ঢাবি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ১৩২ জনের জন্য সংরক্ষিত আসনে মাত্র দুইজনের চান্স পাওয়া নিয়ে যারা ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের বংশ উদ্ধার করছেন, তাদের বলি এবার থামেন।
২০০০ সালে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ধারাবাহিক ভাবেই পাশের হার বাড়ছে। উন্নত দেশের আলোকে প্রশ্নপত্র, শৃজনশীল পদ্ধতি আরোপ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, এমসিকিউ, মেশিন রিডেবল রেজাল্ট পদ্ধতি …. ইত্যাদির কারনে পাশের হার ধারাবাহিক ভাবেই বাড়ছে।
আমরা যদি মুল সমস্যার কথা না জেনে চিলের পিছনে দৌড়াই, তবে সমাধান কখনো পাবো না।
আজকের এইই সমস্যার জন্য যতটা শিক্ষামন্ত্রী দায়ী তারচেয়েও বেশি দায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের খামখেয়ালি পদ্ধতি।
একসময় নিয়ম ছিল ইংরেজিতে ১২ মার্কস না পেলে কেউ ইংরেজিতে ভর্তি হতে পারবে না। কিন্তু এবার ইংরেজির বাইরে সিলেবাসে এডভান্স ইংরেজি নামে একটি অংশ যোগ করা হয়েছে, ইংরেজির পাশাপাশি। কেউ যদি ইংরেজিতে চান্স পেতে চায় তবে তাকে অবস্যই ইংরেজির বদলে এডভান্স ইংরেজি আন্সার করতে হবে।
আর্টসের বেশির ভাগ স্টুডেন্ট গ্রামের দিকের, শহরেও, যাদের কাছে মৃত্যু ভয় থেকে ইংরেজির ভয় বেশি। সবাই তিনবার ঢোক গিলে, ইংরেজিতো নয়, একেবারে কঠিন এডভান্স ইংরেজি।
যেখানে ইংরেজিতে পাস করা মানে ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স, তাই তারা ভয়ে কেউ এডভান্স ইংরেজি আন্সার না করে সুধু ইংরেজি আন্সার করে, এই ভেবে যে ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট গোল্লায় যাক। ঢাবিতে অন্য সাবজেক্টে চান্স পেলেই হলো। ইংরেজির আশা করে আম ছাল দুইটাই হারাবে নাকি?
কঠিন এডভান্স ইংরেজি যা নাকি অনেক ইংলিশ মিডিয়ামদের এমনকি টিচারদের কাছেও দুর্বোদ্ধ, আন্সার করেনি ইংলিশ মিডিয়াম স্টুডেন্টরাও। এডভান্স ইংরেজি স্কিপ করাতে সংগত কারনেই ইংরেজিতে ফেল এসেছে, কিন্তু অন্য সাবজেক্টের জন্য ঠিকই উত্রে গেছে।
ভর্তি পরিক্ষায় পাশ-ফেল বলে কিছু নেই এটা বুঝতে হবে।
ভর্তি পরিক্ষায় MCQ ও অন্যান্য পদ্ধতিতে মেশিন রিডেবল রেজাল্টশিট ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষাধিক স্টুডেন্টদের থেকে সর্ট-লিস্টেড করে ভর্তির জন্য তালিকা ভুক্ত করা হয় কয়েক হাজার জন ছাত্রছাত্রী মাত্র। এখানে পাশ-ফেল বলে কিছু নেই। এখানে হায় হায় করার মত কিছু হয় নি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




