somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাকা কে রায় ফাঁসের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছিল ওয়েবসাইটে দেয়ার অনেক আগেই

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রায়ের যে ফাইলটি গত সোমবার একটি ওয়েবসাইটে প্রকশিত হয়েছে! বা ফাঁস হয়েছে বলছে।

আসলে পুরোটাই বানোয়াট। দামি ম্যাকবুকে এডিট করা, রায়ের কন্টেন্ট চুরি করেছে জাজের কম্পুউটার থেকে। যেভাবে গত ডিসেম্বরে চুরি করেছিল স্কাইপির সেভ করা ফাইল।

মিসেস সাকা ট্রাইবুনালের বাইরে সাংবাদিকদের কিছু প্রিন্টেড কাগজ দেখিয়ে বার বার বলছিলেন - এটা আইন মন্ত্রনালয়ের অফিস থেকে ফাস হয়েছে!
এরা আইন মন্ত্রনালয় কথাটা জোর দিচ্ছে কেন?

রায়কে বিতর্কিত করার জন্যই বলা হচ্ছে আইন মন্ত্রনালয় থেকে ফাঁস হয়েছে! যার কোন প্রমান নেই। ফাইল প্রপার্টিজে "আইন মন্ত্রনালয়" নেই,
আছে "এরাবিয়ান হর্স" (ঢেউটিন?)

কিন্তু সাকার পরিবার ও সাকা এইটা আগে জানলো কিভাবে?
যারা এইটা বানাইছে, তারাই সেইটা সাকা ও সাকার পরিবার এবং সাকার লইয়ারদের কাছে পৌছে দিছে সপ্তাখানেক আগেই।

অতচ ফাস হয়েছে রায়ের আগের দিন। সাকা হাই সিকিউরিটি প্রিজনে থেকে কিভাবে জানলো?
সোমবার বা মঙ্গলবার এই দুইদিন নিশ্চয়ই সাকার পরিবারের সাথে সাকার দেখা হয়নি।
রায় আগামি কাল ঘোষনা হবে, এই অবস্থায় গুরুত্বপুর্ন আসামির সাথে শাক্ষাৎ অনুমতি দেয়ার কথা নয়।

নিশ্চই এটা সপ্তাহখানিক বা মাসখানেক আগের ছাগু পরিকল্পনা, যা সাকার পরিবারের ও আইনজীবিদের ভাল ভাবেই জানা ছিল। সাকাকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছিল আগেই।

এসব থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় ট্রাইবুনাল ও রায় কে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা সুপরিকল্পিত ছাগু দুষ্কর্ম।

এই দুষ্কর্ম সুরু করা হয়েছিল ২৩ শে মে ২০১৩ তারিখে রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাইলটা তৈরি করার মাধমে। রাত বারটায় কোন সরকারি অফিস খোলা থাকেন না, যদিও ৫ টা অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার পর কিছু গুরুত্বপুর্ন আফিস ৮ টা বা তার বেশী সময় কিছু লোককে কাজ করতে দেখা যায়। তবে রাত দশটার আগেই সব বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টায় কোন সরকারি অফিস খোলা থাকা অসম্ভব।

বেলজিয়ামভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল-লিকস নামের ওয়েবসাইটে যে কথিত রায়ের কপি দেওয়া হয়েছে, সেটি ১৬৫ পৃষ্ঠার। আর গতকাল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি ১৭২ পৃষ্ঠার। দুটো রায় মিলিয়ে দেখা গেছে, ওয়েবসাইটে পাওয়া রায়ে দোষী সাব্যস্তকরণ ও সাজার ফাসি বা জেল বিষয়ে কোনো কথাই নেই। কিন্তু মূল রায়ে অভিযোগ ধরে ধরে প্রমাণ, দোষী সাব্যস্তকরণ ও সাজার ডিটেইল উল্লেখ রয়েছে।

ওয়েবসাইটে পাওয়া রায়টির প্রথম একশত পৃষ্ঠা গোলাম আজমের রায়ের অনুরুপ মনে হবে, সুধু নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।
মূল রায়ের প্রথম অংশে রয়েছে বিচারকের নাম, প্রসিকিউটরদের নাম, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের নাম, ভূমিকা, কার্যবিবরণী, ঐতিহাসিক পটভূমি, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনাল আইনের নানা বিষয়ের সংজ্ঞা, বিভিন্ন বিদেশি আইনের প্রসঙ্গ, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর ক্ষমা, যে কারণে এই বিচার হতে দেরি ইত্যাদি। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কথিত রায়ে এসব থাকলেও হুবহু মিল নেই, অনুচ্ছেদগুলো এলোমেলো। শেষ ৫০-৬০ পৃষ্ঠার কন্টেন্ট চুরি করা হয়েছে হয়তো। পুর্নাংগ রায় হাতে পেলে হয়তো দেখা যাবে এই অনুচ্ছেদগুলোও এলোমেলো।

রায়ের কন্টেন্ট চুরির মামলা হয়েছে। অভিজাত নামধারি অকথ্য গালিবাজ সাকার দুই গুনধর পুত্র (বেয়াদবের বাচ্চা) ও মিসেস সাকা, আর যারা যারা বার বার বলছে "আইন মন্ত্রনালয়" এর কথা।
এদের কে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে চোর কারা কারা।
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×