ছাগুদের জনপ্রিয় একটা বাক্য হইলো, "আমার বাপে, পরিবারের অমুকে মুক্তিযোদ্ধা, চাচা আওয়ামি লীগ করে, ইত্যাদি ব্লা ব্লা।
রেফায়েত ও 'মজা লস' পেজ নিয়ে ধিরে ধিরে অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে।
১। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের ক্লাস ওয়ান এবং ক্লাস ফাইভের বাচ্চা ধর্ষণের গুজবটার কথা মনে আছে? সেই গুজবটার উৎসস্থল কোথায় ছিল সেটা জানার আগে একটা কথা জানা দরকার। সেই গুজব যে ছেলেটাকে নিয়ে করা হয়েছিলো, সেই ছেলেটা ছিল হিন্দু একটা ছেলে। পরে জানা যায় গুজবটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল, এক "ধর্ষিতা" ছাত্রীর মৃত্যুর খবর যে মিথ্যা ছিল, এগুলি কোনোভাবেই ফান না, কোনোভাবেই ট্রল না। কঠিন অপরাধ।
২। ব্যাক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ভার্সিটি পড়ুয়া এক নারী এবং তাঁর স্বামীর ছবিকে তাঁদের অনুমতি ছাড়া বাজে ভাবে পেইজে ব্যবহার করে পরে গণহারে নোংড়া কমেন্ট! সেটাকে কি শুধু মাত্র ফান বলে চালিয়ে দেয়া যায়?
২। আওয়ামি লীগ, বি নপি, জামায়াত সবাই কে সমান বলে। শুধু মাত্র মুজিব কোট নিয়ে লাগাতার ট্রল, জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে ট্রল-এইগুলি কে আপনি ফানের পর্যায়ে ফেলতে চান? বিপরীত রাজনৈতিক বক্তব্য বলে চালিয়ে দিয়ে আইনের বাইরে রাখতে চান? তাহলে জামায়াত এবং আপনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবেন কোনভাবে?
৩। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে রিদওয়ান হাফিজ নামের এক ভদ্রলোকের সাথে ব্ল্যাকমেল করা। পরকিয়ার মিথ্যা অভিযোগে তাঁর স্ত্রীর সাথে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিলো এই ফেসবুক থেকেই। সেটি ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল। এটার সাথে ৫৭ ধারা নেই, এটার সাথে বাক স্বাধীনতা বা রাজনীতির কিছুই নেই।
৪। কিছুদিন আগে ভিপিএন নিয়ে মিথ্যা কথা বলে এই লোকটা ধরা খেয়েছিল। ছবি দিয়ে বলেছিল রাস্তায় নাকি পুলিশ মানুষের মোবাইলে ভিপিএন চেক করেছে। "পুলিশ চেকপোষ্টে সবার মোবাইল চেক করে ভিপিএন পেলে সাজা দিচ্ছে" বলে গুজব ছড়াচ্ছিল। সেই গুজব নিয়ে ছাগুরা ভাইরাল করে গুজবটি কিছু পৃন্টেড মিডিয়া পর্যন্ত পৌছায়। অতচ প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, চেকপোষ্টে কিছু না। সেদিন র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত দাড়িওয়ালা ৩ জেম্বির মোবাইলে অনেক কিছুর সাথে ভিপিএনও ছিল।
৫।"মজা লস" পেইজের পহেলা বৈশাখের অপপ্রচারগুলিকে সঠিক বলে মনে করেন?
সেই প্রচারনাতে তারা ছাত্র লীগের উপরে দোষ চাপিয়েছিল বলে? কিছু মানুষ এর ছবি ফেসবুক থেকে যোগাড় করে, নেট থেকে যোগাড় করে, টিভিতে প্রচারিত ভিডিও থেকে যোগাড় করে তাদের ছবির নিচে "ইভ টিজার" নিপীড়ক ইত্যাদি লিখে দিলেই তারা অপরাধী হয়ে যায়?
৬। মজা লস পেইজের চৌধুরী ওরফে রেফায়েত মোবাইল কোম্পানি এয়ারটেলের বেশ প্রভাবশালী একটা পোস্টে কর্মরত ছিল। মজা লস পেজটা যদি নিয়মিত ফলো করলে দেখা যায় তাদের প্রচারনাগুলি কি চমৎকার ভাবে জঙ্গিদের কাজ কর্ম সমর্থন করে যাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক বিরোধিতা না,
এটা ক্লিন জঙ্গিপনা। চৌধুরী রেফায়েতকে একজন জঙ্গি ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। নিহত ব্লগারদের অনেকেই মোবাইল কোম্পানি এয়ারটেল ব্যবহার করতেন। তাদের বাসার ঠিকানা তথ্য সহ ব্যক্তিজীবনের অনেক কিছুই এয়ারটেলের নাজুক একটা পোস্টে কর্মরত রেফায়েত এয়ারটেল আর্কাইভ থেকে বের করে খুনিদের হাতে দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। তদন্ত হলে হয়তো নিশ্চিত হওয়া যাবে। তাঁদের হত্যার পরেও নিহতদের ব্যক্তিগত অনেক কিছু নেটে এসেছে। যা সুধু মোবাইল সারভার থেকেই পাওয়া সম্ভব - তদন্তকারিদের জন্য এসব খুবই গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট।
এই প্রসঙ্গে এই চৌধুরীর ব্যক্তিজীবন এবং তার পরিবারের বিএনপি জামাতি কানেকশন এই ধারনার সমর্থনে হাওয়া যোগায়।
এবং এই বিষয়টিই আরও গাড় হয়, যখন আমরা দেখি প্রকাশ্যে এই চৌধুরী শাহবাগে জঙ্গিদের হাতে নিহত ব্লগার রাজীব হায়দার কে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ট্রল করে যাচ্ছিল ২০১৩ তে।
আগাম পহেলা বৈশাখ এর টিএসসি বর্জন এর ডাক দেওয়ার বিষয়টি সব থেকে বেশি বার এসেছে জঙ্গিদের প্রধান দুই ধর্মীয় গুরু জসিম উদ্দিন রহমানি এবং মুফতি রাজ্জাকের মুখ থেকে। এবং নারী নির্যাতনের ঘটনাতে খুব সুন্দর করে সেই একই প্রচারনা চলেছে মজা লসের পেজ থেকে।
পহেলা বৈশাখে মজা লস পেজ থেকে যাদের নারী নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলো, তাঁদের মধ্যে প্রায় সবাই সেদিন নিজেদের অন্যত্র অবসথান নিশ্চিত করেছেন। মজা লস পেজ আগের মতই নিজেদের কোন মিথ্যা স্বীকার করেনি, এপোলজি তো দুরের কথা। ঠিক সেই একই সময়ে ৭১ টিভির ফারজানা রুপা যখন পহেলা বৈশাখের ঘটনাতে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা আলোচনা করেছেন, সামনে নিয়ে এসেছেন কিছু প্রমান, (ভিডিও ছবিতে চিহ্নিত অচেনা, ক্যাম্পাসের বাইরের লোক হওয়া সত্ত্বেও) সেই ব্যপার গুলিকে পাশ কাটিয়ে মজা লস পেজ প্রচারনা শুরু করেছিলো ছাত্র লীগকে জড়িয়ে। ঘটনার সময়গুলি খেয়াল করে দেখুন, দাড়ীওয়ালা লোকটিকে স্কিপ করে কিসের থেকে কোথায় তারা দৃষ্টি সরাতে চেয়েছে।
এই সমস্ত ব্যপার থেকে শুধু একটা বিষয়ই প্রমান হয় এবং তা হল 'মজা লস' পেজ একটি ছদ্দবেশী জঙ্গি পেইজ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




