ফ্যাক্স বার্তাটিতে অজস্র টেকনিকেল ভুল।
বোঝাই যায় কাঁচাহাতে ফটোশপের মাধ্যমে আনাড়ি অর্ধশিক্ষিত লোক দিয়ে ভুয়া ফটোকপি বানানো হয়েছে।
১। সেনাবাহিনীতে যশোর জিওসি বলে কোন শব্দ নেই। যশোর আর খুলনা অঞ্চলের জিওসিকে বলা হয় জিওসি- ৫৫ বা ৫৫ ইনফ্যানট্রি ডিভিশন। সাধারনত লেখা হয় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি। (GOC, 55 infantry division)
'যশোর জিওসি' অফিসিয়াল ফরমেট ভাষা নয় মোটেই।
২। পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে ভারতের সাথে কাজ করে কেবল মাত্র দক্ষিন এশিয়া অনুবিভাগ। অথচ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ইস্ট এশিয়া এন্ড প্যাসেফিক অনুবিভাগের নাম, যা গুরুতর ভুল।
৩। যে কোন প্রতিরক্ষা / নিরাপত্তা ইস্যুতে - কোন বাহিরের ডিফেন্স এ্যাটাচের সাথে
যোগাযোগের নির্ধারিত ধারা হল এএফডি / নিরাপত্তা সংস্থা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, এখানে তা নেই, যা এই বার্তার অসাড়তা প্রমাণ করে।
৪। এমন কোন বিষয় থাকলেও তা হত অতি গোপনীয় এবং এনক্রিপ্টেড। আর তা কখনোই ফ্যাক্স আকারে পাঠানো হত না। অতি গোপনীয় বার্তা প্রেরণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রেরণ পদ্ধতি আছে যাকে সাইফার কোডিং বলে। সাইফার কোডিং বার্তা কখনো মূল পত্র হিসাবে যায় না। বার্তা অন্য কোন বার্তার সাথে মিক্স হিসেবে থাকে, যা ডিসাইফার করতে হয়। এখানে বার্তা সবটাই উন্মুক্ত।
৫। যদি উন্মুক্ত ভাবেই পাঠানো হয় তা গুরুত্বপূর্ণ বা গোপনীয় বার্তার পাতার উপরে ডানে তা SECRET লেখা ট্যাগ করা থাকে। বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ ভারত, বাংলদেশও এই ফরম্যাট অনুসরন করে। কিন্তু সেখানে দেখানো হয়েছে পাতার নম্বর, যা কোন ভাবেই অফিসিয়াল ফরমেট বলা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭