somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সফিকরেহমানের মত সজ্জন মানুষ হত্যা/অপহরন করতে পারে ..?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বছর দু-এক আগে নিউইয়র্কের কিছু বিএনপি নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি জয় কে অপরাধী বানানোর জন্য দুজন সসস্ত্র এফবিআই এজেন্টকে উচ্চমুল্যে ঘুষের বিনিময়ে হাত করে। একাজে রিজভি আহাম্মেদ সিজার নামে এক তরুন বিম্পি কর্মিকে দায়িত্ত্ব দেয়া হয়েছিল।
যদিও পরিকল্পনা সুরুতেই ফাঁস হয়ে যায়।
পরিকল্পনাটি ছিল রিতিমত ভয়াবহ।
প্রথমে এফবিআই অফিসে রক্ষিত জয়ের বেপরোয়া ড্রাইভিং রেকর্ড থেকে নথি সরিয়ে ড্রাঙ্কড্রাইভিং রিপোর্ট ভরে দেয়া, এরপর জয়কে অপহরন করে জোড়পুর্বক মদ খাইয়ে কঠিন মাদক মামলায় ফাঁসানোর নৃসংস পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছিল। জয় তখন ভার্জিনিয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। মার্কিন আইনে ২য় বার মাদকমামলায় কঠিন শাস্তি।
কিন্তু ভাগ্য ভাল এরা ঘটনা ঘটার আগেই ধরা পরে যায়। আমেরিকার উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় নথি হাতানোর সময়ই এই দুই এফবিআই অফিসার ধরাপরে যায়, মামলার প্রধান আসামি এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক ও জোহানেস থালের। এদের তাৎখনিক গ্রেফতার করা হয়। পরে রিজভী আহমেদ সিজার (৩৬) কে গ্রেফতার করা হয়। সে নিউইয়র্ক বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের নেতা মোহাম্মদ উল্ল­াহ মামুনের ছেলে। মার্কিন গণমাধ্যমে সে সময় ব্যাপক আলোড়ন শৃষ্টি হয়েছিল।
মার্কিন আদালতে সুধু রেকর্ড চুরি ও ঘুষ মামলায় ৩ বছর জেল হয়, বাকি মামলাগুলো চলমান আছে। যার সর্বচ্চ শাস্তি ২০ বছর জেল।
তখন বাংলাদেশেও একটি অপহরন/হত্যাচেষ্টা মামলা হয়।

কথিত আছে নিউইয়র্কের বিএনপি নেতৃবৃন্দের চক্রান্তকালের সময়টায় আলোচিত সফিক রেহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন, নিশ্চই অপহরন বা হত্যা করতে নয়।
জয়কে ফাঁসানোর পর এই রিপোর্ট কত ফলাও করে বিশ্বব্যাপি প্রকাশ করা যায় .. করতে যা যা উপাত্ত দরকার ...

সাপোর্টিং লিঙ্ক - মার্কিন জাষ্টিস ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল অভিযোগ পত্র।
Conspirators Charged In White Plains Federal Court With Bribery Scheme

সংযোজন

শফিক রেহমানরা এখন জাতির জন্য ক্যানসার ছাড়া অন্য কিছু নয়।
ওনার (কুট) মেধা ছিল, বিম্পির ভেতর ওনার পর্যায়ের মেধাবী এখনো নেই।
২০০১ এর পর ওনার বিপুল জনপ্রীয় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন কে দৈনিকে রূপান্তর করে দেয় বিম্পি (তারক-মামুন গং) তেজগায়ে বিশাল জমি সহ বিলাসবহুল অফিস। তখন বিপুল জনপ্রীয়, তেজগার সেই রাস্তার নাম পর্যন্ত বদলে ফেলেছিল সে।
কোন এক অজ্ঞাত কারনে মামুনের সাথে চরম বিরোধে জড়িয়ে পরে এই সফিকরেহমান। তখন এই লোফার মামুনের ক্ষমতা বিম্পির সেকেন্ডম্যান পর্যায়ে। ২০০৬এ বিরোধ চরম পর্যায়ে উঠে। ২০০৬ এর শেষের দিকে হঠাৎ একদিন তার দৈনিক পত্রিকাটিতে সম্পাদকের নামের স্থানে তার নাম উধাও হয়ে যায়, মামুনের ধমকে সে আর অফিসেই ঢুকতে পারেনি, ঋন ও বকেয়া বিল তার উপর জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়।
রক্তাক্ত ২৮সে অক্টোবর সেই উত্তাল বিকেলে সে প্রানের ভয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে লন্ডনের টিকেট কাটে। তখন মামুন স্টাফ-সাংবাদিক লেলিয়ে দেয় এই বলে যে বেতন-বকেয়া রেখে পালিয়ে যাচ্ছে ...
এরপর অনেক কাহিনী, বিমানবন্দরের লবিতে পাওনাদার সাংবাদিকদের বিক্ষোভ-স্লোগান .. একপর্যায়ে চড়-থাপ্পোর দিয়ে বিমান থেকে নামিয়ে আনা। সেই দিনের কথা মনে হয় কেউ ভুলতে পারবে না। আমার কাছে ফোন আসলো "এখনি এয়ারপোর্টে চলে আয় .. চরম নাটক চলছে"। কিন্তু আমি দেখি নাটক বংগভবনে, সরকার বদলে যাচ্ছে ... বাইতুল্মুকার্মে-পুরানাপল্টনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া .. গণপিটুনিতে নিহতদের লাশ ...
এরপর সফিকরেহমান-মামুন বিরোধ কোন পর্যায়ে ছিল আর জানা যায় নি। পরে যায়যায়দিন HRC গ্রুপের কাছে বিক্রি করে দেয় মামুন।

অতচ আগে উনি ছিলেন বাম উদারপন্থি, একমাত্র তার যায়যায়দিন পত্রিকাতেই মুনতাসির মামুন, তসলিমা নাসরিনের কলাম নিয়মিত প্রকাশিত হত। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখা “একাত্তরের দিনগুলি ” সর্বপ্রথম এই শফিক রেহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক সন্ধানীতেই ধারাবাহিকভাবে বেরোয় যা পরবর্তীতে সন্ধানী প্রকাশনী থেকেই বই আকারে প্রকাশ করা হয় । ৯৩ তে গনআদালত গঠনে তার পত্রিকাতেই প্রথম পরামর্শ এসেছিল, যায়যায়দিন গণআদালতের আগ্রাসি সমর্থন ছিল। সেই প্রজন্মে তার পর্যায়ে এইরকম সৃজনশীল আধুনিকমনা লোক বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আমার চোখে পড়েনি। শফিক রেহমানের মত উদার মুক্তমনা লোকটি কিভাবে বিএনপি-জামাতের মতো দলে নোংড়া দলে নাম লিখিয়ে নোংড়া খেলায় মেতে উঠলো সেটা আমার কাছে আজও ঠিক বোধগম্য হয় না। ২০০৯ এর পরে উনি নিজেকে নেড়িকুকুর ঘোষনা করে, বিম্পি থেকে এত লাত্থিগুতো খাওয়ার পরও ম্যাডামের ভাষন লিখে দিতেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×