রহিঙ্গাদের সমস্যার কারন - মৌদুদিবাদী ইসলাম ও সৌদি ও আরবদের ফান্ডিং ও বাংলাদেশের জামাত ও তৎকালীন বিএনপি জোট। এরা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল ৯০ দশকের পর বিএনপি সুযোগ করে দেয়ার আরো আগে থেকেই।
বার্মিজরা বদমাস প্রকৃতির হলেও আরাকানবাসি বৌদ্ধরা শান্তিপুর্ন ভাবেই এলাকার মুসলিমদের সাথে বসবাস করেছে যুগের পর যুগ।
কিন্তু রহিংগা মুসলিমরা বৌদ্ধ বা স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথে সেভাবে মিশতে পারে নি, সেটাও তেমন সমস্যা ছিল না। সবাই শান্তিপুর্ন ভাবেই যুগ যুগ .. শতবছর ছিল।
সমস্যা সুরু হয় ৯০ দশকের পর। নবনির্বাচিত বিএনপি না বুঝেই জামাতি কুটকৌশলের ফাদে পরে। মৌদুদিবাদি ওহাবী এজেন্টরা সিমান্ত পার হয়ে রহিঙ্গা জনবসতি এলাকায় সৌদি-পাকি আইএসাই মদদে মসজিদে মসজিদে, ঘরে ঘরে ধর্মপ্রচারের নামে মৌদুদিবাদি ইসলাম প্রচার সুরু করে। ইসলামি বিধিনিষেধ .. দাড়ী-টুপি হেজাব, কালো বোরখা ... স্থানীয়দের ঘৃনা করতে শিখিয়েছে বছরের পর বছর। কোন কালেই ওরা লম্বাকোর্তা আলখেল্লা-টুপি বোর্খা-হেজাব পড়ত না। বিম্পি ক্ষমতায় আসার পর মৌদুদিবাদি ওহাবী এজেন্টরা দিনের পর দিন প্রচারনা চালায় অর্থ দেয়। ব্যাপক ফান্ডিং পেয়ে সীমান্তের বেশীরভাগ মাদ্রাসায় রিতিমত ঘাটি বানিয়ে ফেলে। মুলত তখনি সুরু হয় বোর্খা-হেজাবে, আলখেল্লা-টুপির বাড়াবাড়ি। স্থানীয়দের মনথেকে ঘৃনা করা। রহিংগারা নিজেদের আদি সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে মৌদুদিবাদী কথিত ইসলামি সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হতে থাকে, কট্টরপন্থা চালু হতে থাকে ...ওরা স্থানীয়দের বর্জন করে নিজেদেরকে রিতিমত আইসলেটেড করে ফেলে ... ।
এরপর ক্ষমতাসিন বিম্পি আরো সুযোগ দেয়, আরবের সহায়তায় মৌদুদিবাদী জামাতিরা রহিঙ্গাদের সংগবদ্ধ করে, ... মসজিদে টাকা, আরাকানে ইসলামী স্বতন্ত্র স্বায়ত্বশাসিত বা স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠার তৎপরতা শুরু করে। তখনই মুলত রহিঙ্গা সমস্যা সুরু।
তৎকালীন বার্মা সামরিক সরকার এইসব রাষ্ট্রবিরোধী প্রচেষ্টাকে শক্ত হাতে দমন করে করে। এরকম অবস্থা হলে যেকোন দেশই ব্যাবস্থা নিবে।
এখন সুরু হয়েছে রহিঙ্গাদের অস্ত্রসরবরাহ। যা চলছে, সীমান্তের আওয়ামীলীগ নেতাদের ঘুষ দিয়ে মৌদুদিবাদীরা তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। মৌদুদিবাদীদের ঘাটি লন্ডন ও নিউইয়র্কে এদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ চলছে, অভিবাসী মুসলিমরা ডলার দিচ্ছে, অস্ত্রসস্ত্র কেনা হচ্ছে। সম্প্রতি হাংগামা ও রহিঙ্গা বিতাড়নের কারন এইসব রহিঙ্গা অস্ত্রধারীরা বিনা উষ্কানিতে বর্মিসেনাদের উপর চোরগুপ্তা সসস্ত্র হামলা, হামলাকারিরা লুকায় রহিঙ্গা ঘনবসতিতে।
এখন নিজেদের কর্মফল ভোগ করছে রহিঙ্গারা।
যারা জন্মভূমির প্রতি ভালবাসা দেখায় না, পিতামাতার আদি সংস্কৃতিকে ধারণ করে না তাদের অবস্থা এমনই হবে।
রোহিঙ্গারা কোন কালেই ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করত না। মসজিদ বা বাসায় নামাজ পড়ত, ঈদের জামাত হতো। কিন্তু লম্বাকোর্তা আলখেল্লা-টুপি বোর্খা-হেজাব পড়ত না। বিম্পি ক্ষমতায় আসার পর মৌদুদিবাদদী ওহাবী এজেন্টরা দিনের পর দিন প্রচারনা চালায় অর্থ দেয়। ব্যাপক ফান্ডিং পেয়ে সিমান্তের বেশীরভাগ মাদ্রাসায় রিতিমত ঘাটি বানিয়ে ফেলে। মুলত তখনি সুরু হয় বোর্খা-হেজাব, আলখেল্লা-টুপির বাড়াবাড়ি। স্থানীয়দের মনথেকে ঘৃনা করা। রহিংগারা নিজেদের আদি সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে মৌদুদিবাদি কথিত ইসলামি সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হতে থাকে, মসজিদে হারাম হালাল ইত্যাদি কট্টরপন্থি কথাবার্তা চালু হতে থাকে ...
বাংলাদেশের বিএনপির কাঁধেচোরে জামায়াত আরো সাহসি হয়ে বিভিন্ন জঙ্গীগ্রুপের মদদপুষ্ঠ ইত্তেহাদুল জমিয়াতুল রোহিঙ্গা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিদেশী এনজিও সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টির পাশাপাশি আরকান রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে আসছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশের হাতে খুলশী থানার জিইসি মোড় হোটেল লর্ডস ইন থেকে আটক হয় পাকিস্তানী নাগরিকসহ ৫ জঙ্গি। এরপর নাইক্ষ্যংছড়ির ৫০ ব্যাটলিয়নের বিজিবির সদস্যরা মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক জঙ্গি নেতা সালামত উলহর শ্যালক হাফেজ জোনাইদকে গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশকে পাক-আফগানিস্তানের মত সন্ত্রাসের অভয়ারন্যে বানাতে চাচ্ছে মৌদুদিবাদীরা। সিমান্ত খোলা রেখে চট্টগ্রামকে পেশোয়ার বানিয়ে রহিঙ্গাদের স্বাধীন রহিঙ্গাস্তান/আরাকানিস্তানের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সবার সতর্ক হওয়া দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬