তৎকালিন বা বর্তমান আওয়ামীলীগের সকল ভাষন শেষ হত 'জয়বাংলা' বলে। ৭ই মার্চের ভাষন সেভাবেই শেষ হয়েছিল 'জয়বাংলা' বলে। ভাষনের সুর বলে এখানেই ভাষন সমাপ্ত। উর্দু ভাষায় 'জিয়ে পাকিস্তান' বলে ভাষন শেষ হয়েছে একথা বিশ্বাসের অযোগ্য। মিথ্যার ধরন দেখলেই বোঝা যায়।
সম্পুর্ন ভাষনটি ৮ই মার্চ থেকে বেতারে বার বার প্রচারিত হয়েছে। এর অডিও রেকর্ড বিবসি রয়টার্স সহ সারা বিশ্বে সংরক্ষিত আছে, রেডিও পাকিস্তান করাচিতেও রেকর্ডের সম্পুর্ন কপি আছে। সত্য কখনো চাপা থাকেনা।
উনি বলছেন মুজিব বা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না।
গাধা কাকে বলে?
মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ, মোটেই সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ ছিলনা। মুজিব মোটেই সামরিক বাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকেন নি, কবে ওরা বিদ্রোহ করে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধিন করে দিবে!
মুজিবের মুল শক্তি ছিল জনগন। ৬ দফার মাধ্যমে মোটামুটি শান্তিপুর্ন ভাবেই পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সহিংসতা ছাড়া শান্তিপুর্ন ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ বানানোর প্রচেষ্টা কালরাতের পুর্ব পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তাই ২৫ শে মার্চ পাকি জান্তা ব্যপক হামলা চালালে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিপুল জনমত ও বিশ্ব জনমত শৃষ্টি হয়, আবাল খন্দকারের মত বেংগল রেজিমেন্ট কে আগেই বিদ্রোহের আহবান জানালে পাকিদের গনহত্যা বৈধতা পেত, আর আমাদের অবস্থা হত তামিল টাইগারদের মত ৫০ বছর যুদ্ধ করেও ফলাফল শুন্য।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কারা করেছিল?
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে সংগঠিত ও সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
৪৭ এর পর থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল।
আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ত্ব দিয়েছিল, মুক্তিবাহিনী সংগঠিত করেছিল। মুজিবনগর সরকার গঠিন করেছিল।
সেই রাজনৈতিক নেতৃত্ত্বে আস্থাশীল হয়ে মুক্তিকামী সকল জনগন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাঙ্গালি সামরিক সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্বক জনমত থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই মুক্তিযুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সবচেয় আপত্তিকর ব্যাপার উনি বলছেন উনি কোন স্বাধীনতার মেসেজ পাঠিয়ে যান নি, এতদিন রাজাকারেরা যা বলে এসেছে নির্লজ্জের মত সেটাই রিপিট করলেন। অতচ শত্রুপক্ষ পাকিস্তান ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ নিজস্য শক্তিশালি চ্যানেল ব্যাবহার করে জেনেছে যে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনার মেসেজ পাঠিয়ে যান, এই নির্ভরযোগ্য সুত্রটি ধরে মার্কিন ও বিশ্ব মিডিয়ায় প্রথম পাতায় লিখে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনা করে গেছেন।
এখানে রাজাকাররাই সুধু 'কনফিউজ' খুজে বেড়ায়।
মুক্তিযুদ্ধ সুধু ৯ মাসের বন্দুক নিয়ে সামরিক যুদ্ধের ইতিহাস নয়।
৫০ দশক থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের ভেতরে বহু ত্যাগ স্বীকার করে জনমত সংগঠিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
যেসব মিথ্যা ইশু নিয়ে রাজাকাররা এতদিন লাফালাফি করেছে, সেইসব মিথ্যা করে সমর্থন করে বই লিখলে তাকে কি বলা যায়?
দেখছেন না ফরমায়েসি বইটি নিয়ে রাজাকাররা আর রাজাকারের বাচ্চারা বইটি নিয়ে কেমন লাফাচ্ছে!!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪১