেকে। যেভাবে গত ডিসেম্বরে চুরি করেছিল স্কাইপির সেভ করা ফাইল।
মিসেস সাকা ট্রাইবুনালের বাইরে সাংবাদিকদের কিছু প্রিন্টেড কাগজ দেখিয়ে বার বার বলছিলেন - এটা আইন মন্ত্রনালয়ের অফিস থেকে ফাস হয়েছে!
এরা আইন মন্ত্রনালয় কথাটা জোর দিচ্ছে কেন?
রায়কে বিতর্কিত করার জন্যই বলা হচ্ছে আইন মন্ত্রনালয় থেকে ফাঁস হয়েছে! যার কোন প্রমান নেই। ফাইল প্রপার্টিজে "আইন মন্ত্রনালয়" নেই,
আছে "এরাবিয়ান হর্স" (ঢেউটিন?)
কিন্তু সাকার পরিবার ও সাকা এইটা আগে জানলো কিভাবে?
যারা এইটা বানাইছে, তারাই সেইটা সাকা ও সাকার পরিবার এবং সাকার লইয়ারদের কাছে পৌছে দিছে সপ্তাখানেক আগেই।
অতচ ফাস হয়েছে রায়ের আগের দিন। সাকা হাই সিকিউরিটি প্রিজনে থেকে কিভাবে জানলো?
সোমবার বা মঙ্গলবার এই দুইদিন নিশ্চয়ই সাকার পরিবারের সাথে সাকার দেখা হয়নি।
রায় আগামি কাল ঘোষনা হবে, এই অবস্থায় গুরুত্বপুর্ন আসামির সাথে শাক্ষাৎ অনুমতি দেয়ার কথা নয়।
নিশ্চই এটা সপ্তাহখানিক বা মাসখানেক আগের ছাগু পরিকল্পনা, যা সাকার পরিবারের ও আইনজীবিদের ভাল ভাবেই জানা ছিল। সাকাকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছিল আগেই।
এসব থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় ট্রাইবুনাল ও রায় কে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা সুপরিকল্পিত ছাগু দুষ্কর্ম।
এই দুষ্কর্ম সুরু করা হয়েছিল ২৩ শে মে ২০১৩ তারিখে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাইলটা তৈরি করার মাধমে। রাত বারটায় কোন সরকারি অফিস খোলা থাকেন না, যদিও ৫ টা অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার পর কিছু গুরুত্বপুর্ন আফিস ৮ টা বা তার বেশী সময় কিছু লোককে কাজ করতে দেখা যায়। তবে রাত দশটার আগেই সব বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টায় কোন সরকারি অফিস খোলা থাকা অসম্ভব।
বেলজিয়ামভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল-লিকস নামের ওয়েবসাইটে যে কথিত রায়ের কপি দেওয়া হয়েছে, সেটি ১৬৫ পৃষ্ঠার। আর গতকাল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি ১৭২ পৃষ্ঠার। দুটো রায় মিলিয়ে দেখা গেছে, ওয়েবসাইটে পাওয়া রায়ে দোষী সাব্যস্তকরণ ও সাজার ফাসি বা জেল বিষয়ে কোনো কথাই নেই। কিন্তু মূল রায়ে অভিযোগ ধরে ধরে প্রমাণ, দোষী সাব্যস্তকরণ ও সাজার ডিটেইল উল্লেখ রয়েছে।
ওয়েবসাইটে পাওয়া রায়টির প্রথম একশত পৃষ্ঠা গোলাম আজমের রায়ের অনুরুপ মনে হবে, সুধু নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।
মূল রায়ের প্রথম অংশে রয়েছে বিচারকের নাম, প্রসিকিউটরদের নাম, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের নাম, ভূমিকা, কার্যবিবরণী, ঐতিহাসিক পটভূমি, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনাল আইনের নানা বিষয়ের সংজ্ঞা, বিভিন্ন বিদেশি আইনের প্রসঙ্গ, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর ক্ষমা, যে কারণে এই বিচার হতে দেরি ইত্যাদি। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কথিত রায়ে এসব থাকলেও হুবহু মিল নেই, অনুচ্ছেদগুলো এলোমেলো। শেষ ৫০-৬০ পৃষ্ঠার কন্টেন্ট চুরি করা হয়েছে হয়তো। পুর্নাংগ রায় হাতে পেলে হয়তো দেখা যাবে এই অনুচ্ছেদগুলোও এলোমেলো।
রায়ের কন্টেন্ট চুরির মামলা হয়েছে। অভিজাত নামধারি অকথ্য গালিবাজ সাকার দুই গুনধর পুত্র (বেয়াদবের বাচ্চা) ও মিসেস সাকা, আর যারা যারা বার বার বলছে "আইন মন্ত্রনালয়" এর কথা।
এদের কে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে চোর কারা কারা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





