গতকাল থেকে সামাজিক সাইটের নিউজফিডে সিরিয়ার একটা ঘটনার ছবি।
দুই আহত বোন, একজনের নাকে অক্সিজেন মাস্ক ধরে আছে আরেক বোন। বলা হচ্ছে গ্যাস রক্ষা মাস্ক ছোট বোনের নাকে দিয়ে বড় বোন
গ্যাস আক্রমনে মৃত্যুর কোলে .. আত্মত্যাগ করেছে! কারন মাস্ক ছিল একটা!
অথচ সত্য ঘটনা হচ্ছে এটা যুদ্ধ এলাকার কাছে হাসপাতালের ভেতরের ছবি। ছবি তুলেছিল AFP র সাংবাদিক।
যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকায় ক্লোরিন গ্যাস এর লক্ষন দেখা দেয়ার পর হাসপাতালে সুধু শিশুদের অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে, আর কিছু না।
ছবির শিশুদুটি মারা যায় নি।
কিন্তু বাঁশেরকেল্লা-রেডিও মুন্নাদের মত জঙ্গি সমর্থকরা AFP র ছবিটি এডিট করে মিথ্যা মিশিয়ে আবেগ তৈরী করে সফল হল এখানে।
সামুর কবিরা অবস্য না জেনেই এই ছবি ভিত্তি করে কবিতা লেখা সুরু করে দিয়েছে।
টুইস্টেড খবর প্রচারকারী মুমিন! যেহাদি প্রয়জনে জেনেশুনে মিথ্যা তৈরি করে মিথ্যা প্রচার করা এদের কাছে হালাল।
ছবিটা মিথ্যা হলেই কি সিরিয়া যুদ্ধের ভয়াবহতা, মৃত্যু, নিষ্ঠুরতা মিথ্যে হয়ে যাবে?
না।
সাম্রাজ্যবাদের খেলা চলতে থাকবে, এমনকি আসাদের পতন হলেও লাভ নেই।
যুদ্ধ হবে আরো ভয়াবহ আর মানব বিধ্বংসী। কারন তখন কুর্দিরা হবে সবচেয়ে শক্তশালী গ্রুপ, সরাসরি মাঠে নামবে তষ্কর তুরস্ক, হিজবুল্লাহ আর ইরান। শয়তানের দোসর ইসরাইল - সউদীরা নতুন গ্রুপ তৈরী করবে। পরাজিত আই এস ভিন্ন নামে পুনরুজ্জীবিত হবে।
কিছুদিন আগেও কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলেরাতে। সেই খবর AFP তে প্রচার হলেও এদেশি জঙ্গি সমর্থকরা ভাইরাল করাতো দূরের কথা, প্রচারই করেনি। প্রচার পাচ্ছেনা ইয়েমেনের ছবিও, যার অবস্থা সিরিয়ার চেয়েও খারাপ। কারন এখানে হত্যাকারী অপরাধী দেশ হচ্ছে জামাতিদের প্রিয় সউদি রাজতন্ত্র। এই সউদিরা আবার টুইস্টেড খবর প্রচারকারীদের আব্বা লাগে।
গত ৪ বছর ইরাক সিরিয়াতে কত নৃসংসতা হল, গলাকাটা .. রক্তের বন্যায় .. মহিলা-শিশু সহ কত মানুষ মরলো এত দিন কোন খবর ছিল না।
এখন আইএস ও কট্টরপন্থি জেহাদিরা সিরিয়াতে কোনঠাসা হয়ে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এদেশী জেহাদি মুমিনদের দরদ উথলে উঠছে। এটি ফেবুতে হাজার হাজার সেয়ার ... ফটোশপও সুরু হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১